নাগরিক ব্লগে গিয়া মেলা টাশকি খাইলাম। উত্তরাধুনিকতার বন্যায় নাগরিক বল্গ ভেসে যাচ্ছে। ইহা অতি মনোরমপ্রদ হওয়ায় আপনাগো লগে শেয়ার করতে দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ লইল পেরানে।
আসেন কিছু Xম্পেল লইয়ালন।
উত্তরোত্তরাধুনিক কবিতা (উত্তর+উত্তর+আধুনিক =উত্তোরোত্তরাধুনিক)
আকাশে উড়িতেছে কতিপয় বলদ
মেঘ খাবে বলে
করিয়াছে পন;
ফতুর করিয়া দিবে
অঝর শ্রাবণ।
আচানক বলদ কহে
বুঝলা আবাল
আজকাল মেঘ বড়ই পানসে,
বোধ করি সুর্য্যি মামা
সর্দি বাঁধাইয়াছে।
মাথা চুলকাইয়া আবাল কহে
লইয়া জ্ঞানীর ভাব
আগেই কইছিলাম সুর্য্যি মামা
ইদানিং বড্ড বেশী কুলফি মালাই খায়।
পুরাটা..
টোকন ঠাকুর,সুমন রহমান, মারজুক রাসেল প্রমুখদের পার্ভার্ট কবিতা ও তথাকথিত উওরাধুনিক টর্চার
নাগরিক ব্লগে উত্তরাধুনিক কবিতায় কবিতায় ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। না বললে অন্যায় হবে যে আমিও যে দুই একটি উওরাধুনিক কবিতা ট্রাই করিনি তা নয়। উওরাধুনিক কবিতা খুব একটা খারাপ না। কারণ এইসব ছাইপাশ লিখতে আপনাকে মোটেও ভাবতে হবে না,জানতে হবে না,পড়তে হবে না। আজিজের চিপায় চলে যাবেন সটাং। প্রবল রিপন,মারজুক রাসেল,টোকন ঠাকুর,সানী,এদের সাথে গঁজিকায় দুই তিন টান দিবেন। আপনার মুখ দিয়ে ফর ফর করে বের হবে উওরাধুনিক কবিতা। যেন ম্যাকেঞ্জি বিস্কুটের বিজ্ঞাপন। বিস্কুট খেয়ে যেমন “ও মর্জিনা, আই এম কামিং” টাইপ ইংরেজী বের হয় তেমনি গাঁজা টেনে আর উল্লেখিত ওইরকম দুই একজন উওরাধুনিক পদার্থের সাথে দুই-এক টান দিলে ফুল অটো আপনার ভেতর থেকে বের হবে উওরাধুনিক রদ্দি মাল। যেমন,
“ কাল গিয়েছি চাঁদের সাথে দেখা করতে,
এখন বাজে সকাল ৭টা,
অফিসে গিয়ে খেতে হবে গাট্টা”
আরো আছে গো..
তুষার হাসান মাহমুদ এর কবিতা- "উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল"
দুধশাদা ডাক্তারনী কহিলেন, আপনার উত্তর আধুনিক হইতেছে না। কী জ্বালা! আমি তো সব কথার জেনুইন জবাব দিলাম- প্রশ্রাবের রাস্তায় একটা ট্রাফিক জ্যাম লাইগা গেছে। তবু নাকি গরীবের উত্তর আধুনিক হইতেছে না। এবার অবশ্য ডাক্তারনী একটা আধুনিক উত্তর দিলেন- গরীবের আত্মা নিয়া দুনিয়ায় খালি খালি সময় নষ্ট করবেন? আমি মনে মনে কহিলাম, গরীবের সময়টাই যে নষ্ট হবার। সেইটা করতে করতে না হয় দেখলাম, রুগী দেখতে দেখতে আপনে আরো কতকাল দুধশাদা থাকেন। তারপর...
পোস্টমর্ডান আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া সিস্টেমেটিক গামা রশ্মির আলোকে আমার দর্শন
কালের আবর্তে মানুষ ঘুরপাক খায়… আর কবিতা !!! সেতো প্রাণহীন এক অবয়ব মাত্র। প্রিসিস্টিন সেই । ষোড়শ শতকে বলেছিলেন ইনকা সভ্যতার হোঁচট ও সেই আবর্তে কালের ঘূর্নায়মান দিক ও তার ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতার ভবিষ্যত বাণী । সুতরাং, ফলাফল যাই হোক না কেন, তাল কাহারবা ও জাহেরীয় বিচ্ছুরণ উন্মোচনে দাদরা ও ত্রিনোক মালানি এক হবে তা বলা বাহুল্যমাত্র ।
সে কারোণেই, মহা কবি কালিদাশ বলেছিলেন,
“মুদেছি নয়নে তিরোহিত দিবায়
রজনী ক্লান্ত হয়ে মোর গ্রীবায়”
details...
হায়রে উত্তরাধুনিক .....
সামনে ছোট্ট একটা স্বচ্ছ লেক।
মাথার উপর খোলা আকাশ,
খোলা আকাশের নীচে একটা গাছ,
গাছের নিচে আমি।
২৫ টাকা দামের সেন্টু গ্যাঞ্জি,
পরনে থ্রী-হাফ কোয়ার্টার প্যান্ট।
বাকী অংশ...
আর সহ্য হইতেছে না। মাথা চক্কর দিচ্ছে।
বি.দ্র. ইহাকে কেও নাগরিক ব্লগের বিজ্ঞাপন মনে করিলে ভ্রান্ত বিবেচনায় পতিত হইলেন। ইহা নাগরিক ব্লগে আমার দ্বিতীয় গমন। শক্তি সঞ্চয় পূবর্ক নেক্সেটে গমন করিতে পারি।