• কোন একজন পদস্থ/ ক্ষমতাবান ব্যক্তি যখন তার নিজের বা কাছের কাছের মানুষগুলোর জন্য অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেন আমরা বলি তিনি স্বার্থপর বা পক্ষপাতদুষ্ট। আর যখন একই সুযোগ আমাকে করে দেন আমরা বলি তিনি অনেক পরোপকারি বা দয়ালু ব্যক্তি!
• একজন মা/ বাবা যখন চান তার সন্তান অন্য সবাইকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে যাক আমরা বলি তিনি স্বার্থপর। আর যখন আমার মা/বাবা একই কাজ করেন তখন আমরা বলি কি গভীর আর নিষ্পাপ ভালোবাসা তার!
• কোন শিক্ষক যখন তার কোন প্রিয় ছাত্র/ছাত্রীকে অকারণেই অন্যের চেয়ে বেশী নম্বর দেন আমরা বলি তিনি পক্ষপাতদুষ্ট/খারাপ। আর যখন সেই প্রিয় ছাত্রটা হই আমি বলি- স্যার অনেক liberal এবং ভাল খাতা দেখেন!!
• যখন কেও একজন চাকুরি/ কোথাও ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা সিস্টেমের কারণে তার চেয়ে যোগ্য অনেককে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় আমরা আওয়জ তুলি– ‘ইহা বড়ই অনৈতিক’। কিন্তু সুবিধাভোগী ব্যক্তিটি যখন আমি হই বলি এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল!!
• যখন কোন মেয়ে অন্য ছেলেদের সাথে বা কোন ছেলে অন্য মেয়েদের সাথে অনেক আড্ডা দেয় বা ঘোরাঘুরি করে আমরা বলি মেয়ে বা ছেলেটির character-এ প্রবলেম আছে। আর যখন তারা একই কাজ আমার সাথে করে তখন বলি মেয়ে/ছেলেটি অনেক free/মনটা অনেক ভালো!!
কি বিচিত্র দ্বৈত রূপ আমাদের চরিত্রের!!!
কারো কাজ যখন আমাদের স্বার্থকে আহত করে আমরা তখন-ই তাকে স্বার্থপর বলি, কখনো ভেবে দেখিনা আমার নিজের কাজটি কারো স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে কিনা…। প্রত্যেকে এই জিনিসটা মাথায় রাখলে সমাজ-জীবনে আমরা অনেকটাই সুখ ও শান্তির দেখা পেতে পারি ।।।