অনেক aquarist শিখে তাদের নিজেদের ভুলের মাধ্যমে । অনেক ভুলের থেকে তারা লাভ করেছে মূল্যবান অভিজ্ঞতা । কিন্তু এইসব অভিজ্ঞতা লাভ করতে যেয়ে তাদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে । আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আপনাদের সেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা । সফলতা আপনি পাবেন ই, একথা আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি না । কারণ, আমি শুধু আপনাদের পথ দেখিয়ে দিবো । হাটতে হবে আপনাদেরকেই । তবে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনাদের এই পথ চলার যে কোন মুহূতে আমাকে আপনাদের সাথেই পাবেন ।
নতুন কোন কাজে আপনি যদি সফলতা লাভ করতে চান, তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে সেই কাজ সম্বন্ধে যতটা সম্ভব সম্মুখ ধারণা নিতে হবে । করতে হবে কিছু হোমওয়াক । শুনে হয়তো খুব অবাক হবেন, কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি যে, অধিকাংশ মানুষি মনে করেন যে, কাচের জারে অথবা কাচের বাক্সে (এক্যুরিয়াম) পানি ভরে মাছ ছেড়ে দিলেই বোধহয় এক্যুরিয়াম তৈরী হয়ে যায় ।
একথা মোটামুটি সবাই জানেন যে, পানি অম্ল হতে পারে, আবার ক্ষারও হতে পারে । সবধরনের পানি সবধরনের মাছের জন্য উপযোগী নয় । এজন্য কিছুটা সাবধানতো হতেই হবে । এ ব্যাপারে একজন অভিজ্ঞ aquarist ই পারেন সাহায্য করতে । সেই সাথে আপনাকেও করতে হবে কিছু হোমওয়াক ।
চোখ বন্ধ করে শুধুমাত্র নিরদেশনাগুলো অনুসরন না করে, যদি নিজ থেকেও কিছু এক্সপেরিমেন্ট করা যায় তাহলে তাও অনেক ফলপ্রসু হতে পারে । তবে তা করার আগে অভিজ্ঞ কারও সাথে আলোচনা করে নেয়া ভালো । আপনার পাশে এসে দাড়াতে পারে । আপনাকে সঠিক পথ চিনে নিতে সাহায্য করতে পারে
প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি কি ধরনের এক্যুরিয়াম করতে চান । নানান বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এক্যুরিয়াম এর রকমমফের হয়ে থাকে ।
পানির রকমফের এর উপর ভিত্তি করে, এক্যুরিয়ামকে সাধারনত ৩ ভাগে ভাগ করা যায় –
১. ঠান্ডা পানির এক্যুরিয়াম
২. উষ্ণ পানির এক্যুরিয়াম
৩. উষ্ণ লবণাক্ত/ সামুদ্রিক পানির এক্যুরিয়াম
আমাদের দেশে সাধারণত ঠান্ডা পানির এক্যুরিয়াম এবং উষ্ণ পানির এক্যুরিয়াম দেখতে পাওয়া যায় । সামুদ্রিক পানির এক্যুরিয়াম আমাদের দেশে এখনও তৈরী করা হয়নি । তবে খুব শীঘ্রই আমাদের দেশের কয়েকজন শৌখিন aquarist সামুদ্রিক পানির এক্যুরিয়াম তৈরী করবেন । সেজন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও জ়োগাড় করা হয়েছে । আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এর কাজ শেষ হবে ।
১. ঠান্ডা পানির এক্যুরিয়াম
সাধারণত যে সব এক্যুরিয়াম এর পানির উষ্ণতা ৫-২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে, তাদেরকে ঠান্ডা পানির এক্যুরিয়াম বলে । এসব এক্যুরিয়াম উষ্ণ পানির এক্যুরিয়াম এর মতই তৈরী করা হয় । শুধুমাত্র উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন হিটার ব্যবহার করা হয়না ।
উপযোগী মাছঃ গোল্ডফিশ, সুবুনকিন, কমেট, ওরেন্ডা, রুইকিন, ব্ল্যাকমুর, র্যাঞ্চু, পার্লস্কেল, ওয়াকিন, বাবল আই ইত্যাদি ।
২. উষ্ণ পানির এক্যুরিয়াম
সাধারণত যে সব এক্যুরিয়াম এর পানির উষ্ণতা ২৪-৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে, তাদেরকে উষ্ণ পানির এক্যুরিয়াম বলে । উষ্ণতা রক্ষা করার জন্য এতে হিটার ব্যবহার করা হয় । আমাদের দেশের জন্য এ ধরনের এক্যুরিয়াম খুবই উপযোগী ।
উপযোগী মাছঃ পারল গোরামী, কিসিং গোরামী, ডোয়াফ গোরামী, ৩ দাগওয়ালা গোরামী, ক্যাটফিশ, নানান প্রজাতির টেট্রা, নানান প্রজাতির চিকলিড, অস্কার, এঞ্জেল, ক্লাউন, ডিসকাস, সিল্ভার শারক, টাইগার বারব, চেরী বারব, দ্যানিও, জ়েব্রা, রুবী শারক, নানান প্রজাতির রেইনবো ফিশ, গাপ্পি, মলি, সোডটেইল, ফ্লাওয়ারহরণ, এরোওনা ইত্যাদি ।
৩. উষ্ণ লবণাক্ত/ সামুদ্রিক পানির এক্যুরিয়াম
এ ধরণের এক্যুরিয়াম এর পানিতে লবনের পরিমান বেশী থাকে । তাপমাত্রা থাকে সাধারণত ২৫-৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ।
উপযোগী মাছঃ সামুদ্রিক যে কোন ছোট মাছ যেমন- নানা প্রজাতির ছোট হাংগর, তারা মাছ, ক্লাউন, সীহরস, জ়েলী ফিশ, অক্টোপাস ইত্যাদি ।
এবার আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি কোন ধরনের এক্যুরিয়াম বানাবেন ।
পছন্দের উপর ভিত্তি করেও এক্যুরিয়াম এর রকমফের হয় । কোন এক্যুরিয়াম হয় উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো, কোনটা আবার পাথর দিয়ে সাজানো । আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি কোনটা তৈরী করবেন ।
আমার এক্যুরিয়াম বিষয়ক প্রথম পোষ্ট
এক্যুরিয়াম, শখের জগতে উজ্জল নক্ষত্র
Click This Link