ফসিল রেকর্ড অনুযায়ী মানব জাতির যাত্রা প্রায় দুলক্ষ বছরের।এই দু লক্ষ বছরের মধ্যে প্রায় ৯0ভাগ সময়ই মানুষ ব্যায় করেছে নিরাপদ আশ্রয় আর নিরবিচ্ছিন্ন খাবারের খোজে,আপাত দৃষ্টিতে সেই খোঁজ শেষ হয় প্রায় ১২০০ হাজার বছর আগে বরফ যুগের(ice age) সমাপ্তির সাথে সাথে।মানব জাতির এই মহা যাত্রার একটা অধ্যায় নিয়ে আজকের পর্ব।
এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ,মজার ব্যাপার হচ্ছে homo sapience বা আধুনিক মানুষ এশিয়া মহাদেশে এসেছে অনেক পরে প্রায় সত্তর হাজার বছর আগে।এশিয়া মহাদেশের homo sapience এর ইতিহাস থেকে আমি খুব সচেতন ভাবেই এরাবিয়ান পেনিন্সুলায় প্রাপ্ত মানব ফসিল এর কথা বাদ দিয়েছি,এর কারন হচ্ছে এই এলাকা থেকেই সমগ্র পৃথিবী তে মানব জাতি ছড়িয়ে পড়ে,এমনকি মানব শরিরে ১-৩% নিয়ান্ডাথাল জিন এর উপস্থিতির পেছনে এই অঞ্চলের ভুমিকা রয়েছে।তাই এই এলাকায় প্রাপ্ত মানব ফসিল নিয়ে আলাদা আলোচনা করবো।
২০০৯/২০১০ সালে দুর্গম উত্তর লাওসের এ্যানামাইট পাহাড়ের টাম পা লিং নামক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৬৩হাজার বছর বয়স্ক এক মানব করোটি,এবং নিচের চোয়ালের হাড়,দুটো ফসিল দু জন আলাদা মানুষের,তবে তাদের বয়স প্রায় একই,লাওস ফসিল গুলো এই অঞ্চলে মানববসতি স্থাপনের ইতিহাস কমপক্ষে ২০০০০ বছর পেছনে নিয়ে গেছে,এবং এই ফসিল গুলো উত্তর এর চেয়ে প্রশ্ন বেশি সৃষ্টি করেছে,কারন এই ফসিল গুলোতে ইন্টার স্পিশিজ ব্রিডিং এর প্রমান পাওয়া গেছে,এবং ফসিলগুলো পূর্ণবয়স্ক দের হয়া সত্ত্বেও খুবই ছোট।এর আগে পাও মানব ফসিলের মত এই ফসিল গুলোর কাছ থেকে কোন পাথর বা হাড়ের অস্ত্র পাওয়া যায় নি অবশ্য এর একটা কারন হতে পারে এই গুহাটা সম্ভবত কবর হিসেবে ব্যাবহার করা হত। ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় এর প্রফেসর লরা শেকেলফোর্ড এই খনন কাজের নেতৃত্ব দেন।
লাওস ফসিল প্রফেসর লরা
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১০