somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটাই তাবলীগ, এটাই তো তাবলীগ...

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাবলীগ জিনিশটা অতোটা লেখালেখির মুখাপেক্ষি নয়, তবু এ বিষয়ে কিছু লেখাটা কল্যাণকর অবশ্যই। আবার যারা সেই অর্থে তাবলীগ জামাতের জন্য আলাদা সময় বের করতে পারেন না, নিরেট ধর্মীয় কাজে সময় ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করেন, তারা তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে থেকে যদি তাবলীগের জন্য কিছু করেন, সেটার আলাদা মূল্য আছে। তবে আমরা তাবলীগ বিষয়ে যা-ই করি না কেন, প্রথমেই আমাদের দেখা দরকার তাবলীগ কী আর যারা তাবলীগ করেন, তারাও বা কারা। প্রশ্নবোধক এ জায়গায় বিশদ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়তো নেই। কারণ, তাবলীগ যারা করেন, তারাই মূল কাজটা করেন (অন্তত যেই সময়টা তারা তাবলীগে সময় কাটান, বেঁচে থেকে এরচে’ উৎকৃষ্ট ও ন্যায়নিষ্ঠ সময় তারা অতিবাহিত করার সুযোগ পান না)। আর যারা তাবলীগ করেন না, তারা সত্যিকার অর্থে দুনিয়াতে কতোটা অগ্রসর হন, সেটা আপেক্ষিক ব্যাপার হয়তো। কিন্তু এটা নির্দ্বিধায় বলায়, প্রশান্তি তাদেরকে ছুঁয়ে যায় না। আর পরকালীন কাঠগড়া তো কোনোদিন অস্বীকার করবার নয়। এক কথায় এই তাবলীগকে পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ পুণ্য ও দীনি দায়িত্ব হিসেবে আখ্যা দেয়া যেতে পারে।

তাবলীগের আয়োজনগুলোই দেখুন, চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়! একটা মানুষ ; পরিবার, প্রেম, প্রতিভা, পার্থিব, পাওয়ার, পাঠশালা, বাণিজ্য, চাকুরি, দৌলত, সবকিছু- একদম সবকিছু পিছু ফেলে চলে যায় মসজিদে। নিজে তাকবীরে ঊলার সাথে নামাজ আদায় করেন, অন্যকেও নামাজের জন্য ডাকেন, আল্লাহর পথে ডাকেন, সারাদিন যিকর, তিলাওয়াত, ইস্তেগফার, মেহমানদারি, মেহনত, বিসর্জন, ত্যাগ, তাহাজ্জুদ শেষে মসজিদের এক কোনায় বসে হাউমাউ করে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা- এটাই তাবলীগ।

ইসলামের সূচনাকালীন যে প্রেক্ষিতটা আমরা ইতিহাসের পাতায় পাই, সেটার একটা সার্বজনীন রূপই হচ্ছে এই তাবলীগ। আবার ইসলামপূর্ব নবী-রাসূলদের দায়িত্বের সাথেও বর্তমান তাবলীগের ব্যাপক সাজুয্য রয়েছে। সে হিশেবমতে সমকালীন তাবলীগ কোনোপ্রকার নতুন উদ্ভাবন কিংবা উদ্বোধন নয়, সার্বিকভাবেই এটা নবী-রাসূলদের প্রধান কাজ ছিলো এবং উম্মাতে মুহাম্মাদীরও প্রধান কাজ। প্রতিটি মুসলমানের এই প্রধান কাজটাকে অন্যসব ুদ্র কাজের সাথে মিলিয়ে ফেলাটা দুর্ভাগ্যজনক।

পৃথিবীতের মানুষ প্রেরণ-ঘটনার শুরু থেকে এ যাবতকাল পর্যন্ত মানবজাতি যে দীর্ঘসময়টা অতিবাহিত করেছে এবং করছে, এখানটায় সময়ে দাবিদাওয়া এবং অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপারের সৃষ্টি দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বান করার কাজটা ঈষৎ পরিবর্তিত হয়নি, ক্ষেত্রবিশেষে রূপ বদলেছে, সংযোজিত হয়েছে আহ্বানের কলা-কৌশল। কিন্তু কখনো সহজ ভাষায় সিরাতে মুস্তাকীমের পথে ডাক দিয়ে যাওয়াটায় বঙ্কিম কোনো পন্থার অবলম্বন ঘটেনি। আফসোসের উচ্চারণ এই যে, তবুও সময়ের পরিক্রমায় আমরা পাপবিদ্ধ হয়ে অনবরত কলুষিত করে চলেছি সমকালীন সময় ও পৃথিবী। নষ্টদের অধিকারটাই যেন মুখ্য হয়ে উঠছে আমাদের কাছে। পাপ আমাদের পিছু ছাড়বে কী, আমরাই পাপের পিছে ছুটে চলেছি, অনবরত।

