somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজকের প্রথম আলোতে বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী ইভা রহমানের জামাইয়ের কিছু কথা পড়ুন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আজকের প্রথম আলোতে বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী ইভা রহমানের জামাইয়ের কিছু কথা পড়ুন।
বাফুফের জাতীয় স্কুল ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন কিছুদিন আগে। সেই স্কুল ফুটবল শুরু হয়েছে পরশু। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উদ্বোধনের পর তাঁর ফুটবল-সম্পৃক্ততা এবং আরও নানা বিষয়ে কথা বললেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান

 আপনি তো মিডিয়ার সঙ্গে আছেন। খেলার জগতে আসার বিশেষ কারণ ?
মাহফুজুর রহমান: আমি খেলাধুলা করতাম। স্কুলজীবন থেকেই ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ ছিল। সেই ফুটবলের জনপ্রিয়তা এখন কমে গেছে। এ অবস্থায় ফুটবলের জন্য কিছু করতে চাই। তাই এই দায়িত্বটা নেওয়া।
 বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ কীভাবে হয়েছে?
মাহফুজুর রহমান: আমরা এটিএন বাংলায় অনেক খেলা সরাসরি সম্প্রচার করছি। বাফুফে যখন স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান হতে আমাকে প্রস্তাব দিল, বেশ উৎ সাহী হলাম। কারণ, আমার হাতে চ্যানেল আছে। খেলাটা আমি প্রোমট করতে পারব।
 স্কুল ফুটবল নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
মাহফুজুর রহমান: ব্যাপক পরিকল্পনা আছে। এই স্কুল ফুটবলে খেলছে ৫ হাজার স্কুল, এক লাখ খেলোয়াড়। এখান থেকে আমরা ধাপে ধাপে এক শ ছেলে বেছে ট্রেনিং দেব। শেষ পর্যন্ত হয়তো ৩০-৪০টা ছেলেকে দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণের জন্য পাব আশা করি।
 প্রশিক্ষণ দেওয়ার ধরনটা কেমন হবে?
মাহফুজুর রহমান: এই ছেলেদের দেশে-বিদেশে খেলাব। বাইরে থেকে দল আনব। খেলাধুলায় অনেক টাকা দরকার, তাই ফান্ড বাঁচাব। এবার স্কুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে কালচারাল অনুষ্ঠান না করে দশ লাখ টাকা বাঁচিয়েছি। স্কুল কমিটির কো-চেয়ারম্যান সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম খুবই কাজের মানুষ। তাঁর সহযোগিতা আমার বড় শক্তি। সবাই মিলে আরও ফান্ড সংগ্রহ করব।
 কীভাবে?
মাহফুজুর রহমান: কনসার্ট, ম্যাচ আয়োজন করব। চূড়ান্তভাবে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের ২০-২২ বছর পর্যন্ত ধরে রাখতে অনেক টাকা লাগবে। আমাদের দেশে ফান্ডের অভাবে অনেক উদ্যোগ থেমে যায়। এই স্কুল ফুটবল আগেও হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে।
 খেলোয়াড়দের পরিবারের কথাও তো ভাবতে হবে...
মাহফুজুর রহমান: সেটাও মাথায় রাখছি। বেশির ভাগ ছেলেই গরিব ঘরের। যেমন মহানগরের একটা ছেলের বাবা ঠেলাগাড়ি চালায়। এদের স্কলারশিপ দেব এটিএন থেকে। গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দেব। খেলোয়াড়দের শিক্ষিত করব। ইংরেজি কোর্স করানোর ইচ্ছে আছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন।
 স্কুল টুর্নামেন্ট মাঠে নামাতে আপনি বড় ভূমিকা রেখেছেন। কতটা কঠিন ছিল গোটা প্রক্রিয়াটা?
মাহফুজুর রহমান: অনেক কঠিন। বড় অঙ্ক দিয়ে স্কুল টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসরশিপ কিনেছে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু টুর্নামেন্টের নামের আগে টাইটেল স্পনসরের নাম দিতে পারছি না। সরকারিভাবে বলা হলো, জাতীয় টুর্নামেন্টের আগে কারও নাম দেওয়া যাবে না। ইসলামী ব্যাংকের সবাইকে ধন্যবাদ। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না
 আপনি সব সময় একটা স্বপ্ন দেখান, বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলবে। এতটা স্বপ্ন দেখার ভিত্তি কী?
মাহফুজুর রহমান: ৪-৫ বছরের মধ্যে ছেলেদের বিশ্বকাপের বাছাইয়ে পাঠাব, এটা আমার স্বপ্ন। দেশি খেলার প্রতি আমার অনেক টান। বিদেশের খেলে আমি উপভোগ করি না। অনেকে রাজনীতি করে মন্ত্রী-এমপি হয়। আমার ওই শখ নেই। খেলোয়াড়দের নিয়ে সারা পৃথিবীতে যেতে পারি, সেটাই আমি চাই।
 এটা হলে তো খুবই ভালো...
মাহফুজুর রহমান: অবশ্যই। আসলে ভালো গায়ক, নায়ক, খেলোয়াড় তৈরির দিকে ঝোঁক আমার। আমি ধরতে গেলে এখন তিনটা মিডিয়া চালাই। দেশের ওয়ান অব দ্য বেস্ট ক্যামেরাম্যান। এডিটিং করি। মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছি। গানের কোনো স্পেশাল অনুষ্ঠান হলে খুব যত্নসহকারে তত্ত্বাবধান করি। এটিএন স্টুডিওর ডিজাইন আমার করা। পৃথিবীর এমন কোনো ইকুইপমেন্ট ফেয়ার নেই, যেখানে আমি যাই না।
 ফুটবলে তো একটা দল করতে পারেন আপনি...
মাহফুজুর রহমান: সে রকম চিন্তা আছে। যে কাজে নেমেছি, আমি সবার সহযোগিতা চাই।

পুরাটাই কপি পেস্ট প্রথম আলো থেকে

আমার কাছে ভালো লেগেছে ,তবে শেষের কথা গুলো যেন কেমন;)
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×