somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাদা!! আপনি বাংলাদেশ থেকে এসেচেন!!!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকের মুখে অনেক কথাই শুনেছিলুম। তাই যাচাই করার প্রথম সুযোগ পেয়েই হাতছাড়া করলুম না। হাড়গিলার মত চেহারার দোকানিকে বললুম, 'দাদা, এক প্যাকেট বেনসন দিন তো!'। :P দোকানদার বেটা ৩২ খানা দন্ত বিকশিত করে একখানা অকৃপণ হাসি উপহার দিল, অবশ্য তাতে ঠোটের কোনায় লেগেথাকা প্রায় গোড়া পর্যন্ত পুরে যাওয়া বিড়িটার কোন সমস্যা হলনা, সে রইল বহাল তবিয়তেই! কিন্তু এই আমি তাঁর হাসির অকৃপণতা দেখে বিভ্রান্ত হয়ে গেলুম! তবে কি দাদাদের কৃপণতা নিয়ে যা শুনেছি তার সবই ভুল! কই! কি সুন্দর অকৃপণ ভাবে হাসি দিচ্ছে! তো হাসিমুখো দোকানী দোকানের ভেতরের কোনা থেকে মহাযতনে সংরক্ষিত পলিথিনে মোড়া একটা ঠোঙ্গা মত বের করল। সেখান থেকে যেন সাত রাজার ধন বের করছে এমন ভঙ্গিতে একটা বেনসনের প্যাকেট বের করে হাতে দিয়ে বলল, 'দাদা! আপনি বাংলাদেশ থেকে এসেচেন!!' :#)
আমি মনে মনে বললুম 'লে হালুয়া!যাহা রটে তাহার কিছুটা তো বটে! এক প্যাকেট বেনসন খরিদ করা দেখেই বুঝে গেছ দাদা বাংলাদেশী!' মুখে বললুম, 'জি দাদা! আজগেই এলুম!' তারপর প্যাকেট খুলে একটা সিগারেট বের করে হাস্যমুখি দোকানির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললুম, 'নিন দাদা! আপনার বাংলাদেশি দাদার উপহার B-)!' বেটার হাসি বন্ধ হয়ে গেল সাথে সাথে, মুখ দেখে মনে হল যেকোন মূহূর্তে হার্টফেল করতে পারে:-*! এই ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না! অতঃপর সিগারেটটা হাতে কোনমতে গুজে দিয়ে বড় বড় পা ফেলে হাঁটা দিলুম! পেছন থেকে চিঁ চিঁ শব্দ ভেসে এল, 'দাদা! খুচরো নিয়ে যান!:-*' আমি পেছন দিকে না তাকিয়েই বললুম, 'রেখে দিন'। দু পা এগোইনি, পেছন থেকে শব্দ এল 'ধপাস!:-*:-*:-*'
আর পেছনে তাকালাম না, বয়াম টয়াম কিছু পড়ল বোধ হয়! এছাড়া আর কিই বা হবে!!!:P

............. আজ ব্লগার জাতির নানা র একটা পোস্ট দেখে ঘটনাটার কথা মনে পড়ে গেল। :P মজার সেই পোষ্টের কমেন্ট গুলো আরও মজার! সংকলিত করে দেয়ার লোভটা সামলাতে পারলুম না!
নিচে জাতির নানা র পোস্ট এবং নির্বাচিত কিছু মন্তব্য তুলে দিলুম!

ব্লগার জাতির নানা ’র পোস্ট থেকে -
কামলা সুত্রে ৮/৯ মাস আগে গিয়েছিলুম দাদাদের দেশে। যাওয়ার কয়েকদিন পর এক ইম্পোটার নেমন্তন করেছিলেন। আমি আর আমার এক অফিসার রাত ৯টায় গিয়েছিলুম তার বাসায়। ভেবেছিলুম কি না কি আয়োজন করে নেমন্তনে! সে কি আয়োজন ছিল...... না দেখলে বিশ্বাসই করবেন না............ পুরো ২টো বিস্কিট আর ১/২ কাপ চা...... আমি কিন্তু পুরোটাই খেয়েছিলুম!!!!!!!!!


(মোবাইলে ছবিটা তুলেছিলাম দেশে আমার কলিগদের দেখানোর জন্য, না হলে কেউই এই কথা বিশ্বাস করত না যে এইভাবে মেহমানকে কেউ আপ্যায়ন করে, তাও আবার বিদেশী মেহমান!!!)

