somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারিয়ে খুঁজি পথের দিশা...........

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিটি মানুষেরই আত্মপরিচয় জানা জরুরী। যে নিজের সম্পর্কে জানে না, সে লক্ষ্যহীন। সে উদভ্রান্ত। তার চলার পথ এলোমেলো। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে কখনোই সে পৌঁছতে সক্ষম নয়। জীবনের স্বর্ণময় সাফল্যের ঘাটে তার জীবন-তরীর সাফলতর নোঙর কখনোই হয় না। এ কথা সর্বযুগে, সবার বেলায় সত্য। এ কথা যেমন সত্য বিশ্বাসী মানুষের বেলায়, তেমনি অবিশ্বাসী মানুষের ক্ষেত্রেও। এ কথা যেমন বাস্তব একজন মুমিন, মুত্তাকী, পরহেজগার মানুষের জন্য, তেমনি বাস্তব মুত্তাকী, পরহেজগার নন এমন নামেমাত্র মুসলমানের ক্ষেত্রেও।

আত্মপরিচয়ের রকমফের হতে পারে। একজন দুনিয়াদার ব্যক্তিও আত্মপরিচয় খুঁজেন। এমনকি একজন কাফেরও খুঁজে তার আত্মপরিচয়। তেমনি মুমিন, মুসলমান, মুত্তাকী ব্যক্তিও খুঁজে থাকেন তার আত্মপরিচয়। এই উভয় আত্মপরিচয় এক নয়। আকাশ-পাতাল তফাত। ব্যবধান বিস্তর। একজন সাধারণ, দুনিয়াদার ব্যক্তির আত্মপরিচয় সীমাবদ্ধ থাকে তার ক্যারিয়ারের মধ্যে। দুনিয়ার নিজের পরিচিতি, অবস্থান তৈরীতে নিজের সক্ষমতা, সামর্থ যাচাইয়ের মধ্যে। পক্ষান্তরে একজন মুমিন তাঁর আত্মপরিচয় খুঁজেন তার চূড়ান্ত পরিণতির মধ্যে। যে পরিণতি কেবল মৃত্যু দিয়েই শেষ নয়। বরং মৃত্যু-পরবর্তী জীবন থেকে যে জীবনের শুরু। যে আত্মপরিচয়ের যাত্রা।

ফলে স্বভাবতই কোন কুসংস্কার, মোহ বা প্রলোভন, পার্থিব কোন স্বার্থ কিংবা অতীত ধারাবাহিকাতার কোন বাধাই এখানে কার্যকর নয়। সত্যানুসন্ধানের কিংবা জীবনের চূড়ান্ত আত্মপরিচয়ের এ আকর্ষণ এমনই তীব্র যে, সমাজ, সংঘ, পরিবার কিংবা রাষ্ট্র সবকিছুকেই মানুষ হাসিমুখে তুচ্ছ করতে পারে। যদি সত্যিকারে এ আকর্ষণ কারো মধ্যে জেগে উঠে। যদি এ আকর্ষণের মূল্য ও তাত্পর্য সত্যিকারার্থে কেউ অনুভব করে। অথবা কূল হারানোর অথৈ সাগরে নিমজ্জমান জীবন পথের কোন পথিক যদি এমন কোন `সত্যপুরুষে'র দেখা পায়, যিনি এ আত্মপরিচয়ের পরিচয় দানে স্রষ্টা পক্ষ থেকে প্রেরিত।

কোরআনে স্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষিত হয়েছে মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য। ইরশাদ হয়েছে- وما خلقت الجن والإنس إلا ليعبدون 'আমি শুধুমাত্র এই জন্যই মানুষকে সৃষ্টি করেছি যে, মানুষ আমার ইবাদাত করবে'। এ ঘোষণায় যিনি ঘোষণাদাতা তাঁর পরিচয় লাভ করাই মানব জন্মের সার্থকতা, মানুষের প্রথম কাজ। এরপরের কাজ- তিনি যে জন্যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সে কাজে পুরোপুরি সমর্পিত হওয়া, নিজেকে সমর্পিত করা। একজন আজ্ঞাবহ, অনুগত বান্দারূপে স্রষ্টার সামনে নিজেকে পেশ করা।

এরপর?
ঘোষিত হয়েছে- كنتم خيرأمة أخرجت للناس تأمرون بالمعروف وتنهون عن المنكر অর্থাত্ এ কথা জানা যে, মহান স্রষ্টা যুগে যুগে অসংখ্য অগণিত নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। সেই সঙ্গে পৃথিবীর বুক থেকে গত হয়েছে অগণিত উম্মত। প্রত্যেক নবী ও তাঁর উম্মতের জন্য স্রষ্টার পক্ষ থেকে দেয়া ছিল পৃথক পৃথক দায়িত্ব ও নির্দেশনা। তারই ধারিবাহিকতায় সর্বশেষ এসেছেন, দু জাহানের সর্দার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর আগমণ-পরবর্তী সময় থেকে নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ দুনিয়ার বুকে আসবে তারা সকলেই নবী মুহাম্মাদুর রাসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মাত হিসাবেই আগমণ করবে এবং সেই সঙ্গে তারা خيرأمة তথা শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসাবে পরিগণিত হবে; এ শর্তে যে, তাঁরা মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে, সত্কর্মের আদেশ দিবে আর অসত্ কর্ম হতে মানুষকে বাধা প্রদান করবে এবং وتؤمنون بالله -বিশ্বাস রাখবে আল্লাহর প্র্রতি।

