১৯৬৬ সালে ৬ দফা প্রবর্তন হয়তো শেখ সাহেবের সবচেয়ে বড় ভাবনার কাজ। ১৯৭০ সালে বাংগালীদের 'এক' করার বাহিরে শেখ সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান হলো, ১৯৭২ আমাদের সাম্যের কবিকে 'দারিদ্রতা' থেকে মুক্ত করার জন্য ঢাকাতে নিয়ে আসা। রাজনীতিবিদ হিসেব উনার অনেক কাজ সমালোচনার সন্মুখীন হয়েছে, হবে; যে কাজটি সবার হৃদয় চুঁয়ে যায় সেটি হলো আমাদের কবির শেষদিন গুলোতে কবিকে স্বাভাবিক জীবন দান করা।
কবি অসুস্হ অবস্হায় পরিবারের উপর নির্ভরশীল ছিলেন, শেখ সাহেব কবিকে উনার প্রাপ্য দিয়েছেন, এর থেকে বড় কি হতে পারে।
এই কবি জন্ম থেকেই দরিদ্র ছিলেন, পড়ার সুযোগ পাননি; উনার অপর ৫ ভাইবোনের কি হয়েছে আমরা জানি না; তবে, অনুমান করছি যে, সবাই দারিদ্রতার মাঝে ছিলেন; কেহই পড়ালেখা করতে পারেননি।
আমাদের সাম্যের কবি বৃটিশ বিরোধী ছিলেন, আবার আমাদের এই কবিই দারিদ্রতার কারণে বৃটিশ সেনা বাহিনীতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন; দারিদ্রতা কবিকে করেছিল চন্নছাড়া; হতাশ কবি মানুষের সাথে ঘুরে বেড়াতেন সারা দেশে।
শেখ সাহেব যদি নিজের এই মহান কাজটিকে বুঝতে পারতেন, তিনি নিজকে নতুন করে আবিস্কার করতে পারতেন; আসলে তিনি সাড়ে ৭ কোটীকে দারিদ্রতামুক্ত করতে পারতেন; তিনি সেই মহাশক্তিকে পেয়েও অনুভব করতে পারেননি; যাক, যা হয়নি, তা হয়নি; বাংগালীর কপালে দু:খ ছিল।
আজ সাম্যের কবির মৃত্য-দিবস; আমার ভালো লাগে যে, অসুস্হ কবির শেষদিনগুলোতে কবিকে দারিদ্রতা কস্ট দেয়নি; শেখ সাহেব সেই কাজটুকু করেছিলেন; এটাই হয়তো শেখ সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান, যা সবার হৃদয় চুঁয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৪