নানার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্ট থেকে –
গেদু চাচার খোলা চিঠি বলেছেন - ''খেয়ে এসেছিস নাকি যেয়ে খাবি''........''চাঁর আনার সন্দেশ পাঁচ জনে মিলে ভাগ করে খেলুম......এখন ও দাঁতে লেগে আছে''.........আধা ছটাক তেলে পাঁচ কেজি চালের খিচুরি...মাইরি বলচি দাদা...যা স্বাদ হয়েচে না...''...dis is Kolkata...

কল্লোল নাসিম বলেচেন - কোলকাতার কথা জকন তুললেন ই তো দুটো কথা বলেই যাই: "মাইরি দুপুরে কি খাওয়াটাই না খেলুম...অরদেকটা ডিমের পুরোটাই সালা খেয়ে ফেলেচি"

ক্রেতাঃ দাদা মুরগির ওই ঠ্যাঙ এর পাস থেকে দুসো গ্রাম দিন তো
বিক্রেতাঃ সেকি দাদা বাড়িতে আজ উতসব নাকি...পুরো দুসো গ্রাম মুরগি !!
ক্রেতাঃ সেইরকম ই দাদা, দুই জামাই আজবে আজগে...ওদের দুজনের জন্য একসো গ্রাম আর আমাদের বাকি চারজন পুরো একসো গ্রাম...:-) :-)

হাবলু মামা বলেচেন: মুরগি রাধচেন নিকি দাদা ৷মাইরি বলছি, মুখে জল এসে পড়লো যে !দেখি, আপনার একটা ধুতি নিয়ে আসুন তো সিনান টা শেরে আসচি ৷তারপর একসাথে খাবোখন ৷

সনত বিশ্বাস বলেছেন - : তা মামা, কোল্কাতার বৌদি তোমায় আর কিচু খাওয়ায়নি? বচর দুয়েক আগে এগবার গিয়েচিলুম, মসলন্দপুরের বৌদি যা খাওয়ালো না... মরা টাকির লেজ আর তেলাকচুর ঝোল... আহ! মাইরি বলচি, সেই মরা টাকির ঘন্ধ একোনো নাকে লেগে আচে।

কলকাতার একটা জোকস:
এক লোক গেছে তার বোনের বাসায়। গিয়ে দরজায় নক করল। প্রথমবার কেউ খুলল না। আবার নক.........কোন সারা-শব্দ নেই। তারপরেও সে আবার নক করল। কিন্তু না, এবার ও দরজা খোলার নাম নেই।
শেষমেশ আর না পেরে বলল..... "দিদি, আমি খেয়ে এসেচি তো।"
দিদিঃ ওরে দুষ্টু, তা আগে বলবি নে?

ব্লগার জুন : ঐ দেশে ১০ বারের বেশী গিয়েছি।
কোদাই কানালে লেকে ঘুরবো, এক পান্জাবী দম্পতি জোর করে আমাদের সংগী হলো।ওনারা স্বামী স্ত্রী আর আমরা আমার পাচ বছরের ছেলে নিয়ে তিনজন।লোকটা বল্লো আসেন ফিফটি ফিফটি দিয়ে ঘুরি এত বড় বোট। বউটা সাথে সাথে বলে উঠলো ফিফটি ফিফটি কেনো ওনার একটা ছেলে আছে না, পাঁচ ভাগ করো
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কি আতিথেয়তা !! মুগ্ধ হলাম !! আমাদের এক আত্মীয়কে একটা পাঁপড় চার ভাগ করে দিয়ে নাকি ওরা বলেছিলো দিদি পুরোটাই খেতে হবে কিন্তু । আবার শুনেছি ওরা কেউ গেলে নাকি জিগ্যেস করে, খেয়ে এসেছেন ? না যেয়ে খাবেন ?