আজ অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে মুসলমানরা তাদের এই আত্মপরিচয় হারিয়ে ফেলেছে। ভুলে গেছে তাদের শেকড়ের পরিচয়। আজ তাদের মুসলিম পরিচয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে এমনসব নানা পরিচয় যা কুরআনের ভাষায় - وجعلناكم شعوبا وقبائل لتعارفوا কেবলি ছিল পারস্পরিক পরিচিতির মাধ্যম মাত্র। যা ছিল পৃথিবীর বহুগোত্র আর অগণিত মানুষের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কাউকে চিনে নেওয়ার শুধুই একটি উপায়। অথচ আজ সেসব পরিচিতিই হয়ে উঠেছে আমাদের পৃথক পূর্ণাঙ্গ জাতিসত্ত্বার পরিচয়। পারস্পরিক নিরাপত্তা আর প্রতিরোধের সীমারেখা। যেখানে থাকে, সম্পূর্ণ নিরপরাধে, নির্বিবাধে, কেবলই ঠুনকো এই জাতিসত্ত্বার অভিশাপে অনেকগুলো নিষ্পাপ প্রাণের ঝরে যাওয়া। তুচ্ছ কিংবা ঠুনকো সব অজুহাতে পারস্পরিক নিরর্থক যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া অথবা কোন নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা সামনে রেখে সেসব কাল্পনিক পরিচয় সূত্র দিয়ে হাত-পা বেধে রেখে চুপচাপ বসে থাকা। 'ইসলামকে জানেন' এমন লোকদের থেকেও অনেকে ভাবেন, মনে করেন- মুসলিম বুঝি পৃথিবীর অন্যান্য জাতির ন্যায় শুধু একটি জাতি-গোষ্ঠীর নাম। অথচ ইসলমের ব্যাপকতা আর সার্বজনীনতা এটাকে সম্পূর্ণরূপেই অস্বীকার করে।

মুসলিম তো কেবল একটি কল্যাণকামী গোষ্ঠীর নাম। পিতা যেমন পুত্রের কল্যাণ কামনা করে তেমনি এই গোষ্ঠীর লোকেরাও অপরাপর মানুষের জন্য তেমনি কল্যাণকামী হবে। পিতা যেমন পুত্রের অন্যায়ে প্রতিশোধ নয় ব্যথা নিয়ে শাসন করে, মুসলমানের অন্যায়ের প্রতিরোধও হবে এমন ব্যথাপূর্ণ, প্রতিশোধ স্পৃহা চরিতার্থের জন্য নয়। আর তখনই মুসলমানের প্রতিটি কাজ ও কর্ম হবে আয়াতের এই অংশের বাস্তব চিত্র- أخرجت للناس (মানুষের কল্যাণের জন্যই তোমাদেরকে প্রেরণ) । এই ব্যথা ও দরদ তাঁর কাছে ছিল যিনি ছিলেন এই দাওয়াতের সর্বশেষ খোদা-প্রেরিত বার্তাবাহী জনাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের। সেই ব্যথার উত্তম বর্ণনা কুরআনই প্রদান করেছে- لعلك باخع نفسك الا يكونوا مؤمنين (তারা ঈমান আনছে না এ জন্য আপনি বুঝি নিজেকে শেষ করে দিবেন!) فلعلك باخع نفسك على آثارهم إن لم يؤمنوا بهذا الحديث اسفا (তারা যদি ঈমান না আনে তাহলে কি আপনি আফসোস করে তাদের পিছনে জান দিবেন!)

