একটা বিষয় বেশ আশা জাগানিয়া। তাহলো ধীরে ধীরে পেশাদার ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংগঠনগুলোর হাত থেকে মুক্তি নিয়ে সাধারন ছাত্ররা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নিজেরাই সরব হচ্ছেন। কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন দেশের ইতিহাসে অভূতপুর্ব দ্বিতীয় আন্দোলন। প্রথমটা ছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের।
আমি আগের একটা লেখায় লিখেছিলাম স্বাধীনতার পর ছাত্র সংগঠনগুলো আমার জানা ও দেখা মতে ছাত্রদের নিজস্ব স্বার্থে বা দাবী দাওয়া নিয়ে কখনোই আন্দোলন করেন নি। ১৯৭২ থেকে ২০১৮ সকল ছাত্র সংগঠনের মিছিল মিটিং আন্দোলন সবকিছুই ছিল হয় সরকার বিরোধী, না হয় সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য অথবা এক সংগঠন বা জোট অন্য সংগঠন বা জোটের বিরুদ্ধে।
হলে হলে সীট পাওয়া, ডাইনিং এ ভাল খাবার খাওয়া, পড়াশুনার মান উন্নত করা, ছাত্রদের খেলাধুলা, ভ্রমন ইত্যাদি বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ কখনোই দেখা যায় নি বরং আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অনেক কিছুই তারা নিজেদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দল ভারী করেছেন, মিছিল মিটিং এ আসতে বাধ্য করেছেন, এবং স্ব স্ব রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের নামে জিন্দাবাদ আদায় করে নিয়েছেন।
এখন কথা হলো, দীর্ঘদিন ডাকসু তথা ছাত্রদের নির্বাচিত সংসদ না থাকার ফলে সমাজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধীরে ধীরে যে গুনগত একটা পরিবর্তন হয়েছে বা হচ্ছে তা কি ছাত্র সংগঠনগুলো উপলদ্ধি করতে পারছেন? পারলে নিজেদেরকে সেভাবে তৈরী করে ছাত্রদের প্রকৃত সংগঠনে পরিনত হবেন নাকি ছাত্র সংগঠনের নাম নিয়ে ছাত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধীরে ধীরে অবলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাবেন?