somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্পূর্ন রম্যঞ্চোপন্যাস 'অপারেশন গানা' - ফিচারিং অনন্ত জলিল এবং মাসুদ রানা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

***১***
গোপন মিশন নিয়ে মাসুদ রানা গেছে ঘানাতে। সাথে আছে আরেক দূর্ধর্ষ এজেন্ট অনন্ত দ্যা জলিল। তবে এই মূহুর্তে দুজন আছে দুই জায়গায়। রানা আছে হিলটন হোটেলের একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট স্যুইটে। ফোনে কথা হচ্ছে দুজনের মধ্যে -
রানাঃ অনন্ত, ‘হোয়ার আর ইউ নাউ?’
অনন্তঃ মেজর রানা, আই এম পম গানা।
রানাঃ সেটাতো আমি জানি। এগজ্যাক্ট লোকেশনটা বল
অনন্তঃ একটু ধরেন স্যার। জি পি এস টা চেক করে নেই।
রানাঃ ওকে।
অনন্তঃ একটা ঝামেলা হোয়ে গেছে ছার।
রানাঃ কি ঝামেলা?
অনন্তঃ ভুলে টেলিটোকের সিম নিয়া চইলা আইছি। নেটওয়ার্ক নাই জিপিএস কাজ কোরতেছেনা।
রানাঃ তাহলে তুমি কথা বলছ কিসে?
অনন্তঃ টেলিপোন ভূত থেকে স্যার।
রানাঃ টেলিপোন ভূত!!!! ওহহ... ইউ মীন টেলিফোন বুথ!
অনন্তঃ ইয়েস ছার!
রানাঃ তুমি আশেপাশের কোন পান বিড়ির দোকান থাকলে ওদের কাছ থেকে লোকেশন জেনে নিয়ে আমাকে জানাও। আমি হোল্ড করছি।
রানা ফোন ধরে অপেক্ষা করতে থাকে। একটু পরেই ফোনে অনন্তর গলা শোনা যায় –
অনন্তঃ ছার, লোকেশন পাওয়া গেছে।
রানাঃ গুড। এখন বল তুমি কোথায় আছ?
অনন্তঃ গানা ইন্টারনেশনাল এয়ারপোটের ঠিক সামনে ছার!!!
রানা কিছুক্ষন কথা বলতে পারলনা। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল -
রানাঃ ওকে। তুমি একটা ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলে আক্রায় চলে যাও। সেখানে তোমার সাথে একজন দেখা করে একটা মেমরী কার্ড দেবে। তুমি ওটা কালেক্ট করে আমার পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে।
অনন্তঃ মেমোরী কাড নিয়ে কে আসবে ছার?............ কিশটিনা?
রানাঃ না, ক্রিস্টিনা এখন আমার রুমে.................. আই মীন আমার সাথেই আছে। তোমার সাথে দেখা করবেন জাতিসংঘের সাবেক একজন মহাসচিব।
অনন্তঃ ওকে, রানা। নো পোবলেম। ইউ ইনজয়!
রানাঃ আই অ্যাম নট এনজয়িং! ক্রিস্টিনার কাছ থেকে তথ্য আদায় করছি! ইট’স আ ডিফিকাল্ট জব!
অনন্তঃ সোরি স্যার। মাই এপোলজি।
রানাঃ ইটস ওকে।
‘গরু গাধা নিয়ে কাজ করতে এসে বিরাট বিপদে পড়লাম’... বিড়বিড় করে ফোনটা রেখে দিল রানা। তারপর ক্রিস্টিনার কোমর করিয়ে ধরলো। ক্রিস্টিনার চোখে আমন্ত্রন!



***২***
হোটেল আক্রা। গানা।
মাসুদ রানার নির্দেশ অনুযায়ী দূর্ধর্ষ এজেন্ট AJ11 ওরফে অনন্ত জলিল অপেক্ষা করছে তাঁর কন্ট্যাক্টের জন্য। সে বসেছে হোটেলের রেস্টুরেন্টের বাইরের অংশে। তাঁর সতর্ক দৃষ্টি ধৈর্য্যের সাথে আশেপাশের মানুষজন পর্যবেক্ষন করছে। রানার কথা অনুযায়ী জাতিসংঘের লোকটার ছদ্মবেশে আসার কথা।
‘একজন ইস্পাই এর অবশ্যই ধৈর্য্য থাকতে হোবে’ বিড়বিড় করে নিজেকে মনে করিয়ে দিল। শুধু শুধু বসে না থেকে জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তাদের নাম মনে করার চেস্টা করা যাক। হুম, মনে পড়ছে......
: এক্সকিউজ মি!