শুধু আমাদের নবী নন, অন্যান্য নবী-আম্বিয়া আলাইহিমুসসালামের বেলায়েও ছিল এই একই চিত্র। মানুষের উপেক্ষা দেখে তাদের কল্যাণচিন্তায় অস্থির হৃদয়ের আকুতি নিয়ে হযরত হুদ আলাইহিসসালাম স্বজাতিকে বলেছিলেন يقوم ليس بى سفاهة ولكنى رسول من رب العالمين (হে আমার জাতি! আমি নির্বোধ নই। আমি রাব্বুল আলামিনের প্রেরিত রাসূল। আপন প্রতিপালকের বাণী তোমাদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছি। আমি তোমাদের কল্যাণকামী, বিশ্বস্ত।)
হযরত সালেহ আলাইহিসসালাম তাঁর উম্মতকে সম্বোধন করে আক্ষেপ আর আফসোসের মর্মজ্বালা এভাবে পেশ করেছিলেন- يقوم لقد أبلغتكم رسلة ربى ونصحت لكم ولكن لاتحبون الناصحين (হে আমার জাতি! আপন প্রতিপালকের পয়গাম আমি তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু (কী করব) তোমরা তো আপন কল্যাণকামীদের পছন্দ করো না।)
কওম হযরত নূহ আ. এর প্রতি গোমরাহী আর ভ্রান্তির অপবাদ দিলে তিনি জবাব দিলেন কওমকে আপন কল্যাণকামিতার কথা স্মরণ করিয়ে বুঝাতে চা্ইলেন- يقوم ليس بى ضلالة ولكنى رسول من رب العالمين ، ابلغكم رسالة ربى وأنصح لكم (হে আমার কওম! আমি বিভ্রান্ত নই। আমি তো রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত রাসূল। আপন প্রতিপালকের পয়গাম আমি তোমাদের নিকট পৌঁছিয়ে দেই আর তোমাদের মঙ্গল চাই।)
অবাধ্য, নাফরমান কওমের উপেক্ষা দেখে সকলেই একটি বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করতে সচেষ্ট ছিলেন যে, আর কিছু নয় কেবল উম্মতের কল্যাণকামিতার জন্যই তাঁদের এই নিরন্তর চেষ্টা। সে উম্মত ঈমানদার আর ঈমানহীনতা দ্বারা বিভাজিত নয়। ليعبدون এর মিসদাক, ইবাদাতের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ।

আজ যখন পৃথিবীর মানুষ নানা মত-পথ ইজম আর মতবাদের সহস্র শাখায় বিভাজিত, জিন্দেগির চূড়ান্ত গতিপথ ভুলে পার্থিব স্বার্থ আর মোহের ঘোরে নিমজ্জমান। মানুষ যখন নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিচয় ও জাতিসত্ত্বা দাড় করিয়ে পরস্পরে হিংসা বিদ্বেষ আর দলাদলিতে লিপ্ত; তখন আমরাও ছুটছি এই অন্ধ বিভাজনের পেছনে। অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিচয় সত্ত্বা নিয়ে আমরাও আমাদেরকে বিভাজিত করছি প্রতিনিয়ত। ফলে হারিয়ে ফেলছি আমাদের বৃহত্তর পরিচয়। ভুলে গেছি আমাদের শেকড়ের পথ। আসল পরিচয়।

ফলে ভয়াবহ যে বিপর্যয় আমাদের উপর চেপে বসেছে তা হলো আমরা আজ আমাদের মানবিক অধিকার, প্রাপ্য মর্যাদা ও সাধারণ মূল্যবোধেরও যোগ্য নই। যেদিন এক মুহাম্মদ স. দাড়িয়েছিলেন তামাম পৃথিবীর সব মানুষের মুক্তির চিন্তা নিয়ে তখন এক পর্যায়ে তামাম পৃথিবীই নবী মুহাম্মদ স. এর দিকে ধাবিত হয়েছিল তাঁর দ্বীন ও আদর্শকে বুকের তাজা খুন ঢেলে ধরণীর বুকে টিকিয়ে রাখতে। আর যেদিন থেকে তাঁর অনুসারীরা নিজেদের মুক্তি নিয়েই ব্যস্ত হয়েছে সেদিন থেকেই তামাম পৃথিবী -হোক না তারা সংখ্যায় দেড়শ কোটি- তাদের চলার পথকে ক্রমশ সংকুচিত করতে এগিয়ে এসেছে। সেদিন থেকেই তারা হারিয়ে ফেলেছে মানুষ হিসাবে তাদের মানবিক সহজাত মূল্যবোধ। যা একজন বিধর্মী, কাফেরেরও থাকে। ফলে মুসলমানদের নিকট আজ বৃহত্ ও সামষ্টিক স্বার্থ বলে কিছু নেই। সবই কেবল ক্ষুদ্র স্বার্থ। মানুষ হিসাবে ঐক্যের সূত্রগুলোও তাদের থেকে বিলুপ্ত প্রায়। আর এ জন্যই পাক্কা দেড়শ কোটি মুসলমান নিয়েও পৃথিবীতে মুসলমানের জগত্টা এত ছোট। চুয়ান্নটা মুসলিম রাষ্ট্র নিয়েও পৃথিবীতে মুসলমানদের জায়গাটা এতো সংকীর্ণ।

এ জড়া, এ বিপর্যয়, এ সংকট কখনো কাটবে না যতক্ষণ না এ সংকীর্ণতা হতে বেড়িয়ে আসব, যাবত না আমারা আমাদের মূল শেকড় খুঁজে পাব। খুঁজে পাব আমরা আমাদের আসল ও প্রকৃত পরিচয়। তবেই আমাদের কাঙ্খিত মুক্তি। পৃথিবীবাস্ওী পাবে তাদের মুক্তির স্বাদ, পথের দিশা, হেরার রাজতোরণ।



১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×