এতোদিন শুনতাম বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে, আর এখন ভারতীয় সাধারণ জনগন বাংলাদেশী মানুষকে গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করছে। সত্যি আমরা আজ সিকিম,ভুটানের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছি।
ঘটনার বিবরন>>আমারদেশ অনলাইন
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্তের চৌঘরিয়া গ্রামের মৃত মিরাজ ফকিরের ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫) সোমবার রাত দেড়টার দিকে বাড়ির বাইরে গিয়ে আর ফিরে না এলে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে মৃত অবস্থায় ঘাসুড়িয়া সীমান্তের মেইন পিলার ২৮৮-র ৫৪ সাবপিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে পানবরজে দেখতে পায়। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ ৪০ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ঘাসুড়িয়া সীমান্ত ফাঁড়িকে অবহিত করলে নায়েক সুবেদার ফজলুর রহমান মৃতের লাশ ফেরত চেয়ে ভারতীয় ৫৭ ব্যাটালিয়নের আগ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডারের কাছে চিঠি পাঠান। চিঠির সূত্র ধরে গতকাল দুপুর ১টার সময় সীমান্তের শূন্য লাইনে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক বসে। বৈঠকে বাবুল মিয়ার লাশ বিকেল ৫টায় ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয় বিএসএফ। এ সময় বিএসএফ জানায়, বাবুল মিয়া ভারতীয়দের পানের বরজে চুরি করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে পিটুনি দেয়। পরে সে মারা যায়। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাবুল মিয়ার স্ত্রী অমিচা বিবি ও মেয়ে নেকবানুসহ প্রতিবেশীরা জানান, মৃত বাবুল মিয়া পেশায় মত্স্য শিকারি। এ খবর লেখা পর্যন্ত বাবুল মিয়ার আপনজনরা তার লাশ ফেরত পাওয়ার আশায় সীমান্তে প্রহর গুনছিল।
সে যদি সত্যি চুরি করে থাকেও তাহলে কি তাকে হত্যা করা কোন সভ্য জাতির পক্ষে সম্ভব। আর ভারতীয়রা সবসময় আমাদের হত্যা খোড়া যুক্তি দেখায়, এটা তাদের কালচার হয়ে গেছে।আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সরকারকে এ ব্যাপারে দৃষ্টিদানের আহবান করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৫