somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নের বাসর

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম দৃশ্য
গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাটছি।হঠাৎ একটু দুরে একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম। আসলে মেয়ে না পরি আমি কনফিউজ ছিলাম,ভাবতে ভাবতেই আমার পাশ দিয়ে হেটে গেল। মেয়েটার উড়ন্ত ওড়না আমার গাল ছুয়ে দিল। আবহাওয়া ঠিকই ছিল, মেঘ নেই, বাতাস নেই, শুধু আমার মনের ভেতর একটা প্রশান্তির ঝড় বয়ে গেল। আমি চোখ বন্ধ করে সেই দৃশ্য কল্পনা করতে লাগলাম।
হঠাৎ হাসির শব্দ পেলাম, চোখ খুলে দেখি সুরুতি। একদম বিরক্তি কর অবস্থা। ও আমাকে ভালবাসে। আমার ওকে একদম ভাল লাগেনা।
মোটা বেটে ,আর সব সময় হাসে কোন কারণ ছাড়াই। আমি কোন কথা বলার আগেই ও বলল।

সুরুতিঃ শামীম বাই তুমি চোক বোন্দ হইরা কারে বাবছো।
শামীমঃ ক্যারে ছেরি, তোরে আমি হে কতা কবো ক্যা। তুই কি আমার ঘরের বউ লাগিস নাহি।
( কথাটা শুনে সুরূতি লাজুকভাবে হাসল)
সুরুতিঃ আমি তো বউ হইবারই চাই। তুমি শিন আমারে দ্যাখপারই পার না । তয় আমি জানি তুমি আমারেই চোক বোন্দ হইরা বাবচিলে। তাই আমি তোমার কাছে আইসা পড়ছি। তা না হলে আমি এইহানে আসপো ক্যান।
শামীমঃ (রেগে বলল) এ ছেরি তুই কইল বেসি কতা কইচচু। তোক বাইবব্যার (ভাবতে) আমার ঠ্যাকা পইড়ছে।( শামীম একটু পেছন ফিরে দেখল সেই মেয়েটাকে হালকা দেখা যাচ্ছে )
আমি কইলাম তুই আমার সামনে থাইকা হর। ( সুরুতি একটু মুখ বাকা করে চলে গেল যাবার সময় চুলের বেণীর একটা ঝটকা শামীমের কপালে মারল।)
শামীম ও মারে বলে কপালে হাত দিল আর বলল। ওই ছেরি ওই ঝুটি কাইটা ফালাইস , চুলের ঝুটি দিয়া কি মানুষ মারবু নাকি। কথাটা সুরুতি শুনতে পেল না তার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চলে গেল।

দ্বিতীয় দৃশ্য
রহিম এই গ্রামেরই একজন কলেজ স্টুডেন্ট। তাকে চেনার উপায় নেই, অবস্থা বুঝে চরিত্র পাল্টায়। রাস্তায় শামীমের সাথে দেখাঃÑ
শামীমঃ ক্যারে কলেজ টুডেন্ট কনে গেছিলি। তোক মনে হয় খুব হ্যাপি হ্যাপি লাকতিছে।
রহিমঃ হ্যাপি হ্যাপি তো লাইগবারই পাওে শামীম ভাই। হাসি খুশি থাকা শরীরের জন্যি ভাল , বুজবাইর পাইরচ্যাও ।
শাশীমঃ তুইতো খুব গ্যানের কতা কইচচু। কবুইতো তুই তো কলেজ টুডেন্ট। তো কারণ ছাড়া কেউ তো হাসি খুশি থাইকবার পারেনা , বুজিস না ক্যারে।
রহিমঃ ( লাজুকভাবে) কারণ তো আছেই রে শামীম ভাই। আমার খালাত বুনি আইচে, শোভা।
শোভা মানে কি জানিস নি কিছু, শোভা মানে সৌন্দর্য রুপমাধুর্য বাংলা ব্যাকরণে পড়ছি।
শামীমঃ এইমাত্র লাল কামিজ লাল ওড়না ফিন্দা একটা মেয়ে গেল ।ওটা নাকিরে
রহিমঃ (লাজুকভাবে) ঠিকই চিনচ্যাও শামীম ভাই, ওটা শোভা। মানে সৌন্দর্য।
শামীমঃ মেশিনট া (মেয়েটা) খুব ফাইন দেখতে।
রহিমঃ (রহিম মাথা নেড়ে সমর্থন করল তারপরই রেগে বলল) মেশিন মানে তুই কি কইচচু।
শামীমঃ তুই রাগ হইস ক্যা রহিম ভাই একটা মেশিন ক্ষেতে ওষুধ দেওয়ার লাইগা। সেডা কচ্চিলাম।
রহিমঃ তাও ভাল আমি মনে করছিলাম তুই আমার খালাত বুনিরে কইছস।
শামীমঃ আরে না , তোর খালাত বুনি অলি তো আমারও খালাত বুনি অয়, তাই নাহ্ ৃৃৃ ..