এখনকার তাবলীগ, যেটার একটি গোছানো ও যুগোপযোগী রূপ দাড় করিয়েছেন হযরতজী ইলয়াস রহ.। চিরকালীন এই দাওয়াতী কর্মের জন্য আলাদা রূপ প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনটা কী, প্রশ্ন উঠতেই পারে। এর উত্তর অনেক বড়ো, বিস্তর ব্যাপার। তবে ছোট করে, সংক্ষেপে এভাবে বলা যেতে পারে- দাওয়াত ইলাল্লাহকে আমরা ভয়ঙ্করভাবে দীর্ঘকাল এড়িয়ে চলেছি, পার্থিব আস্ফালনেই আমরা খুঁজে ফিরেছি সাফল্যের চূড়ান্ত ঐশ্বর্য। ধর্ম-প্রাসঙ্গিক তৎপরতায় আমরা সন্তুষ্ট হয়ে নিজেদের দায়িত্ব পূর্ণ করেছি ভেবে ইসলামের দায়গুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি। ধর্মীয় কাজের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলো সামাজিক নেতিবোধ, বাণিজ্যিক দৃষ্টিপাত, তাকাব্বুরি এবং স্বার্থপরতা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক সাফল্যের শানে বিভ্রান্ত হয়েছে বারবার, সর্বত্রই। ঠিক এমন সময় পৃথিবীময় ইসলাম ও মুসলমানের অসহায়ত্বে প্রয়োজন পড়ে সমকালীন তাবলীগের অভিযাত্রা।

রংপুরের হারাগাছ এলাকার একজন বিড়িশ্রমিক জানে না কালেমা কী, মুহাম্মদ সা. কে, তার সন্তানরাও জানে না ইসলাম কী। তারা যে মুসলমান, এটা শুধুমাত্র জানা যায় তাদের নাম জিজ্ঞেস করে। এই বিড়ি শ্রমিকটার কাছে সত্যিকারের ইসলাম, প্র্যাকটিক্যাল ইসলাম পৌছাতে যাবে কে! ...কেউ যাবে না, ইসলামের বড়ো বড়ো ধ্বজাধারীরাও যাবে না। হ্যা, তারাই যাবে, যারা তাবলীগ করে। এবং সত্যিকার অর্থে তারাই গেছেন, তাদেরকে কালেমা পড়িয়েছেন, মসজিদ চিনিয়েছেন, পরিপূর্ণ ইসলাম জানার পথ বাতলে দিয়েছেন। আবার এই বিড়ি শ্রমিক যদি কোনোদিন পয়সাওয়ালা হয়ে যায়, তখন কিন্তু ঠিকই আমরা তার সম্পদের যাকাত এবং তার কোরবানির পশুর চামড়ার জন্য ইসলামকে ‘মুখাপেক্ষী’ করে হাজির করবো। তাকে মসজিদ-মাদরাসার কমিটিতে নেওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লাগবো। মাহফিলে এই মূর্খটাকে দেখামাত্রই দাড়িয়ে যেতে হবে অন্যসব ছাত্র-শিক্ষককে। এমন অপমানজনক দৃশ্যের উৎপাদন কখনোই ইসলামের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। নরমাল ব্যাপার, তাবলীগওয়ালারা যাকাত দিতে বলেন, হজ করতে বলেন, সন্তানকে দীনি ইলম-আখলাক শেখাতে বলেন, নিঃস্বার্থভাবেই বলেন। পক্ষান্তরে মাদরাসাওয়ালারা বলেন যাকাত দিন আমার মাদরাসায়, হজ করুন আমার এজেন্সী থেকে আর সন্তানকে আমারই মাদরাসায় পাঠিয়ে দিন- এমন স্বার্থান্বেষী আহ্বান কখনো কাম্য হতে পারে না। এখানে আমি, তাবলীগ এবং মাদরাসার তুলনামূলক সমালোচনা করছি না। কেবল ভেতরের একটি চাহাত- মাদরাসাওয়ালারাও যেন পার্থিব সকল স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের ব্যবস্থাপনাগুলোকে আরও বেশি আল্লাহমুখী করে নেন...।

ইলম শিক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো দরকার, অস্বীকার করা যায় না। আবার এটাও অপরিহার্য যে, ইসলামের সম্মান অুন্ন রেখে একে এগিয়ে নিতে হবে। মসজিদভিত্তিক ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে এভাবে আমরা অনবরত ইসলামকে আক্রান্ত করে চলেছি। ...আমাদের ইলমী প্রতিষ্ঠান দাঁড়াচ্ছে, অনেক ছাত্র ইলম শিখছে, খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা বড়ো আলিম-আল্লামা হিশেবে খ্যাতিমান হচ্ছেন, খ্যাতিটাকে শাণিত করার জন্য দল করছেন, জোটে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন এবং অবশেষে খালেদা-হাসিনার সাথে বসে ইসলাম রক্ষার দায় নিয়ে অন্দোলনে নামছেন- হাস্যকর! আন্দোলনের ভেতর কতোটা যৌক্তিক অধিকার তারা হাসিল করছেন, দেখাই যায় স্পষ্ট। আগে যেখানে ধর্মীয় লেবাসের লোক দেখলে মানুষ সম্মান দেখাতো, সেই সম্মানটাকে আমরা জবাই করে ফেলেছি।

তাবলীগের ব্যাপারে লিখতে বসে মাদরাসাকে টেনে আনাটা অবন্তর মনে হতে পারে। তাবলীগ আল্লাহ ছাড়া কারো ধার ধারে না, তবু প্রাসঙ্গিক টেনে আনলাম এ জন্য যে, তাবলীগ-বিরোধিতাটা এখন মাদরাসার মধ্যে ভয়ঙ্করভাবে চাঙ্গা, দিন দিন ব্যাপারটি প্রকাশ্য হচ্ছে। তাবলীগ এবং মুবাল্লিগরা এটাকে পাত্তা দেন না জানি, দরকারও নেই। কারণ তাবলীগ ও তাবলীগওয়ালারা মাদরাসাকে যতোটা সহকর্মী বা সহযোদ্ধা মনে করে, মাদরাসাওয়ালাদের মধ্যে সেই উদারনৈতিক অবস্থান নেই। আবার দূর থেকে তাবলীগ খারাপ, তাবলীগের এটা-ওটা খারাপ, এটা তো জপতেই থাকেন। অথচ, জেনারেল শিক্ষিত ফ্যামিলির সন্তানরা যে মাদরাসায় পড়ে, এর অবদান ৯৯%ই তাবলীগ জামাতের।

এ দেশের মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ তাবলীগের মাধ্যমে নিজেদের ইসলাম ও ঈমানকে শাণিত করেন, গন্ডমূর্খ থেকে ইমাম হয়েছেন, মসজিদমুখী হয়েছেন, নিজের মধ্যে থাকা ভুলগুলোকে ধীরে-সুধীরে শুধরে চলেছেন, পরিবারকে পর্দানশীন করেছেন, হালাল ও হারামের পার্থক্য বুঝেছেন, সারাদিন রিকশা চালিয়েও তাহাজ্জুদগুযার হয়েছেন। মাদরাসার অবস্থান ও প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করবার নয়, কারণ ইলম জিনিষটা তারাই সবচে’ বেশি চর্চিত রেখেছেন কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থের কাছে অনেক সময়ই দীনি স্বার্থ এখানে লোপ পেয়েছে, দেখা যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ দেশের আহলে ইলম যতোই স্বার্থের দিকে ঝুঁকছে, ততোই তারা তাবলীগকে বাঁকা চোখে দেখছে। আখলাক জিনিষটাকে তারা যেন সমীহই করতে চাইছে না...। এভাবে চলতে থাকলে অকল্যাণের পাল্লাই ভারি হতে থাকবে দিনের পর দিন। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আহলে ইলমের দায়িত্বশীলদের ‘এক সাল’ দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

আবারও কোশ্চেন, মূর্খদের জন্য ‘চার মাস’ আর আলেমদের জন্য কেনো ‘এক সাল’। উত্তরটা সহজ, আমাদের মাদরাসাভিত্তিক ইলমি ব্যবস্থাপনায় আখলাকের ব্যাপারটা কাগজে-পত্রে থাকলেও চর্চাক্ষেত্রে এটা বাস্তব অর্থেই অনেকভাবে গৌণ। ফলাফল হিশেবে আল্লাহর চাদর নিয়ে টানাটানিটা এখানে অনেক বেশি। আমিত্বটাও এখানে কম নয়। আর সবচে বড়ো ব্যাপারটি হচ্ছে, যিনি ইলমটা জানেন তিনি যদি বেশি সময় দেন, তাহলে আত্ম-পরিশুদ্ধির পাশাপাশি তাবলীগটাও ইলমসমৃদ্ধ হবে। তাবলীগ সমৃদ্ধ হলে ইসলাম সমৃদ্ধ হবে এবং আল্লাহতাআলা সন্তুষ্ট হবেন।

দূর থেকে তাবলীগটাকে বোঝা যায় না, তাবলীগ বুঝতে হয় তাবলীগে গিয়ে। দান-খয়রাত নয়, নিজের টাকা খরচ করে আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার একটা আলাদা আনন্দ আছে, এটা তাবলীগে না গেলে বোঝা যাবে না কখনোই। আর প্রশান্তি তো অপরিসীম, যারা স্লীপিং পিল খেয়েও রাতে ঘুমাতে পারে না, তারাও তাবলীগে গিয়ে বয়ানের সময় তন্দ্রায় চলে যায়। কারণ : হাফ্ফাতহুমুল মালা-ইকাহ, ওয়া গশিয়াতহুমুর রহমাহ, ওয়া নাযালাত আলাইহিমুস সাকীনাহ।

বিশ্বতাবলীগের সবচে বড়ো বাৎসরিক আয়োজনটা হয় বাংলাদেশে, টঙ্গী ইজতেমা। এটা বাংলাদেশীদের সবচে বড়ো ধর্মীয় সৌভাগ্য। পৃথিবীর প্রায় শত দেশের সর্বস্তরের মানুষ এখানে অংশ নেয়। এতো বড়ো আয়োজন আঞ্জাম দিতে চাদার দরকার হয় না, ভাড়াটে লোকেরও দরকার হয় না, পাবলিসিটি-প্রেস রিলিজ কিছুই দরকার হয়, শ্রেফ ঈমানী দায়িত্ব থেকেই মানুষ পৃথিবীর বৃহত্তম একটি আয়োজন অনায়াসেই আঞ্জাম দিয়ে দেয়। নিরেট আল্লাহমুখী কোনো কাজ আসলেই কারও মুখাপেক্ষি নয়। আল্লাহ তার কুদরতের মাধ্যমে সকল কিছুরই ব্যবস্থাপনা করিয়ে নেন।

আরেকটি প্রসঙ্গ, তাবলীগকে অনেকে পিকনিক আখ্যা দেন, মানুষ এত্তো বড়ো পিশাচ হতে পারে, অবাক লাগে। ভোলার মনপুরা চরে গিয়ে, খুসূসী গাস্ত করতে গিয়েছিলাম দেড় কিলোমিটার হাঁটুপরিমাণ কাদাপানি পাড়ি দিয়ে। পথিমধ্যে নামায আদায় করেছি প্রায় কোমর সমান কাদায় দাঁড়িয়ে, দাঁড়িয়ে সিজদা করেছি, কিন্তু সত্যিকার অর্থেই সেদিন মনে হয়েছিলো আল্লাহকেই সিজদা করেছি, নিষ্পাপ অনুভবটা এমনই ছিলো। এই মনপুরাতেই একটি মসজিদে তিনদিন ছিলাম, মসজিদময় জোক হাঁটাহাঁটি করতো সারাক্ষণ। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতাম আমাদের হাতে, বুকের উপরে, কপালে জোক হাঁটছে, আমরা কেউ ভয় পাইনি, ক্ষতিগ্রস্ত হইনি। আমাদের বিশ্বাস ছিলো, আমরা আল্লাহর কাজে এসেছি। তিনদিন শেষ হলে আমাদের সাথীরা কেউ সেই মসজিদ ছেড়ে আসতে চায়নি। আমাদের সবার কাছেই মনে হয়েছিলো, এমন নিরাপদ ও প্রশান্তির আশ্রয় আমাদের জীবনে আর জুটবে না। সত্যি, আজও জুটেনি। কালকিনি চর বলতে আরেকটি জায়গায় তিন দিন ছিলাম, অনেক ছোট একটা চর। ঢাকায় যখন পিঁয়াজ ছিলো আট টাকা কেজি, সেখানে ছিলো ষাট টাকা। পত্রিকা পৌঁছতো দু’দিন পর। প্রতিদিন ভোরবেলা জোয়ারে পানি এসে ঠেকতো আমাদের বিছানার চার আঙ্গুল নিচ পর্যন্ত। আমরা অনেকেই সাতারটা পর্যন্ত জানতাম না, কিন্তু আমাদের ভেতর একটিবারের জন্যও পানিতে ডুবে মরার ভয় কাজ করেনি। এলাকাবাসী আমাদেরকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে, ভয় পাইনি, ভয় পাওয়ার নয়, আল্লাহ ছাড়া আর কিছুর ভয়কে ভেতরে প্রশ্রয় দেইনি, আজও নয়-এটাই তো তাবলীগ।
২০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×