অনন্ত ধড়মড় করে জেগে উঠল। কি সর্বনাশ! জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নাম মনে করতে করতে কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছিল। রানা ভাই জানতে পারলে তো মান ইজ্জতের ‘পেস্টিজ’ চলে যাবে!
: এক্সকিউজ মি
আবার বলল কণ্ঠটা। কে ক্ষমা চায় দেখার জন্য ডানে বামে তাকাল অনন্ত, চোখ থেকে ঘুম এখনও যায়নি। কেউ নেই! পেছনটাও চেক করে করে নিল। আশ্চর্য! সেখানেও কেউ নেই! তাহলে কে ক্ষমা চাইল! বুত পেত নাকি! সুরা ইয়াছিন পড়া শুরু করবে ঠিক তখনই মনে পরল, ‘ওহ! সামনে তো তাকানো হয়নি!!!’
হুম! ঠিক। টেবিলে বসে আছে একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাক্তি, হাতে একটা ছোট ব্যাগ।
ব্যাক্তিঃ এক্সকিউজ মি। আপনি কি ঘুমাচ্ছিলেন?
অনন্তঃ হোয়াট ডু ইউ থিঙ্ক আই এম ইসস্লিপিং! আমি গুমানোর বান করে চারিদিকে লক্ষ্য রাখছিলাম। দিস ইস মাই ইস্টাইল! এখোন বলেন আপনের নাম কি?
ব্যাক্তিঃ কফি আনান।
অনন্তঃ এইটা ভাল বলছেন। গুমের পরে কফি উত্তম। আমি কফি আনাইতেছি, আপনে আপনের নাম বলেন।
ব্যাক্তিঃ কফি আনান।
অনন্তঃ মর জ্বালা! বিগ পোবলেম! চা, কফি সবই আনাইতেছি। আপনের নাম কন!
ব্যাক্তিঃ আমার নামই কফি আনান।


অনন্তঃ ভূল হয়া গেছে ছার। বিগ মিসটেক। মাই এপলজি!
কফি আনানঃ ইটস ওকে। মেমরি কার্ডটা রাখুন, রানার হাতে দেবেন। তবে খুব সাবধান! ধরা পরবেন না।
অনন্তঃ নো পোবলেম। জলিল কো পাকারনা মুশকিলই নেহি, না মুমকিন হে!
কফি আনানঃ কফি আনান।
অনন্তঃ নাম তো একবার বললেন ছার!
কফি আনানঃ এবার কফি আনাইতে বলতেছি!
অনন্তঃ সরি ছার, কফি আনাইতেছি। আপনার কষ্ট করে আসার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ!
কফি আনানঃ মোস্ট ওয়েলকাম।
অনন্তঃ ছার!!! আপনে আমার সফল ছবি ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ দেখছেন!!!
আমি কিতজ্ঞ হয়ে গেলাম! আই এম এবার গেটফুল!


***৩***
হোটেল থেকে বেরিয়ে বিপদে পরে গেল অনন্ত। মাসুদ রানা পরবর্তী কোন নির্দেশ দেয়নি। রানার মোবাইলও বন্ধ। তথ্য আদায় এখনও মনে হয় শেষ হয় নাই রানার। কঠিন কাজ, সময় লাগারই কথা! কিন্তু এখন এই মেমরি কাডের কি বেবস্থা করা যায়। হাতে বা পকেটে রাখা মোটেই সেফ নয়। হঠাৎ বুদ্ধি এল মাথায়। অনন্ত তাঁর পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে মেমরি কার্ডটা খুলে ফেলল। এবার কফি আনানের মেমরি কার্ডটা মোবাইলে ঢুকালেই কেল্লা ফতে, কেউ সন্দেহ করবেনা যে কাডটা তাঁর মোবাইলের ভেতর থাকতে পারে। কার্ডটা ঢুকাতে যাবে ঠিক তখনই পেছন থেকে মধুর কন্ঠে কে যেন ডাকল,
:এক্সকিউজ মি!
আবার কে ক্ষমা চায়। আজ দেখি ক্ষমা চাওয়ার বাজার বসে গেছে। বিরক্ত ভঙ্গিতে পেছনে তাকাতে তাকাতে মেমরি কার্ড দুটা প্যান্টের দুই পকেটে ঢুকিয়ে রাখল। কন্ঠস্বরের মালিকের দিকে তাকিয়েই অনন্তের বিরক্তি উবে গেল। মধুক্ষরা কন্ঠে ক্ষমা চাইছে এক অপূর্ব সুন্দরী যুবতি।
যুবতীঃ এক্সকিউজ মি, মিস্টার। আমি রেগানা!
অনন্তঃ রেগানা! আমার তো মনে হয় আপনি মিস গানা! এন্ড মাই নেম ইস নট মিস্টার, আই ইস্টাডি ইন ম্যানসিসটার!
