somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমন সুন্দরী থেকে সাবধান থাকাই উচিত, কি বলেন ?

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১৩ সালের আগস্টে আমাদের অফিসে জয়েন করে মেয়েটি।
দেখতে অসম্ভব সুন্দর, যেমন গায়ের রং তেমন চেহারা, সব মিলিয়ে সে যে কোন পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম।

আমাদের অফিসের এ্যাকাউন্টস ম্যানেজারের দৃষ্টি বোধ হয় বেশি আকর্ষিত হলো, নানা বাহানায় সে মেয়েটির সঙ্গ পাবার চেষ্টা করতো।

ক্যান্টিনে খাওয়া শেষ হয়ে যাবার পরেও দৃষ্টিকটু ভাবে তারা বসে গল্প করে যেতে থাকতো, সময়ে অসময়ে চা খাবার নাম করে ক্যান্টিনে নেমে আসতো।

ব্যাপারটা নিয়ে সামলোচনার অন্ত ছিলোনা।

ফলাফল যা হবার তাই হলো মেয়েটির কাজের বিষয়ে অনাগ্রহ খুব দ্রুতই ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রকাশ পেল এবং তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হল।

মূল বিষয়ে আসি।

এই মেয়ে একদিন আমার তার মোবাইলে ব্যালেন্স না থাকায় আমার মোবাইল থেকে একটা কল করেছিল। চাকরি থেকে চলে যাবার পরে আমি তাকে ভুলেই গিয়েছিলাম কিন্ত গত কাল এক যুবকের ফোন কল সব কিছু বদলে দিলো, যা নিয়ে এই পোস্টের অবতারনা।

কথোপকথনের ছিলো এমন :

আমি : হ্যালো।

যুবক : হ্যালো ভাইয়া, আমাকে আপনি চিনবেন না, আপনি কি মৌসুমী (ছদ্মনাম) কে চিনেন ?

আমি : কোন মৌসুমি ?

যুবক : আপনার সাথে জব করে যে মৌসুমী!

আমি : ও আচ্ছা, কিন্ত সে তো চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।

যুবক : (একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে) চলে গেছে? কোথায় গেছে বলতে পারেন ?

আমি : তাতো জানি না। আপনি কে বলুন তো আর আমার কাছে মৌসুমী সম্পর্কে কেনই বা জানতে চাচ্ছেন?

যুবক : আসলে ভাইয়া, আমরা একজন আরেক জন কে ভালোবাসি, কিছুদিন হলো কোন ভাবেই ওর সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা, আপনার এই নাম্বার থেকে একবার ফোন দিয়েছিলো তাই ভাবলাম আপনাকে ফোন দেই যদি কোন খোঁজ পাই।

আমি : যে ছেলেটা তাকে প্রতিদিন বাইকে করে অফিসে দিয়ে যেত আপনি কি সেই।


এবারে যুবকটা পুরাপুরি ভেঙ্গে পড়লো, তার সাথে আমার মূল অংশটা হলো:

ছেলেটা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকে পনের লাখ টাকার মত পুঁজি নিয়ে দেশে এসেছিল ব্যাবসা করবে বলে, দেশে আসার কিছু দিন পরেই মৌসুমীর সাথে তার দেখা অতঃপর সম্পর্ক এবং অতঃপর ডেটিং।

ডেটিং আবার নর্মাল ডেটিং না বেশিরভাগ সময় রেন্টে কারের ঝকঝকে গাড়িতে লংড্রাইভে যাওয়া, বিলাস বহুল চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ছাড়া মোটেও অন্য কোথাও খেতে বসতোনা মেয়েটি।

নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন উপহার উপহার সামগ্রী যার মধ্যে এইচ পি ল্যাপটপ, এক্সপেরিয়া মোবাইল, ডায়মন্ডের নেকলেস উল্ল্যেখ যোগ্য।

সব মিলিয়ে ছেলেটার টাকা প্রায় শেষ, যখন থেকে সে বুঝতে পেরেছে ছেলেটার টাকা ফুরিয়ে আসছে তখন থেকেই আস্তে আসতে সরে পড়তে আরম্ভ করেছে। এখন যোগাযোগ একেবারে বন্ধ।

বাইকে করে কেউ একজন তাকে অফিসে দিয়ে যেত শুনে যা বোঝার বুঝে গেছে সে।

কান্না জড়িত কন্ঠ বলা ছেলেটির শেষ কথাগুলো বড্ড কানে বাজছে " ভাইয়া আমার সব টাকা ওর পিছনে গেছে দুঃখ নাই কিন্ত ও আমার জীবনে ফিরে আসুক আমি আর কিছু চাই না। শত পরিশ্রম করে হলেও আমি ওর চাওয়া পূরণ করবো, শুধু ও যেন না হারায় আমার জীবন থেকে।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি, এছাড়া আর কি বা করার আছে।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×