somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ কখনো সুস্থ চিন্তা নয়

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবচে ভালো ছিল এই সমস্যা সঙ্কুল পৃথিবীতে আপনার না আসা। আর এখন সবচে খারাপ হবে এই সমস্যা সঙ্কুল পৃথিবী থেকে আপনার স্বেচ্ছায় বিদায় নেওয়া। প্রথম কাজটি সবচে ভালো হলেও আপনার ইচ্ছাধীন নয়, তাই সে নিয়ে না ভাবাই ভালো; তদুপরি এর সময় এখন বিগত। আর দ্বিতীয় কাজটি আপাত দৃষ্টিতে আপনার ইচ্ছাধীন থাকলেও সবচে খারাপ। সুতরাং জীবন যাই করেন আর না করেন, জীবনের সবচে খারাপ কাজটি থেকে অন্তত আপনার না করা চাই।

সুতরাং এই দু কূল না ভেবে সবচে অর্থের কাজ হবে এক অর্থপূর্ণ ‘জীবন’ ও ‘যাপনে’র জন্য অবিরত সংগ্রাম করে যাওয়া। সমস্যার পৃথিবীতে অবিরাম সকল সমস্যা ও সংকটের মোকাবেলা করা। সকল দুর্যোগ দুর্বিপাকে জীবন সাম্পান আপন অভীষ্ট লক্ষ্যপথে অবিচল রাখা। জীবন কখনো কুসুমাস্তীর্ণ নয়, নয় আজীবন ফুলশয্যার। সকল বিপদাপদ ঠেলে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই জীবনের ধর্ম। এর মধ্যেই মিলবে কখনো সুখ, কখনো কষ্ট, কখনো নিস্তরঙ্গ পথ চলা। জীবন বহু বৈচিত্র্যময়...

আজ যে শিশুটি জন্ম নিয়েছে, তারও প্রচেষ্টা আছে বেঁচে থাকার। অথচ জীবনের কোন হিসাবই এখনো যাকে স্পর্শ করেনি। বুঝেনি জীবনের উত্থান-পতনের সরল ও গরল হিসাবগুলো। পায়নি এখনো আপন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার পর্যাপ্ত সামর্থগুলো। তদুপরি তাঁর শিশুসামর্থ ব্যয় করে বাঁচার চেষ্টা। এ ধর্ম জীবনের। জীবন মানেই টিকে থাকার ধর্ম। অস্তিত্ব রক্ষার প্রাণপন চেষ্টা। আজ যে যুদ্ধে প্রাণহুতি দিল, তার এ চেষ্টাও বাঁচার জন্যই। আজ যে যুদ্ধে হেরে গেল তা-ও কিন্তু বাঁচার জন্য।

সুতরাং বাঁচার উপর জীবনে আর কোন ধর্ম থাকতে পারে না। জীবনের এতসব হিসাব-নিকাশ বুঝে, বেঁচে থাকার এতসব শক্তি-সামর্থ পেয়ে করে অন্তত সুস্থ মানুষের ভাবতে পারে না, জীবনকে স্বেচ্ছায় সে শেষ করে দিবে। সকল স্বপ্নের গলা টিপে ধরে জীবনের যবনিকাপাত টানবে। এখনও বহু কুঁড়ি পাপড়ি মেলার পূর্বেই মৃত্যুর রহুগ্রাসে জীবনকে সপে দিবে।

আজ যে জীবন বিষাদপূর্ণ, কাটতে কি পারে না এই বিষাদের মেষ। আজ যে জীবন তিমিরাচ্ছন্ন, হাসতে কি পারে না এ জীবনেই পুষ্পিত আলো। আজ যে জীবন ভারবহ, সমস্যা সঙ্কুল, একদিন এ জীবনই কি ছিল না স্পন্দিত, নির্ভার। তাহলে কেন এত অস্থিরতা, কেন জীবনাবসানের বিনাশী চিন্তা। সময়ের তোড়ে যে সঙ্কটের আগমন, সে সময়ের তোড়েই এ সংকটের গমন- এইতো ধর্ম। কেন আমি দৃষ্টিকে কেবল ‘এখনে’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব। কেন একটুর জন্য হলেও দৃষ্টিকে আর একটু সামনে প্রসারিত করে দেখব না।

‘জীবন’ জীবনের নাম নয়, জীবন ‘দৃষ্টিভঙ্গি’র নাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×