রেগানাঃ যাহ! আপনি বাড়িয়ে বলছেন! আমি অত সুন্দরী নই। জানেন, আজকের সন্ধ্যাটায় আমি খুব লোনলি ফিল করছি। আপনার মত এরকম একজন হ্যান্ডসামের সঙ্গই হয়তো খুজছিলাম!
অনন্তের চোখ গোল আলু হয়ে গেল। বুক ফুলে উঠল পৌনে তিন ইঞ্চি! এযে মেঘ না চাইতেই বর্ষা!
অনন্তঃ আমিও সন্ধ্যাটা ফিরি আছি! কোথায় যাওয়া যায় তুমিই বল।
রেগানাঃ রাস্তার ওই পাশে চমৎকার একটা বার আছে।
অনন্তঃ চল তাহলে।

তাঁরা কেউই লক্ষ করলোনা যে প্রায় দুইশ গজ দূর থেকে তাদের লক্ষ্য করছে একজন মানুষ। ঢ্যাঙ্গা টিংটিঙে শরীরে তাঁর চেয়ে ডাবল সাইজের একটা ওভারকোট চাপানো। সানগ্লাসে চোখ জোড়া ঢাকা না থাকলে দেখা যেত সেখানে শিশুর সরলতা।
‘অনেকক্ষণ তো ডেরিয়ে থাকলাম। হাত পা ব্যতা হয়ে গেচে। দেখি বাচাধনেরা কোতায় যাও!’ – বিড়বিড় করল গিলটি মিয়া। নির্দিস্ট দূরত্ব বজায় রেখে অনুসরন করতে লাগল। বস এমনই নির্দেশ দিয়েচেন। বসের কথা মনে হতেই গিলটি মিয়ার হাসি চলে আসলো। ফিক করে হেসেও ফেলল। গত ঈদে সে ছবি দেখতে গেছিল বলাকা হলে। ছবির নাম ‘বস নাম্বার ওয়ান’। সে ভেবেছিল বোধহয় তাঁর বস কে নিয়েই ছবি। রানার মত বস আর কে আছে। সেই তো বস নাম্বার ওয়ান। অর্ধেক ছবি দেখেই সে বেরিয়ে এসেছিল সে হাসতে হাসতে। এইটারে যদি ‘বস নাম্বার ওয়ান’ কয় তাইলে ‘আবাল নাম্বার ওয়ান’ কোনটা!

নিজের কর্মকান্ডে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেছে অনন্ত। সুন্দরীদের কিভাবে পটাতে হয় এ বিষয়ে মাসুদ রানা তাঁর কাছ থেকে শিখতে পারে। এবার ঢাকায় ফিরেই একটা কোচিং সেন্টার খুলে ফেলা দরকার। এসব ভাবতে ভাবতে রাস্তার পাশের একটা বারে ঢুকে পরল। সুইং ডোর খুলে ভেতরে ঢোকামাত্রই হিন্দি ছবির ভিলেন মোগাম্বোর মত দেখতে দারোয়ানটা খটাশ করে স্যালুট ঠুকে বলল,
: ওয়েলকাম স্যার।
অনন্তঃ ‘ওয়েলকাম স্যার’ না, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’। যাই হোক তুমি আমার সফল ছবি ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ দেখেছ বলে খুশি হয়েছি। এই নাও দশ টাকা বখশিশ’।
দারোয়ানঃ বখশিশ লাগবেনা স্যার।
অনন্তঃ তাহলে কি চাও বল। একটা কিছু চাইতে হবে।
দারোয়ানঃ তাহলে মেমরি কার্ডটা দিন স্যার।
বলেই অনন্তের বুক সোজা করে হাতের শটগানটা উচিয়ে ধরল!

***৪***


হোটেল হিলটন। গানা।
‘আরে বেকুব! আমি কি খালি এই কাজ কইরাই বেড়াই নাকি!’। পঞ্চমবারের মত ‘তথ্য আদায়’ শেষ করে মৃদু স্বরে গাল দিয়ে উঠল মাসুদ রানা।
‘কি ব্যাপার? গাল দিচ্ছ কাকে?’ বলল ক্রিস্টিনা আদুরে গলায়।
‘আর বলনা, সামুর কোন এক আবাল ব্লগার এই কাহিনী লিখতেছে। বলদটার ধারণা আমি মিশনে আইসা খালি এই সব কইরা বেড়াই!’ এখন পর্যন্ত একশানে যাইতে পারলাম না!’
‘একশান তো বিছানায়ও কম দেখালেনা!’
