somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসা,রাজনীতি আর অন্ধ বিশ্বাস,ফলাফল যৌনতা নয়তবা আধুনিকতা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজকাল কয়েকদিন ধরে ফেসবুক বা সামুতে ভালবাসা দিবস নিয়ে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে।কেউ এর বিপক্ষে আবার কেউ বা পক্ষে।আমি সামুতে লেখা প্রায় সবার লেখাগুলোই পড়ি।অনেক ব্লগার তো আবার নিজেদের মাঝে দল বানিয়ে ফেলেছেন।দলের কেউ লিখলে পড়বো বাকি লেখা সব ছাগুদের,পাগলের প্রলাপ নয়তো........।কেউ হাসিনার পক্ষে,কেউ খালেদার কেউ বা আবার রাজাকারের।আবার এমন ও মানুষ আছে যারা মনে করে তারা মানে তাদের নেতা-নেত্রীরা কোন ভূলই করতে পারেন না!!!যা বলবে সব সত্য।তারা পবিত্র কুরআনের আয়াতের ভূল ধরতে পারে।হাদিসটা আসল না এটা নিয়ে সামুতে লিখে,সে লেখার পক্ষে আবার গলা ফাটাতে পারে।কেবল তার নেতা বা নেত্রী ভূল করতে পারেন না।যেমন শেখ মুজিব বলেছেন ৩০ লক্ষ।এটাই সত্য আবার খালেদা বলেছে এর কম হবে আরেকদল মনে করে এটাই সত্য।সবাই থাকে নিজেদের বিশ্বাসের উপর ভরসা করে।ফলাফল দেশটাতে রাজনৈতিক মারামারি লেগেই আছে।মানুষ খুন হয় পশুর মতো।
আজকের বিষয়ের সাথে হয়তো এ লেখাটা মানায় না।কিন্তু লেখাটা লিখলাম।পরে হয়তো মিল খুঁজে পাবেন।ফেসবুক থেকে একটা ছবি আপলোড দিলাম।অনেক কষ্ট লাগলো ছবিটা দেখে।আমার মনে আছে ক্লাশ আট এ থাকতে নিজের ক্লাশের একটি মেয়েকে ভালবেসে ছিলাম।পাক্কা এক বছর ৯ মাসের পর সে রাজী হয়েছিল ২৩-১১-২০০২।তারিখটা আজো ও মনে আছে।প্রথম কেউ বলেছিল আমি ও তোমাকে ভালবাসি।বলতে লজ্জা নেই ৪ বছর ২ মাসের সর্ম্পক।একবারই কিস করার ভাগ্য হয়েছিল।তারপর সিলেটিদের সেই চীর চেনা রুপ।আমেরিকার একটি ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায়।পালিয়ে বিয়ে করতে বলেছিল কিন্তু ছাত্র ছিলাম অনেকটা কাপুরুষ।তাই সাহস করতে পারি নি।২৫-০২-২০০৭ তার বিয়ে হয়ে যায়।দিনগুলো এখন ও মনে পড়ে।আমি তাকে আজও ভালবাসি।জানি সারাটা জীবন বাসবো।
এ যুগের ভালবাসায় রাজনীতি মিশে আছে।ভালবাসা আর রাজনীতি যেন এক সূতায় গাঁথা।ভালবাসার প্রমান করতে হলে বন্ধুর খালি ফ্লাটে যেতে হয়।শরীরে ইচ্ছে মতো হাত দিতে হয়।তা না হলে তোমার ভালবাসা সত্য না।তুমি যেহেতু এসব করতে দিচ্ছো না তার মানে তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না,ভালবাসো না!!
দলের কর্মী যেমন নেতার মন পেতে পকেটে টাকা না থাকলে ও জমি বিক্রি করে হলে ও নেতার আগমনে একটি তোরন বানাতে হয়,বিশাল বিশাল ব্যানার বানাতে হয় তেমনি প্রেমিকার মন পেতে বা মন ভাল রাখতে ও প্রেমিককে বাবার পকেটের টাকা না হয় মার টাকা চুরি করে দামি গিফট,দামি রেস্টুরেন্ট এ খাওয়াতে হয়।নেতা যেমন তার কর্মীর মন রাখতে তাকে যেকোন একটা পদ বা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে দেয়।তেমনি প্রেমিকা ও তার প্রেমিকের মন রাখতে বা দামি গিফট এর বিনিময়ে অথবা তার বিশ্বাসের কারনে বন্ধুর খালি ফ্লাট বা সস্তা হোটেলের কামরায় নিজের সব বিলিয়ে দেয়।তারপর হয়তো ভূল বুঝাবুঝি হলো বড় বড় নেতাদের মতো দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিল।আর আমরা পেলাম কিছু যৌনতা বিষয়ক ভিডিও,কিছু নারী আত্মহত্যার খবর,ডাস্টবিনে বা ডোবায় খুঁজে পেলাম কিছু নবজাতকের লাশ।
ভালবাসায় তো কোন দোষ নেই।আমি জানি না ভালবাসা স্বর্গ থেকে আসে কিনা।তবে এটা জানি যখন কাউকে মন থেকে ভালবাসা যায় তখন নিজের মাঝে এক প্রকার সুখ অনুভব হয়।সবাই সবাইকে ভালবাসুক মন থেকে।পবিত্র ভালবাসায় ভরে থাকুক সবার জীবন।কামনা বা যৌনতা বিতাড়িত হোক।আর না হলে যৌনতা তুলে রাখুন বাসর রাতের জন্য।যার ভালবাসা পাবার জন্য এতো কষ্ট করতে পারেন,যার মনটা জয় করার জন্য এতো পরিশ্রম তার সামান্য দেহটার জন্য বাসররাত পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা যায় না??
একটা নিউজ শেয়ার করে লেখাটা শেষ করলাম।সবাই ভাল থাকুন আর ভালবাসুন মন প্রান উজাড় করে,পবিত্র ভালবাসায় সিক্ত হোক ভালবাসা দিবস।যৌনতা আর নোংড়ামি থেকে মুক্তি পাক ভালবাসা।সবাইকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।
বগুড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন স্থানীয় ওলামা লীগের এক নেতা।অধ্যক্ষ ফজলুল করিম আলিম ক্লাসের এক ছাত্রীকে মাদ্রাসা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাত্রীদের নামাজঘরে ডেকে নেন। এরপর জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং অধ্যক্ষকে আটক করেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসাছাত্ররা জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে অধ্যক্ষ ফজলুল করিম আলিম ক্লাসের এক ছাত্রীকে মাদ্রাসা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাত্রীদের নামাজঘরে ডেকে নেন। সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হন। অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি টের পায়। এরপর দুজনই আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন।
কি মানুষ বাবা আর মাত্র ৪ টা দিন অপেক্ষা করতে পারলো না।আচ্ছা তিনি ও কি অগ্রীম ভালবাসা দিবস পালন করতেছিলেন নাকি :P
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×