নানাভাই বলেছেন: আমার এক পরিচিত মালুর বড় বোন কইলকাতা থাকে, তো মালু গেলো কইলকাতাতে বইনের সাথে দেখা করার জন্য সোজাসুজি বাংলাদেশ থেইক্যা ; তখন নাকি বইন তারে কইছিলো "শংকর আমাদের দুপুরের খাবার তো খাওয়া শেষ। আর একদিন আসিস আমার বাসায়, এক বেলা খেয়ে যাবি । " মালু বইনের কতা শুইন্যা ভাই নাকি তাড়াতাড়ি অন্য এক পরিচিতের বাসায় উঠছিলেন...বুঝেন এখন ....।
ফারহারোজ বলেছেন: আমি এখানে ইন্ডিয়ানদের সাথে কাজ করি। ওরা একটা পেনি ও ছেড়ে দেয় না। ওরা ছোট একটা বাটিতে সবজি আনে আর তা দিয়ে দুটা রুটি খাবে এটাই ওদের লাঞ্চ বা ডিনার হয়ে যায়। ওরা এতো কিপটা যে কি বলব। মাক্ষি চুষ একেকটা ।
নুভান বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশীদের ছোট্ট একটা কম্যুনিটি ছিলো কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবাই মিলে বেশ মজা করতাম, দাওয়াত খেতাম হপ্তায় হপ্তায় প্রতিটা বাসায়। হঠাৎ এক কলিকাতার বাঙ্গালি পরিবারের সাথে দেখা, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ভিজিটিং প্রফ হিসেবে এসেছেন, সাথে ওনার স্ত্রী আর ছোট্ট বাচ্চা। বাঙ্গালি শুনে আমি বাকি সবাইকে ডেকে হাজির করলাম, সেদিন-ই তাদের কে নিয়ে সারাদিন নিজেদের ক্লাস ফেলে ওনাদের নিয়ে বিভিন্ন মার্টে - দোকানে ঘুরলাম (নতুন দেশে এসে অনেক কিছুই তাদের কেনা-কাটির ছিলো)। আর ওই বৌদি জিনিস কেনার সময় দাম ঝকাঝকি নিয়ে কি করলেন আর নাই বা বললাম, পাকিস্থানি এক দোকানে গিয়ে দোকানদারকে তো রীতিমতন গালাগাল শুরু করে দিয়েছিলেন, এক প্যাকেট মশলার দাম ৫ ডলার(!) কেন বলে (যদিও আমরা বেশ মজা পাচ্ছিলাম ওগুলো দেখে)। প্রচুর বাজার আর খাবার নিয়ে ৪ বীর পুরুষ ওই দাদা আর বৌদির বাসায় গেলাম বা্জার শেষে, রাত প্রায় ৯ টার মতন। বৌদি বাজার নিয়ে গোছগাছ শুরু করলেন আর আমরা দাদা-র সাথে গল্পে বসলাম। স্বাভাবিক ভাবেই ভাবলাম হয়তো বৌদি রাতের খাবারের আয়োজন করছেন, ওমা! নাস্তা হিসেবে এল শুকনা কফি (তাও স্টিকের), সাথে আর কিচ্ছুই নেই আর ইঙ্গিতেই বোঝা গেলো, কফিটুকু খেয়ে তোমরা ৪ জন ভাগোতো বাপু! যাহোক, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ওনাদের দাওয়াত করে খাইয়ে দেখাব যে আমাদের কম্যুনিটির কালচার কি, পরের শনিবার রাতে তারা স্বপরিবারে এক ভাইয়ার বাসায় দাওয়াত খেয়ে সেই যে উধাও, আর মাস খানেক হল পাত্তাই নেই (হয়তো ভেবেছিলো আমরা আবার ওনাদের বাসায় দাওয়াত না চেয়ে বসি)!!! এখনও সেই কথা ভেবে বেশ হাসি পায়।

শোভন এক্স বলেছেন: দার্জিলিং থেকে ফেরত আসার দিন সকালের ঘটনা। সবাই নাস্তা করে বসে আছি চা-এর জন্য, চা খেয়ে গাড়িতে উঠবো। হঠাৎ ট্যুর অপারেটরের ইন্ডিয়ার পার্টনার কলকাতার এক দাদা বলছেন, "চা করা হয়নি দাদা, এখন চা খেলে অম্বল হবে" । বোঝেন অবস্থা, প্রায় ৪০জনের গ্রুপ আমাদের, এতো টাকার ব্যবসা করলো, এক বেলার সামান্য চা-এর খরচটাও বাঁচানোর ধান্ধা করছে। আমরাও অবশ্য ছেড়ে দেইনি, বললাম পেটে অম্বল হবে না হার্ট এ্যাটাক হবে সেটা নিয়ে তার দু:শ্চিন্তার কোনই প্রয়োজন নেই, চা খেয়েই তবে এসেছি