‘আরে ধূর! এই একশান কি.........’ ফোন বেজে ওঠায় থেমে গেল রানা।
‘তোমার একশনে যাবার সময় হয়ে গেছে মনে হয়’ ফোনের দিকে ইঙ্গিত করল ক্রিস্টিনা।
ফোনটা তুলে নিল রানা। গিলটি মিয়ার ফোন। কোন কথা না বলে দুইমিনিটশুনে গেল ওদিকের কথা। তারপর গিলটি মিয়াকে কিছু নির্দেশ দিয়ে ফোন রেখে দিল।
‘জলিল ধরা পরে গেছে, মেমরি কার্ডটাও বেহাত হয়ে গেছে! তুমি রেডি হয়ে নাও। অ্যাকশনে যাবার সময় হয়েছে’। প্রিয় অস্ত্র ওয়ালথার পিপিকে টা বের করে ম্যাগাজিন চেক করে নিল রানা।
‘কিন্তু আমরা যাচ্ছি কোথায়?’
‘শহরের বাইরে একটা পরিত্যাক্ত ওয়ারহাউসে নিয়ে গেছে জলিলকে। গিলটি মিয়া বাইরে থেকে লক্ষ্য রাখছে’।
একটু পরেই ঝকঝকে আলফা রোমিওর ড্রাইভিং সিটে দেখা গেল রানাকে। ঝড়ের বেগে চলছে শহরের বাইরের দিকে।

***৫***
‘কাউকে তো দেখা যাচ্ছেনা। গিলটি মিয়া ধরা পরে গেল নাকি!’
পরিত্যাক্ত ওয়ারহাউসটার বেশ অনেকটা দূরে গাড়ি থামিয়েছে রানা। দুজনে একটা ঝোপের আড়াল থেকে লক্ষ্য করছে, ধ্বংসপ্রায় বাড়িটাকে।
‘চল পেছন দিক দিয়ে ঢোকা যায় কিনা দেখি, তোমার কাছে অস্ত্র আছে?’
জ্যাকেটের পকেট থেকে ছোট্ট বেরেটা টা বের করে দেখাল ক্রিস্টিনা।
পেছন দিক দিয়ে একটা পথ পাওয়া গেল। প্রথমে ক্রিস্টিনা তাঁরপর রানা ঢুকে পরল। সাবধানে প্রথম ঘরে উকি দিয়েই চমকে উঠল রানা। হুম! যা ভেবেছিল তাই! ধরা পরে গেছে গিলটি মিয়া। জলিলের সাথে পিঠমোরা করে বেধে রাখা হয়েছে, দুজনের মুখেই স্কচটেপ মারা। ৫ সেকেন্ডের মধ্যে পরিস্থিতি যাচাই করে নিল রানা। ঘরে একটা লো পাওয়ারের বাতি জলছে, বেশির ভাগটাই অন্ধকার। ঘরের মাঝে উপস্থিত চারজন। গিলটি মিয়ার দেয়া বর্ননা অনুযায়ী ঘরে উপস্থিত মেয়েটা রেগানা আর মোগাম্বর মত দেখতে লোকটা বারের সেই ছদ্মবেশী দারোয়ান। দুজনেই সশস্ত্র। বাকি দুজনের মধ্যে অ্যাশ কালার স্যুট পড়া লোকটাকে কেমন চেনা চেনা লাগছে। এদিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় মুখটা দেখা যাচ্ছেনা। ঘরের মাঝে উপস্থিত অপর লোকটার পোশাক আশাক দেখে এই পরিস্থিতির মাঝেও হাসি পেল রানার। একটা চেক হাফপ্যান্ট পরা, সাদা স্যান্ডো গেঞ্জিটা দশাসই ভুঁড়িটা ঢেকে রাখার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে! আফ্রিকার গরম মনে হয় সহ্য হচ্ছেনা। অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকায় লোকটার মুখ দেখা যাচ্ছেনা। স্যুট পরা লোকটা ঘুরে দাড়াতেই নিশ্চিত হয়ে গেল রানা, যা সন্দেহ করেছিল তাই! ওর চিরশত্রু কবির চৌধুরি!
‘কি করবে বলে ভাবছ?’ ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল ক্রিস্টিনা।
‘ওরা আমাদের এখানে আশা করছেনা। এটাই আমাদের সুযোগ, ওদের চমকে দিয়ে কাজ সারতে হবে।‘
‘কি করতে চাও’
‘সোজা ভেতরে ঢুকে কবির চৌধুরিকে জিম্মি করব। তুমি আমাকে কাভার দেবে’
‘ঠিক আছে’
রানা ওয়ালথার উচিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পরল। কবির চৌধুরির খুলি বরাবর মাজল তাক করে বলল,
‘চৌধুরি! খেল খতম, পয়সা হজম। তোমার খুলির দিকে যেটা তাক করে আছি সেটার নাম ওয়ালথার পিপিকে। দুহাত তুলে দাঁড়াও!’