তৃতীয় দৃশ্য
( শামীমের বাবা একজন কৃষক, উঠানে ধান শুকাচ্ছে। তার সংসারে আর কেউ নাই শামীম ছাড়া। বাবা ছেলে একসাথে থাকে।)
শামীমের বাবাঃ আমি মুরুব্বি মানুষ অয়া (হয়ে) ধান মেলে দিচ্ছি। এগুলা কি ব্যাটা ছাওয়ালের কাম, এসব কাম করবো মাইয়ারা। আমি তো ওর মুখের দিকে চাইয়া বিয়ে করি নাই । ও এহন বড় অইছে বিয়া করলে করতে পারে, উনি জমিদার রায়হান চৌধুরি। কোন মেয়েকে অনার চয়েস লাগে না। ফুটানি দেইখা বাচিনা, সুরুতি লতিফ ভাইর মেয়ে কত সুন্দর, আমারে কত সম্মান করে। মেয়েটা শামীমরেও পছন্দ করে। কিন্তু নবাবের মাইয়াডারে ভাল লাগে না। ( জোরে জোরে কথাগুলো বলছিল শামীমের বাবা।)

শামীমঃ আব্বা চয়েস কইরা ফালাইছি। (খুশি হয়ে)
শামীমের বাবাঃ হাছা কইছস বাজান, আমি আজকোই লতিফ ভাইর কাচে সুরুতি আর তর বিয়ার ব্যাপারে কতা কমু।(খুশি ভাবে)
শামীমঃ (মনে মনে) হায় আল্লাহ আব্বা কি কয়,সুরুতি মানে ! আমি তো পচন্দ করচি শোভাকে।
এ আব্বা আমি লতিফ কাক্কার মেয়ে সুরুতির কতা কই নাইরে আব্বা। আমি শোভার কথা কইছি।
শামীমের আব্বাঃ এ বাজান সোবা কি ? জালসা করবি নাকি।
শামীমঃ নারে আব্বা, এ শোভা মানে সৌন্দর্য, রুপমাধুর্য একটা মেয়ের নাম। শোভা সুরুতির চেয়ে অনেক ভাল সুন্দরী। ফাইন।
শামীমের আববাঃ সবই বুঝলাম মেযেডার বাড়ি কই। কার নাতনী তাগোরে কাচে ঘটক পাঠাই। তয় বাজান একটা কতা বেশী সুন্দরী মাইয়ারা কিন্তু ভালা হয়না ।
শামীমঃ ধু,,,,,রু আব্বা যে কি কয়।
(রাতে বাবা ছেলে একসাথে শুয়ে)
শামীমের আব্বাঃ এ বাজান তুই তো বিয়া করলে আমার লগে আর শুবি না। তাই,,,,,,না বৌ এলে তুই আমারে ভুলে যাবি না তো ( করুন ভাবে)
শামীমঃ এ আব্বা তুমি এসব কি বল। আমি তো মারে দেখি নাই, মারে মা কয়া ডাকতে পারি নাই। তুমি আমারে মায়ের আদর বাবার আদর দিয়ে বড় করচ্যাও । তোমারে আমি ভুলব্যার পারি। (বাপকে জড়াই ধরে কেদে ফেলল)

চতুর্থ দৃশ্য
(সকাল বেলা খালি পায়ে শোভা হাটছে , দুর থেকে শামীম শোভাকে দেখতে পেয়ে কাছে গেল)
শামীমঃ হাইটতেছেন খালি পায়ে , সুন্দর...
শোভাঃ সুন্দর মানে ওয়াট সুন্দর।
শামীমঃ অ মা আপনে ইংলিশ ও কইবার পারেন। আপনে রাগ হইচচ্যান ক্যা খালী পায়ে হাটা ভাল। আমি সেডাই কচ্চিলাম।
শোভাঃ অহ্ তাই বুঝি। ভাল বলেই তো হাটছি।
শামীমঃ জি হাটেন। ফাইন পরিবেশ সুন্দর আবহাওয়া, আপনার নামও সুন্দর সবকিছুই সুন্দর আপনার খালি পাও আরো সুন্দর। ( এই বলেই শামীম দ্রুত চলে গেল শোভা অবাক হয়ে গেল কি অদ্ভুদ লোক তারপর হাসল)
পঞ্চম দৃশ্য

