রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় ফাঁসি মওকুফ পাওয়া আসলাম ফকির (৫০) আবার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে যশোরের চৌগাছা কলেজপাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮–এর একটি দল। এরপর তাঁকে র্যাবের ফরিদপুর ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
ফাসি কার্য্যকর হওয়ার আগ মুহুর্তে প্রচন্ড ক্ষমতার ব্যাবহারে এবং ব্যাবস্থাপনায় পাগল সেজে ফাসি থেকে রক্ষা পেয়ে মুক্তও হয়ে গেছিলো আসলাম ফকির। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পরেও এবং পাগল সেজে ফাসি হতে রক্ষা পেয়ে এলাকায় এসেই এলাকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ্যভাবে আবার জড়িয়ে পরে।
অথচো এটা আমি হলে বান্দরবন বা সেন্ট মার্টিন যেয়ে বাকি জীবন ডাব বিক্রি করতাম আর আল্লাহ আল্লাহ করতাম অপরাধ করেও ফাসির আগ মুহুর্তে ছাড়া পাওয়ায়।
২০০৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গার মানিকদহ ইউপির চেয়ারম্যান এ কে এম সাহেদ আলী ওরফে সাহেব মিয়া হত্যা মামলায় আসলাম ফকিরসহ অপর দুই আসামি তারা মৃধা ও ইমারত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। হাইকোর্টেও এ রায় বহাল রাখা হয়। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর আসলামের ফাঁসি কার্যকরের দিন ধার্য হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জনসহ সবাইকে চিঠি দিয়ে প্রস্তুতও থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু ঠিক থাকলেও ফাঁসির এক দিন আগে অস্বাভাবিক আচরণের কারণে তাঁর ফাঁসি স্থগিত হয়ে যায়। ওই দিনই দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তিনি। এরপর সাধারণ ক্ষমায় তাঁর ফাঁসি মওকুফ করে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। কারাগারে সদাচরণের কারণে সাজা কমিয়ে ১৩ বছর ২ দিন কারাভোগের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তি পান আসলাম।