এতটুকু চমকালনা কবির চৌধুরি। মাথার উপর হাতও তুললনা।
‘আরে! মাসুদ রানা যে! হোয়াট আ প্লেজেন্ট সারপ্রাইজ’ হাসতে হাসতে বলল কবির চৌধুরি!
আহাম্মক বনে গেল রানা। কবির চৌধুরিকে চমকে দিতে গিয়ে নিজেই চমকে গেছে! বিষয়টা কি! ভয় পাচ্ছেনা কেন কবির চৌধুরি!
যেন রানার বিস্ময়টুকু উপলব্ধি করেই কবির চৌধুরি বলল,
‘তোমার পেছন দিকে তাকাও রানা!’
পেছনে তাকিয়েই আরেক দফা চমকে উঠল রানা। ক্রিস্টিনা ওর মাথা বরাবর বেরেটাটা তাক করে আছে!
ঠোঁটের কোনায় ব্যাঙ্গের হাসি!
‘সুন্দরী মেয়েদের প্রতি দূর্বলতার কথা আমি জানি, রানা। তাইতো ক্রিস্টিনাকে শুরু থেকেই কাজে লাগিয়েছি!’
'আবাল ব্লগার!' বিড়বিড় করে একটা গালি দিল রানা!
‘আমাদের হাতে সময় কম। মোগাম্বো, তুমি মিস্টার রানাকে বেধে ফেল, তাঁর আগে ওর অস্ত্রটা নিয়ে নাও। ভাল করে পকেট সার্চ কর। রেগানা, তুমি জলিলের পকেট থেকে মেমরি কার্ডটা বের করে নাও। আর ক্রিস্টিনা, তুমি টাইম বোমাটা রেডি কর, এখন থেকে ঠিক ১৫ মিনিট পরের টাইম সেট করবে’
রানাকে বেঁধে ফেলা হল। রেগানা জলিলের পকেটে হাত ঢুকিয়ে মেমরি কার্ড আর মোবাইল ফোনটা বের করে নিল। মেমরি কার্ডটা কবির চৌধুরির হাতে দিয়ে বলল ‘আমি কি ফোনটা রাখতে পারি মিস্টার চৌধুরি?’
‘অবশ্যই রাখতে পার। আমার মনটা আজ বেজায় খুশি!’

‘এবার আপনি সামনে আসতে পারেন মিস্টার হোসেন, আপনার জিনিস বুঝে নিন! হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরা ভুড়িওয়ালা লোকটার উদ্যশে সহাস্যে বলল কবির চৌধুরি! আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিলেন, রানা আমার কাছে একটা তেলাপোকা ছাড়া আর কিছুই না!’
হাফ প্যান্ট পরা লোকটা প্রথম বারের মত আলোতে বেরিয়ে এল!
একি! বিস্ময়ের পর বিস্ময়! এ লোক এখানে কেন? কবির চৌধুরির সাথে তাঁর সম্পর্ক কি? মেমরি কার্ডের সাথে তাঁর কি সম্পর্ক? কি আছে মেমরি কার্ডে? রানা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল গাবুল হোসেনের দিকে! গাবুল হোসেন, বাংলাদেশে আরিয়াল খাঁ সেতু নির্মান দূর্নীতিতে যার মন্ত্রীত্ব চলে গেছে!
গাবুল হোসেন রানার দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসতে লাগল। রানার মনে হল হাত বাঁধা না থাকলে এক ঘুসিতে ওপরের পাটির দাঁতগুলো ফেলে দিত!
কবির চৌধুরিকে দেখে মনে হচ্ছে মাসুদ রানার বিস্ময় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে।
‘তাহলে দ্য গ্রেট মাসুদ রানাও বিস্মিত হয়!’ হাতঘড়ি দেখে নিয়ে বলল কবির চৌধুরি।
‘তোমার সাথে কিছুক্ষন গল্প করতে পারলে ভাল হত, কিন্তু হাতে সময় কম। শুধু তোমাকে মেমরি কার্ডে কি আছে সেটাই জানিয়ে রাখি, মরার আগে অন্তত এটুকু জানার অধিকার তোমার আছে!’