মুন্তাসীর মাসুদ বলেছেন: দাদা খেয়ে এসেছেন? নাকি যেয়ে খাবেন? পরের বার আসলে খেয়ে যেতে হবে কিন্তু কোন কথা মুনব না!!!
বীলজেবাব বলেছেন: ভাই বললে ত বিশ্বাস ই হবে না কারো। কলকাতা গিয়ে বেনসন খুঁজে পেলাম না কোনও দোকানে । দাদারা ত এক পাতার বিরি ৭ জন ভাগ করে খান ।

নেফেরতিতি বলেছেন: আমার বাবার মামাত ভাইরা থাকেন কলকাতা,তো আমরা গেলাম,বাবা বলল,চল তোদের সবাইকে চাইনীজ খাওয়াব,সবাই না না করে আর বলে দাদা আমরাই তোদের চাইনিজ খাওয়াব,পরদিন আবার আমার জন্মদিনও ছিল। দুপুর বেলা কাকী আমাকে ঘুম থেকে তুলে বলে,ফ্রাইড রাইস বানাব,তুমি কি ভাতের আগে খাবে না পরে খাবে?? আমি ত হা,ভাবলাম দেখাই যাক,বল্লাম ভাত খাবনা ফ্রাইড রাইস ই খাব।খেতে বসে দেখলাম সবাই ভাত খাবার পর পায়েস খাবার মত করে দু চামচ রাইস খেল,আর আমাকে দেয়া হল কেবল ঐ দু চামচ রাইস।আমার মা পরে রাগে দুঃখে একাকার,হাজার হাজার টাকার গিফট আর জামদানী শাড়ি নিয়ে যাবার পরেও বলে দাদা পরের বার আসার সময় অমুক আনবে তমুক আনবে,এমনকি মশারী পর্যন্ত আনতে বলেছে।

রেজোওয়ানা বলেছেন: কোলকাতার গুলো বেশি বজ্জাত। একবার এক হোটেলে বিরানী খেলাম, লেবু আর কাঁচা মরিচ দেয়নি বলে সেগুলো চেয়ে নেয়া হলো। পরে দেখে এটার জন্য আবার আলাদা বিল। ওদের মিষ্টি দোকানে চারাটা, পাঁচটা করেও মিষ্টির প্যাকেট পাওয়া যায় জানেন?

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক লোক আয়েস সহকারে বলঃ বাসায় গিয়ে আধ প্লেট ভাত আর অর্ধেক ডিম মেরে দিলুম দাদা! ভেবে দেখুন।

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আমি তো সেবার এক নেমন্তন্নে গিয়ে পুরো হাফবাটি মুড়ি এক গেলাস জল দিয়ে মেরে দিয়েছিলাম।

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওদের বাসায় আমাদের দাওয়ার দিলে ওরা ভেজিটেরিয়ান আর আমাদের বাসায় ওরা খেতে আসলে পারলে আস্ত ছাগলই খেয়ে ফেলে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।

রবিনহুড বলেছেন:
আমি আর আমার এক কলিগ গিয়েছিলাম এক বিজনেজ পার্টনারের বাসায়। ওই ব্যাটা নিজেই জোর করে তার বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। যাবার আগে আমাদের দুজনকে সাথে করে বাজার করতে গেল... আমরা আশা করলাম আজ রাতে নিশ্চয় জম্পেস খাওয়া দাওয়া হবে।
বাজারে গিয়ে দেখি কবুতর সাইজের একটা মুরগী দেখিয়ে বলছে "এটার অদ্দেকটা দাও দিকি".....
আমি আর আমার কলিগ একজন অন্যজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি... যত দূর জানতাম তার বাসায় বৌ, ফুপু ও ২ ছেলে আছে... সে সহ..মোট ৫ জন তার সাথে আমরা ২জন.. মোট ৭ জনের জন্য কবুতরের সাইজের মুরগীর অদ্দেকটা....
বাসায় নিয়ে গিয়ে বৌদির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমাদের গপ্প করতে দিল... বৌদি পারলে সারা রাত আমাদের সাথে গপ্প করে...
পরে বুঝলাম কোন ক্যালকেশিয়ান যদি বোঝে আপনার সাথে বিজনেস হওয়ার সম্ভবনা আছে তা হলে তার বৌ ও আপনাকে দিয়ে দিবে....(এটা এক ইন্ডিয়ান ই এই কথা পরে বলেছিল, এটাই নাকি তাদের কালচার)
আর যদি বোঝে বিজনেস হবে না ,... তা হলে পরদিন দেখা হলেও মুখ ফিরিয়ে চলে যাবে.... একটি বারের জন্য বলবেও না.. "দাদা কেমন আচেন?"
ইন্ডিয়ান গুলো হল... খাইষ্ট্যা নম্বার ওয়ান