( বিকালে শামীম একটা জ্যোতিষীর কাছে গেল হাত দেখাতে)
শামীমঃ জ্যোতিষী বাবা আপনে একটু আমার হাত দেইকপেন। দ্যাখেন তো আমার কার সাথে বিয়া অবি।
জ্যোতিষীঃ দে তোর হাতটা দে। তোর হাতের একটি রেখা খুবই ভাল, আরেকটা খুবই খারাপ। একটা শ হরের সুন্দরী মেয়ের সাথে বিবাহ হবে, কিন্তু তুই নিঃস্ব হয়ে যাবি। তুমি নিঃস্ব হয়ে যাবে জানো না। ( শামীম হাতটা টান মেরে নিল)
শামীমঃ ফকির অই অব, মেয়েটারে বিয়া কইরবার পারবো তো।
জ্যোতিষীঃ তুই একটা পাগল বৎস্য, আমার গননা কখনো মিথ্যা হয় না।
(পথিমধ্যে শোভার সাথে দেখা)
শোভাঃ কি ব্যাপার , আপনাকে খুব খুশি খুশি লাগছে। মনে হয় আপনার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
শামীমঃ এ আল্লাহ আপনে কি কন , বিয়া ঠিক অয় নাই তো তয় হবে। জ্যোতিষী তো তাই কইলো।
শোভাঃ আপনি খুব মজার মানুষ। আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে। (শামীম খুব খুশি)
আপনি আমাকে গ্রামটা ঘুরে দেখাবেন। ( শামীম অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো)
শোভাঃ কি ব্যাপার আপনার কি হল।
শামীমঃ না কিছু অয় নাই তো , আপনে কি যেন কচ্ছিলেন ওহ্ গ্রাম ঘুরে দেখানোর কতা। চলেন যাই।
শোভাঃ আমরা আপনি কথা ভুলে যাই।
শামীমঃ ভুলে যাই মানে । আ্পনে কি কইবার চাইচচেন।
শোভাঃ আমরা তুমি তুমি করে কথা বলি।আমি তোমাকে তুমি বলব, তুমি আমাকে তুমি বলবে। ঠিক আছে।
শামীমঃ (মনে মনে ) আমি এটাইতো চাই।
শোভাঃ কিছু বললে।
শামীমঃ না ঠিক আছে । ওই যে একটা পুষকুন্নি (পুকুর) দেখা যায় ওটার নাম বিশার পুকুর ( বিশা একটা মানুষের নাম)। তার উত্তর পাশের গ্রামের নাম রাউতান। ওই গ্রামের মাইয়ারা ভালা না।
শোভাঃ ভাল না মানে কি হয়েছে।
শামীমঃ ওই গ্রামের মাইয়ারা দশ বারটা কইরা প্রেম করে। ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
( দুজনের ঘোরাগুরী সুরুতি দেখে ফেলেছে)
৬ষ্ট দৃশ্য

সুরুতিঃ খুবতো মনের সুখে টাউনের ছেরি গো সাথে ঘুরোন যায়। আর আমারে দেখলেই তোমার গা জ্বলে। হু আমিও দ্যাকপো ওই টাউনের ছেরির সাথে তোর কয়দিন ভাব থাকে।
অ- আল্লাহ তুই দেহি জামাই সাইজা বয়া রইছু আমি খেয়ালই করি নাই।
শামীমঃ এ ছেরি তুই এহানে কি করিস। যা এহান থাইকা। আমারে রাগাইস নাই। তোর জ্বালায় আমি কোন হানে বয়াও থাইকপ্যার পারি না।
সুরুতিঃ বয়া থাকবি যখন তাইলে তাল গাছের নিচে বইছিস ক্যান। মাথার উপর তাল পইড়বো।
শামীমঃ এ ছেরি এহন গাছে তাল আছেরে। পাগল ছাগল সব। যা এহান থাইকা।
সুরুতিঃ ঐ টাউনের ছেরির লগে কতা কওনের লাইগা বয়া রইছস,ভালা ভালা।
(পথের মধ্যে সুরুতি আর শোভার সামনা সামনি দেখা হল সুরুতি হিংসার চোখে তাকিয়ে বলল। আল্লাহ একটু রুপ দিছে তো আর খুব ভাব লিচ্ছো। শোভা বলল এই মেয়ে কি বল। সুরুতি মুখ ব্যঙ্গ করে চলে গেল।)
৭ম দৃশ্য
শোভাঃ তুমি তো দেখছি খুব সাজু গুজু কইরা আসছো।
শামীমঃ সাজু গুজু আর করবাইর পাইরলাম কই। কত সখ আছিলো পাঞ্জাবী পইড়া টোপড় মাথায় দিয়ে তোমাকে বিয়া করবাইর যাব। সেটা আর হল না।
শোভাঃ তুমি বোঝনা কেন পালিয়ে বিয়ে করা ছাড়া উপায় নাই। তুমি বাড়িতে প্রস্তাব দিলে কেউ রাজি হবে না।
শামীমঃ পালা বিয়া করলি আব্বা যে কি কবিনি, আমি সেটাই চিন্তা কইরতেছি।
শোভাঃ সমস্যা নাই , তোমার আব্বা তোমাকে কিছুই বলবে না। কারণ তুমি তার একমাত্র ছেলে।

(শামীম আর শোভা দুজনেই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করল। বিয়ের দেনমোহর ছিল তিন লাখ টাকা।)
শামীমঃ এহন তোমারে নিয়ে আমার বাড়িতে কি কইরা যাই। আমার খুব ভয় লাইগতাছে।
শোভাঃ তাহলে একটা কাজ করি।
শামীমঃ কী কাজ ?
শোভাঃ তোমার বাড়ীতে তুমি যাও, আর আমার বাড়ীতে আমি যাই।
শামীমঃ হ,,,,, এটাই ঠিক কইছো। আঃ ! কি কইলা দুজন দুজনের বাড়ি যাব মানে, বাসর রাত হবে না।
শোভাঃ বাসর হবে না কেন , অবশ্যই হবে । যেদিন তোমার সাহস হবে তোমার বাড়ীতে নেওয়ার সেইদিনই বাসর হবে।
শামীমঃ আমার সাহস অইছে। চল আমার বাড়িতে চল। তাও আমি তোমারে ছাড়া আমি থাকতে পারুম না।
( বাড়িতে যাওয়াার পথে রহিমের সাথে দেখা হল ওদের শোভা ভয়ে আতকে উঠলো। রহিম বলল ক্যারে শোভা তুই ওর সাথে ক্যান আবার মাথায় ঘোমটা দিছো। শোভা ভয়ে ভয়ে বলল আমরা বিয়ে করে ফেলেছি। দাড়া আব্বাক কয়া দিছ্ছি । রহিম ওর বাবা কে বলে পুলিশ আনলো তারপর সবাই পুলিশ সহ শামীমের বাড়েিত গেল। বাড়িতে শামীমের বাবা নেই। শামীম আর শোভা এইমাত্র ঘরে ঢুকে চৌকিতে বসল। অমনি রহিম ডাকতে লাগল ওই শামীম ওই বাইওে আয় নইলে তোর খবর আছে। শামীম শোভা দুজনেই ভয় পেয়ে গেল। প্রথমে শামীম বাইরে এল আর দরজার ফাকে শোভা দাড়িয়ে ছিল। রহিম শোভাকে হাত ধওে বাইরে নিয়ে এল। শোভা ভয়ের কারণে বলে ফেললঃÑ
শোভাঃ ইনি আমাকে জোর করে বিয়ে করেছে। আমি শহরে থাকি। গ্রামে বেড়াতে আসছি। ইনি আমাকে ভুলভাল বুঝিয়ে বিয়ে করেছে। আমি এখানে থাকতে চাই না। শোভা কাদতে লাগল।
পুলিশ শামীমের জামার কলার ধরল। শামীম- স্যার স্যার ও মিছা কতা কইচচে, ও আমারে ভালবাসে লাভ করে। আমরা ভালবাইসা বিয়া করছি।
শামীম কাদতে লাগল বলল শোভা তুমি আমারে বাচাও, তুমি মিছা কতা কও ক্যা। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। পুলিশ শামীমকে ধরে থানায় নিয়ে গেল। প্রচুর মারধর করলো। পুলিশ ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে বাধ্য করল এবং দেনমোহরের তিন লাখ টাকা দিতে বলল । তা না হলে ওকে মেরে ফেলবে।
শামীম আব্বা করে চিৎকার করছে আব্বা আমাকে বাচাও ওরা আমারে মাইরা ফালাইবো। শামীমের শরীর ঘেমে গেছে।
শামীমের চিৎকারে শামীমের আব্বার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
শামীমের আব্বাঃ বাজান তোর কি হইছে। তুই এমন চিৎকার করছিস ক্যান।
শামীমের ঘুম ভেঙ্গে গেল । শামীম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ওহ্ স্বপ্ন ছিল বাচলাম।

শামীমঃ আব্বা একটা খারাপ স্বপ্ন দেখছিলাম আব্বা, আমি শোভারে বিয়া করুম না। আমি লতিফ কাক্কার মেয়ে সুরুতিরে বিয়া করমু। (কেদে ফেলল শামীম)
শামীমের আব্বাঃ ঠিক আছে সকালে কতা কমুনে এখন ঘুমা।

(সকালে দুই পরিবার মিলে শামীম আর সুরুতির বিয়ে দিল। সুরুতি খুব খুশি। বাসর ঘরে শামীম সুরুতিকে বলল আমি তোমারে খুব অবহেলা করছি। তুমি রাগ কইরচ্যাও তাই না । এখন থাইকা আমি তোমারে খুব ভালবাসবো। সুরুতি বলল তুমি আমারে ভালবাসবা ক্যান।
কারণ তুমি আমার বউ।
সমাপ্ত

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×