‘আড়িয়াল খাঁ সেতু দূর্নীতি নিয়ে যখন ষড়যন্ত্র হয়, তখন একজন গোপনে মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে ফেলে। ভিডিওতে সবাইকেই স্পস্ট দেখা যাচ্ছে, কার কি ভূমিকা সেটাও পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়। ভিডিওটা কালোবাজারে বিক্রি করতে গিয়েই ঝামেলা বাধে! সে যাই হোক সেই ভিডিও ক্লিপটাই আছে মেমরি কার্ডে! বুঝতেই পারছ গাবুল হোসেন কেন মেমরি কার্ডটার জন্য পাগল হয়ে গেছে’
‘গাবুল কেন পাগল হয়ে গেছে সেটা বুঝলাম, কিন্তু এখানে তোমার স্বার্থটা কি?’
‘স্বার্থ একটাই রানা। টাকা! কাজটা করে দেয়ার জন্য গাবুল আমাকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে! আর তাছাড়া যখন শুনলাম এই মিশনটায় তুমিই আসছ তখন পুরানো হিসাবটা চুকানোরও সুযোগ পাওয়া গেল! সে যাই হোক, অনেক কথা বলেছি, আর সময় নেই। টাইম বোমা সেট করা হয়ে গেছে। এই টাইম বোমাটা ঠিক ১৫ মিনিট পরে ফাটবে। গুডবাই রানা!’

‘চলুন মিস্টার গাবুল, যাওয়া যাক। বাড়ির পেছনে আমাদের জন্য হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে।’
‘তাঁর আগে মেমরি কার্ডটা একবার চেক করে নিলে ভাল হতনা?’ – বলল গাবুল হোসেন তেলতেলে হাসি দিয়ে।
‘সেটার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কার্ডটা জলিলের হাতে আসার পর রেগানা সারাক্ষন ওকে চোখে চোখে রেখেছিল। তবুও আপনি যখন চাইছেন চলুন, পাশের রুমে আমার ট্যাবলেটটা আছে। আর আমাদের হাতে এখনও প্রায় ১৪ মিনিট সময়ও আছে’

***৬***
ওরা পাশের রুমে চলে যেতেই দড়ির বাঁধন খোলার দিকে মন দিল রানা। কপাল ভাল, গরমে ঘামে ভিজে দড়িটা বেশ নরম হয়ে গেছে, চেষ্টা করলে হয়তো খোলা যাবে!
তবে রানার আগেই বাঁধন খুলে ফেলল গিলটি মিয়া! তারপর একটানে মুখের স্কচটেপটা খুলে ফেলে বলল,
‘তেততিরিশ বচোরের পেকটিচ! হু হু! বাচাদনেরা মনে করেচে এই দরি দিয়ে আমায় বেদে রাকতে পারবে!’
‘গিলটি মিয়া তারাতারি কর, আর মাত্র দশ মিনিট আছে!’ তারা দিল রানা।
রানার বাঁধন খুলতে যাবে! এমন সময় পাশের রুম থেকে উচ্চস্বরে সম্মিলিত হাসির শব্দ ভেসে এল। থমকে গেল গিলটি মিয়া!
‘স্যার, ওরা এভাবে হাসচে কেন?’
‘হাসবেনা! ওদের কাজ হয়ে গেছে। মেমরি কার্ডটা যে আসল সেটা নিশ্চিত গেছে। এ হাসি সাফল্যের হাসি। তুমি তারাতারি বাঁধন টা খুলে ফেল! এখনও হয়তো সময় আছে!’ বলল রানা গোমড়া মুখে।
রানার হাতের বাঁধন খুলে ফেলল গিলটি মিয়া, এবার মনোযোগ দিল জলিলের বাঁধন খোলার দিকে। মুখের স্কচ টেপ খুলতে গিয়ে কি মনে করে খুললনা। জলিল ‘উ উ’ শব্দ করে প্রতিবাদ জানাল। কান না দিয়ে বাঁধন খোলায় মনোযোগ দিল, খোদার খাসী শরীরে বাঁধনটা বেশ টাইট হয়ে বসেছে!
ওদিকে পাশের রুমে সম্মিলিত হাসি এখনও চলছে, তবে এখন হাসছে শুধু কবির চৌধুরি আর গাবুল হোসেন, বাকি তিনজনের কোন সারাশব্দ নেই। একটু অবাক হল রানা, ওরা এখনও যাচ্ছে না কেন! হাতে সময় আছে মাত্র ৩ মিনিটের মত! একটা অস্ত্রের খোজে এদিক ওদিক খোজা শুরু করল রানা।
ওদিকে হঠাৎ করে কবির চৌধুরির হাসিও থেমে গেল, এখন হাসছে শুধু একা গাবুল হোসেন। বিষয়টা কি! এভাবে হঠাৎ করে হাসি থেমে যাবে কেন!
আর মাত্র ২ মিনিট সময় আছে বোমা ফাটার। গাবুল এখনও হেসেই চলছে কিন্তু বাকিরা একদম নীরব! কেন?!