জুল ভার্ন বলেছেন: একই ধরনের ঘটনা নিয়ে বছর চারেক আগে আমার বাবুয়া নিকে একটি সত্য ঘটনা উল্লেখ করে পোস্ট দিয়েছিলাম। তখন থেকেই ততকালীন 'এ টীম' আমাকে ভারত বিদ্বেসী, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি নামে ট্যাগিং করা শুরু।
আমরা ৪ জন গিয়েছিলাম। সকালে আমাদের নাস্তায় একটা ডিম ভেজে চার ভাগ করে দিয়েছিল। সাথে মিনি সাইজের অর্ধ পোড়া ৪ টা আটার রুটি(অমন ১০টা রুটির কমে আমরা কোনো বাংলাদেশীরা সকালের নাস্তায় খাইনা)।
আমার হোস্ট আমাকে সাথে নিয়ে বাজারে কশাইকে গিয়ে বলে-"দাদা আধা কিলো মাংশ দাওদিকিনি"।
তখন কশাই বলে-"বড় বাবু, বাড়িতে কি কুটুম্ব এসেছেনাকিগো"?
তখন আমার হোস্ট বলে-"হ্যাগো, দেকচোনা বাংলাদেশ থেকে দাদা এসেচে-সাতেকরে বাজার দেকাতে নিয়ে এলুমগো"।
তখন কশাই জিজ্ঞেশ করে-"বাবু মাংশ কয়টুকড়া কর্বোগো"?
হোস্ট জবাব দেয়-"দাদা,বৌদি আর তাঁর দুই পূত্র এসেচেগো-৮ টুকড়া করে দাও-পত্তেককে দুই টুকড়ো করে দেবোগো-আম্রাতো মাংশ খাবোনা"।

আহমেদ আরিফ এক বন্ধুর সাথে আরেক বন্ধুর দেখা।একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করলো ,দুপুরে কি খেয়েছো?অপর বন্ধুর উওর , বাবা বাজার থেকে ৫০০গ্রাম মাংস এনেছিলু।তার থেকে মা আদ্দেক রান্না করলো বাকি আদ্দেক ফ্রীজে তুলে রাখলো।দিদি এসেছিলো জামাইবাবু আর বাচ্ছাদের নিয়ে।আমরা সবাই মাংস দিয়ে দুপুরে ভাত খেলুম।বাবা বলায় মা পাশের বাসার রহমান বাবুকেও কিছুটা দিয়ে এসেছে ।মা আবার বাটিতে করে রাতের জন্য একটু তুলে রাখলো ।যা মজা করে সবাই মিলে মাংস খেলুম না!!!

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমাদের দেশে যেমন মিষ্টি কুমড়া ফালি বিক্রি হয়, কলকাতার বাজারে লাউ ঐ ভাবে বিক্রি করে। মিষ্টির দোকানে যেয়ে তো আমার আক্কেল-গুড়ুম! কেজি হিসেবে মিষ্টি বোধহয় ওরা বিয়ে ছাড়া কিনেনা। এক পিস দুই পিস করে মিষ্টি বিক্রি করে।
লাষ্ট যেবার গিয়েছি। তখন তো দেখলাম বাইরে যে চা বিক্রি হচ্ছে তা আমাদের শিরাপ খাওয়ার ক্যাপের মধ্যে!!!

