বন্ধুরা! আজ শুক্রবার। মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। তাই আমরা এখন জেনে নিব এই গুরুত্বপুর্ণ দিন সম্পর্কে কুরআন হাদিসের কিছু দিকনির্দেশনা।
পবিত্র কুরআনে
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সূরায়ে জুমআ-৯)
হাদিস শরীফে[/sb
গোসল করা
আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)---- আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ জুমু’আর সালাতে আসলে (তার আগে) সে যেন গোসল করে। (সহিহ বুখারী :: খন্ড ২ :: অধ্যায় ১৩ :: হাদিস ২)
আগে আসার ফযীলত
আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) --- আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন, একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন, একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল।পরে ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হন তখন ফিরিশতাগণ যিকর শোনার জন্য হাজির হয়ে থাকেন ।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ২ :: অধ্যায় ১৩ :: হাদিস ৬
)
নাসর ইবন আলী (রঃ)..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন জুমু’আর দিন হয় ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজা সমূহে বসে যান। এবং যারা জুমু’আর জন্য আসতে থাকেন আতেদ নাম লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। এরপর যখন ইমাম খুতবা দেওয়ার জন্য বের হয়ে আসেন ফেরেশতাগণ খাতা বন্ধ করে দেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য পশ্চিম দিগন্তে হেলে যাওয়ার পর জুমু’আর প্রথম আগমনকারী একটি উট সদকাকারীর ন্যায়, তারপর আগমনকারী একটি গরু সদকাকারীর ন্যায়, তারপর আগমনকারী একটি বকরী সদকাকারীর ন্যায়, তারপর আগমনকারী একটি হাস সদকাকারীর ন্যায়, তারপর আগমনকারী একটি মুরগী সদকাকারীর ন্যায়, তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর ন্যায় সওয়াব পাবে।(সুনানু নাসাঈ শরীফ :: জু’মআর স্বলাত অধ্যায়, অধ্যায় ১৪ :: হাদিস ১৩৮৬)
বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পড়া
ইসহাক ইবন মানসুর (রঃ)..... আওস ইবন আওস (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের সকল দিনের মধ্যে প্ররমোতকৃষ্ট দিন হল জুমু’আর দিন, সে দিন আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, সে দিনই তার ওফাত হয়, সে দিনই শিঙ্গায় ফু দেয়া হবে এবং সে দিনই কিয়ামত অনুষ্টিত হবে। অতএব তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়। কেননা তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিভাবে আমাদের দরূদ আপনার উপরে পেশ করা হবে। যেহেত আপনি (এক সময়) ওফাত পেয়ে যাবেন অর্থাৎ তারা বললেন আপনার দেহ মাটির সাথে মিশে যাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা যমীনের জন্য নবীগনের দেহ গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন। (সুনানু নাসাঈ শরীফ :: জু’মআর স্বলাত অধ্যায়, অধ্যায় ১৪ :: হাদিস ১৩৭৫)
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরো পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০২