এই পোস্টটিতে মন্তব্য করুন বা নাই করুন, দয়া করে একবার চোখ বুলিয়ে নিবেন। এই ১বৎসরে অনেক নতুন ব্লগার এসেছেন.. তারাও পড়বেন দয়া করে।
................................................................................................
পৃথিবীতে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠিত বিষয়েরই একটা কার্যকারণ রয়েছে (না হলে সেটা স্থায়ীত্ব পেতনা)।
সম্রাট আকবরের আমলে চালু করা বাংলা পঞ্জিকা খাজনা আদায়ের সুবিধার্থেই করা হলেও এর প্রণয়নের সাথে মহাকাশ ও মহাপ্রকৃতির একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আকবরের সভায় শুধু নবরত্ন ছিলেন তাই নয়। ছিলেন এমন জ্ঞানী সব জ্যোতির্বিজ্ঞানী যাঁরা চোখের পলকে রাতের আকাশ পানে চেয়ে তারার অবস্থান দেখে নিখূঁত ভাবে সময় ক্ষণ দিন বলে দিতে পারতেন। বলতে পারতেন আগত অমাবশ্যা বা পূর্ণিমার সঠিক হিসেব যা এখন আমাদের চাঁদ দেখা কমিটি
একজন গায়ের জোরে একটা পন্জিকা, যা পুরোপুরি জ্যোতির্বিজ্ঞান নির্ভর; তা শুধু গণনার সুবিধার্থে হেরফের করে দিলেন আর আমরা দিব্যি তা মেনে নিলাম। তিনি তো চাইলে আকবরীয় টাইপ একটা এরশাদীয় ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করতে পারতেন; মানা ছিলনা। তাতে তিনি ৭২ ঘন্টায় ১ দিনও বলতে পারতেন, পারতেন বলতে, দিন শুরু বেলা ১২ টা থেকে। তা না করে তিনি বাংলা মাস নিয়ে পড়লেন। এখন প্রশ্ন হল মহাকাশে গ্রহ নক্ষত্রও কি তাঁর মর্জি মত চলবে, না চলেছে? বিশাখা জেষ্ঠারা কি সে মতই আকাশে অবস্থান করবে?
এসব নক্ষত্র (নক্ষত্র বলতে শুধু তারাকেই বোঝায় না, আকাশে বিশেষ কৌণিক অবস্থান অঞ্চলকেও বোঝায়) আকাশে ২৯/৩০/৩১/৩২ এভাবে থাকে। তার ওপরই নির্ভর করে মাসের দৈর্ঘ্য।
আকবরের আমলে তৎকালীন হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা নানা বিষয়ে আকবরের বিরোধিতা করে এসেছেন, তাঁরাও এই ক্যালেন্ডার মেনে নিয়েছিলেন কারণ এটা আমাদের এরশাদ সাহেবের মত গায়ের জোরে পরিমার্জিত নয় (বিঃদ্রঃ মডিফাই করা সহজ, সৃষ্টি করা কঠিন)
বরং সম্পুর্ণ বৈজ্ঞানিক ভাবে করা।
বর্তমান ১৪ই এপ্রিল নববর্ষকে ধরে ১ বৎসর করে পিছিয়ে আকবরের আমলে ফিরে গেলে আসল ১লা বৈশাখটাই থাকেনা। এভাবে ১৮৬১ র ২৫ শে বৈশাখ মেলেনা। ১১ই জৈষ্ঠ্য, ২২ শে শ্রাবণ; কিছুই না।
এক বাংলা মাস ২ রকম কোন ভাবেই হতে পারেনা। যদি কেউ এটা করার চেষ্টা করে থাকে তবে তার ভেতরে একটা বিভেদ প্রবণতা কাজ করছে ধরে নেয়া যায়।
এভাবে ১ দিন না এগিয়ে বরং আমার ভাল প্রস্তাব আছে। বছরে ১১ মাস ৩০ দিনের আর এক মাস ৩৫/৩৬ দিন করে ৩৬৫/৩৬৬ দিন মিলিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
সবাইকে শুভেচ্ছা। কিসের তা আর বললামনা। যে যেভাবে পারেন ধরে নেন।
পোস্ট টা ১ বৎসর আগের। রি পোস্ট করলাম। যতদিন এই বিষয়ের সুরাহা না হবে, বারে বারে পোস্ট দিয়ে পাব। কারণ সবার জানা দরকার।
(ব্লগে ছায়ানটের কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন। আপনারা হলেন সেই প্রজাতির সংগঠন যারা সত্য জেনেও প্রতিবাদ করেন না, কেন তা নিষ্চয় আপনারা জানেন। আপনারা যদি মাত্র একবার বেঁকে বসতেন, যদি মাত্র একবার বলতেন আমরা প্রকৃত ১লা বৈশাখেই রমনা বটমূলে যাব, অনেক আগেই আমরা আমাদের আসল ঐতিহ্যবাহী দিনপঞ্জিকা ফিরে পেতাম। কাজেই আপনাদেরও দায় এড়াবার সুযোগ নেই।)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




