প্রায় ৩ বছর সামু তে কিছুই লিখি নাই।
কেন লিখি নাই, এটার কোন কারন খুঁজে পেলাম না। আমি একজন আলু লেখক। আমার লেখা পড়ে মানুষ কম।
যাই হোক…..
সেই ২০১১ সাল থেকে সামু তে লিখছি। আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি, ব্যর্থতা সব ই এখানে লিখে রাখি 'দি হাবলু' ছদ্মনামে। ১৮ বছর বয়সে আমি লেখা শুরু করি। এখন ২৮ চলে। লেখার মান দিন দিন পিছনের দিকে যাচ্ছে যদিও।
একটু নিজের সম্পর্কে বলি। আমি একজন ইন্ট্রোভার্ট ধরনের মানুষ। আমার বন্ধু সার্কেল নাই বললে চলে। একজন ছিল সে দেশের বাইরে। এখন তেমন কথা হয় না। আমার একটা প্রেমিকা ছিল। যার সাথে বিয়ের কথা চলছিল। সেও এখন নাই। ঢাকাতে একটা ছোট ২ রুম এর এপার্টমেন্ট এ থাকি। আমার সাথে ভার্সিটির একটা ছোটভাই ও থাকে। তার সাথে উইকেন্ড ছাড়া দেখা হয়ই না।
অফিস শেষে ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করে না। গুলশান ২ চক্করে যে বসার জায়গা আছে, ওইখানে রাত ১০ পর্যন্ত বসে থাকি। চারিপাশ পর্যবেক্ষণ করি। রাস্তা দেখি, ট্রাফিক লাইট দেখি, গাড়ি দেখি, ফুডপান্ডার ছেলে গুলাকে দেখি, হেটে যাওয়া মানুষ দেখি, বিলবোর্ড দেখি। ভালোই লাগে।
ফেলে আসা সময়ের মানুষ গুলাকে মনে পড়ে মাঝে মাঝে। আমার জীবনে যারা এসেছিল আবার চলেও গেছে।
ছোটবেলার বন্ধু গুলা, পুরো হৃদয় জুড়ে যাদের কে আকড়ে ধরে থাকতাম। যাদের কে ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারতাম না। তারা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে? তারা কি বিয়ে করেছে, বাচ্চা হয়েছে?
ভার্সিটির ক্রাশ কে সেদিন শেফ'স টেবিলে দেখেছিলাম বাচ্চা হাতে। চেহারা আগের মত নেই। সংসারের চাপ চোখেমুখে স্পষ্ট। বাচ্চা সামলাতে সামলাতে সে আমার সাথে কথা বলে গেল। সংসারের চাপ থাকার পরও জীবনকে সে উপভোগ করছে। এর চেয়ে ভালো খবর হয় না।
আমার পরিচিত মানুষেরা সবাই আনন্দে থাকুক। সুখি থাকুক। সব দুশ্চিন্তা ফেলে দিয়ে রাতে শান্তিতে ঘুমাক। আমার মনে এখন শান্তি নেই যদিও। কিন্তু তাদের শান্তির জন্য সামান্য প্রার্থনা করতেই পারি। এতেই আমার ভালো লাগে।
আবার কবে লিখব জানি না। তবে লিখব। যতদিন না বুক টা হালকা হচ্ছে। লিখব। এটাই আমার মন খারাপের ওষুধ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০১