ছোটমির্জা বলেছেন:
আফসুচ, আমার পাসফুট আমার কাছে নাই।
থাকলে আজই ক্যালকেশিয়া যাবার লাইন দিতাম।
---------- বিস্কিট আর চা দেখ্যা খিদাডা চনমন করে উঠল---------

সেদিন আজিজ মার্কেটের নিচের স্ন্যাকসের দোকানে নাস্তা করছি- ক্যালকেশিয়ান কয়েকজন দাদা ও তিন চারজন দিদি,বৌদি মিলে এমন চিল্লানি শুরু করল দোকানীর সাথে যে আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলুম।
'প্যাকেট রুটির দাম বেশী কেন', 'এই তুমি কটা খেয়েচ', 'এই টাকা চলবে কিনা', ব্লা ব্লা।
শেষে যা শুনলাম- ৭/৮ জন মিলে বিল করেছে প্যাকেটজাত খাবার সহ ২৭০ টাকা।
হেসে দিলাম।

সবুজ ভীমরুল বলেছেন:
উনারা কিন্তু মিষ্টি কেজি দরে মিষ্টি কিনেন না, "পিচ" হিসেবে কেনেন। মার্কুইস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিটের আসে পাশে কিন্তু "পিচ" হিসেবে মিষ্টি পাওয়া যায়। আপনি যদি এক কেজি মিষ্টি চান মনে হয় টাস্কি খাইয়া যাইবো!!!!!!!

কবি ও কাব্য
বলেছেন: @নানা ভাই কি করলেন? এতো শব্দ খরচ করেছেন মাইরি! কিবোর্ড কিন্তু গরম হইয়া যাইবো, জলদি বন্ধ করেন!!!!!!!!
বৌদি আপনাদের ঘরে ৭ দিন তালা দেখলুম কোথায় গিয়েছিলেন?
কোথাও যাইনি ছোটন , তোর কাকা বললো চিনির দাম বেড়ে গেছে তাই যাতে চিনির দাম না কমা পর্যন্ত বাড়ীতে মেহমান না আসে সেই জন্য বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে, আমরা ঘরের ভেতরেই ছিলাম। জানিস তো সারা মাসে কত্তত্তত্তত্তত্তত্ত চিনি খরচ হয়!!!! আড়াইশো গ্রাম চিনি সারা মাসে খরচ করলে বুজিস তো সারাদিন কত মেহমান আসে, আমিও বললুম ঠিক করেছো। আগামী মাস থেকে ঠাকুর ঘরে পূজাও করা বাদ দিয়ে দিবো শুনলাম দুধ ,কলার দামও নাকি বাড়বে!!!! ঠাকুর কে দুধ কলা দিতে গেলে তো সারা মাস না খেয়েই থাকতে হবে!!!!!!!

কর্তা রাতে ভাত খাওয়ার সময় দেখলেন উনার ৫০ গ্রাম ওজনের ২০০ গ্রাম ওজনের ( দাদাদের জন্য অনেক মোটাতাজা) পরিপূর্ণ বয়সের পোষা বিড়ালটা মেউ মেউ করছে । উনি গিন্নি কে ডেকে বললেন "কি ব্যাপার আজ ১ বছর পরে একটা ইলিশ মাছ আনলুম তুমি বিড়াল টারে এক টুকরো মাছ দাওনি "? গিন্নি রেগে গিয়ে বললেন " ওমা বলে কি? আমি তো রান্না করার পরেই সবার আগে বিড়ালটাকে খাইয়েছি, আসতো এক তুমি এতক্ষণ ধরে ইলিশের টুকরা খেয়েছো ঐটাই তো ওরে ঐ টুকরার বাকী অংশ। ওরে দেয়ার সময় হাত বুলিয়ে বলেছিলাম এইখান থেকে তোর দাদার অন্য অর্ধেক টা রাখিস, সারা বছর ঐ এক ইলিশ দিয়েই চলতে হবে। আর বিড়ালটাও লক্ষ্মী বিড়ালের মত কি সুন্দর করে অর্ধেক খেয়ে তোমার অর্ধেকটা রেখে দিয়েছে সেইটাই তো পাতিলে রেখে ছিলুম। ও তোমাকে দেখে মেউ মেউ করছে মাছের জন্য নয় ,সে তোমাকে জিজ্ঞেস করছে দাদা খেতে কেমন লাগে"?

rasel246 বলেছেন: ভাই আমি গত নভেম্বরের লাস্টে গিয়েছিলাম ব্যবসার কাজে......। আপনি চায়ের সাথে ২ পিস বিস্কিট পেয়েছেন...আমি এক গ্লাস পানিও পাই নাই!
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×