অনন্তের বাধনও খোলা হয়ে গেছে! অনন্ত রানার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ছার, আমার কাছে এখনও একটা অস্ত্র আছে, ওরা খুজে পায় নাই!’
‘ভেরি গুড! চল তাহলে। সময় নেই একদমই!’
ওদিকে গাবুল হোসেন হেসেই চলেছে।
প্যান্টের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে অস্ত্রটা বের করে আনল জলিল, অন্ধকার হয়ে আসায় রানা ঠিক বুঝতে পারলনা অস্ত্রটা আসলে কি?
অস্ত্র হাতে সবার আগে জলিল, তারপর রানা সবশেষে গিলটি মিয়া।
রুমে ঢুকেই হতভম্ব হয়ে গেল রানা! কবির চৌধুরি, মোগাম্ব, ক্রিস্টিনা এবং রেগান চারজনই অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পরে আছে। আর গাবুল হোসেন হাতের ট্যাবলেটের দিকে তাকিয়ে উন্মাদের মত হাসছে! মনে হচ্ছে সেও যেকোন মূহুর্তে বাকিদের মত অজ্ঞান হয়ে যাবে। তাহলে এই ব্যাপার! হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে গেছে সবাই!!!
রানা কিংকর্ত্যব্যবিমূড় হয়ে গেলেও জলিল আর দেরি করলনা, ঘরে ঢুকেই ‘হে আল্লাহ, আমাকে সাহায্য কর!’ বলে হাতের অস্ত্রটা ছুঁড়ে মারল গাবুল হোসেনের দিকে! অস্ত্রের আঘাতেই হোক আর হাসির দমকেই হোক, গাবুল হোসেন সাথে সাথে কাটা কলাগাছের মত মেঝেতে পরে গেল!
‘তু... তুত্‌...।। তুমি ওটা কি ছুঁড়ে মারলে!’ রানার কথা আটকে গেছে বিস্ময়ে।
‘মুশকিল আশান বাবার তাবিজ’ ছার! অব্বের্থ জিনিস। আমার ‘ইস্পিড’ ছবিটা দেখেন নাই, ঐ খানেওতো এই জিনিস দিয়াই বর্ষারে উদ্দার করছিলাম! লাস্ট সিনে!’
‘হাতে আর সময় নেই’, গিলটি মিয়া তারা দিল রানাকে।
সম্বিত ফিরে এল রানার। চারদিকে একবার তাকিয়ে কর্ত্যব্য স্থির করে ফেলল।
'জলিল, তুমি গাবুল আর মোগাম্বকে নিয়ে বের হও, গিলটি মিয়া, তুমি কবির চৌধুরিকে বের কর। আমি বাকি দুজনকে নিয়ে বের হচ্ছি। যত বড় শত্রুই হোক না কেন, আমরা ওদের এভাবে মরতে দিতে পারিনা।'
আর মাত্র ৪০ সেকেন্ড বাকি! ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ওরা সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হল।
দুই কাঁধ থেকে দুইমনি বস্তা নামিয়ে রেখেই রানার মাথায় বিদ্যুৎ চমকের মত মনে পরল ‘মেমরি কার্ড! মেমরি কার্ডটাই তো নিয়ে আসা হইনি! কবির চৌধুরির ট্যাবলেটের মধ্যেই রয়ে গেছে!’
রানা ছুটল আবার বাড়ির দিকে, কিন্ত ৫০ গজের ভেতর পৌছানোর আগেই বিস্ফোরনে কেপে উঠল গোটা বাড়ি। মূহুর্তের মধ্যে দাউদাউ করে জলে উঠল আগুন! আগুন ধরে গেল রানার মাথার মধ্যেও! এত কিছুর পর শেষ পর্যন্ত মিশনটা ব্যার্থ হল! রাহাত খানের কাছে ও মুখ দেখাবে কি করে!
নিষ্ফল আক্রোশে কিছুক্ষন জলন্ত বাড়িটা দেখে ফিরে চলল আগের জায়গায়। গিলটি মিয়া ইতোমধ্যে সবকটার হাত পা বেধে ফেলেছে। জলিল রেগানার জ্যাকেটের পকেট থেকে তাঁর ফোনটা পুনোরদ্ধার করে টিপেটুপে দেখছে সব ঠিকঠাক আছে কিনা।
‘এনাদের কি নিয়া কি কোরবেন বলে ভাবচেন ছার’ অজ্ঞান দেহগুলোর দিকে ইঙ্গিত করল গিলটি মিয়া।
‘এখানেই রেখে যাব। সামনে কোথাও থেকে পুলিশ কে ফোন করে দিলেই হবে। আশে পাশে কোথাও হেলিকপ্টার থাকার কথা, ওরাতো হেলিকপ্টারেই পালাতে চেয়েছিল’

***৭***
হেলিকপ্টারটা পাওয়া গেল বাড়ির পেছন দিকে। রানা বিষন্ন মনে পাইলটের আসনে বসে পরল। জলিল বসল কোপাইলটের সীটে, গিলটি মিয়া পেছনে।
‘মনটা খুব খারাপ ছার!’ বলে উঠল জলিল।
‘কেন?’
‘আপনের সাথে পোথম মিশোন। আর এইটাতেই পেইল!’
‘কি! পেইল! ওহ আচ্ছা, ফেইল! মন খারাপ করনা। আমার অনেক মিশনই পেইল ... সরি ফেইল হয়, ওগুলা নিয়ে বই লেখা হয় না! তাছাড়া আমি আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম যে এরকম কিছু একটা হতে পারে’
‘কেন ছার!’
‘আরে এই কাহিনী লেখতেছে সামুর এক বলদ ব্লগার, মিশন সাকসেস হইব কেমনে! সাকসেস মিশন তো সব কাজী আনোয়ার হোসেন লেখে!’
‘দাঁড়ান ছার, এবার দেশে ফিরা নেই। ওই বলদারে যদি আমি সাইজ না করছি। হী ডেশটয় আওয়ার মিশোন আই ডেশটয় হিম!’
রানা মৃদু হাসল। কিছু বললনা।
বিষন্ন মনে পকেট থেকে তাঁর মেমরি কার্ডটা বের করে ফোনে ঢুকাল জলিল। কিন্তু ফোন অন করে বিভ্রান্ত হয়ে গেল। বিষয়টা কি! তাঁর নিজের জিনিসপত্র সব কোথায়!
‘কি হল?’ জলিলের বিভ্রান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল রানা।
‘আমার মেমরী কার্ডটা ছার! , আমার মেমরি কার্ডটা...’
‘কি হয়েছে মেমরি কার্ডের?’
বুঝতেছিনা, ভেতরে আমার নিজের জিনিসপত্র পাইতেছিনা। শুধু একটা ভিডিও ফাইল দেখতেছি! ফরম্যাট মাইরা দেই!’
‘দাঁড়াও!’ এত জোরে চিৎকার দিয়ে উঠল রানা যে পেছনে বসা গিলটি মিয়া পর্যন্ত চমকে উঠল! হেলিকপ্টার অটো পাইলটে দিয়েই জলিলের হাত থেকে খপ করে মোবাইলটা ছিনিয়ে নিল রানা। তারপর ভিডিও ফাইলটা বের করে প্লে তে চাপ দিল। পাঁচ সেকেন্ড দেখেই আনন্দে প্রায় লাফিয়ে উঠল রানা!
‘জলিল, এটাই সেই মেমরি কার্ড! এর মধ্যেই ভিডিও ক্লিপ টা আছে!’
‘ইয়াহু!!!’ জলিলও চিৎকার দিয়ে উঠল। ‘কিন্তু কিভাবে ছার!...... ওহ বুঝতে পারছি ছার কিভাবে কি হয়েছে!’
‘কিভাবে?’
কফি আনানের কাছে থেকে মেমরি কার্ডটা নেয়ার পর আমি আমার মোবাইলের মেমরি কার্ডের সাথে বদলানোর জন্য কার্ডটা বের করি। কিন্তু বদলানোর আগেই পেছন থেকে রেগানা আমারে ডাক দেয়। আমি তারাহুরা করে মেমরি কার্ড দুইটা দুই পকেটে ঢুকিয়ে রাখি। পরে রেগানা আমার পকেটে হাত দিয়েই মেমরি কার্ড টা পেয়ে ভাবে এইটাই আসল মেমরি কার্ড!’
‘গুড জব জলিল!’ বলল রানা হাসিমুখে! ‘আমাদের মিশন ব্যার্থ হল না তোমার জন্য!’
‘কিন্তু ছার আমার কাছে একটা বিষয় পরিস্কার হইলোনা। সবাই কি দেইখা হাসতে হাসতে অজ্ঞান হইয়া পইরা গেল?’ পেছন থেকে জিজ্ঞেস করল গিলটি মিয়া।
'এ প্রশ্নের উত্তরও জলিল ভাল দিতে পারবে' জলিলের দিকে তাকিয়ে বলল রানা,
‘তোমার মেমরি কার্ডে কি ছিল বলতো জলিল, ইভা রহমানের গান নাকি ছাকিপ খানের ড্যান্স?’
‘ওসব কিছু না ছার!’ বলল জলিল দাঁত বের করে,
‘আমার পরবর্তী ছবি ‘নিঃস্বার্থ ভালবাসা’র ট্রেইলার!!!
(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×