আজকাল কয়েকদিন ধরে ফেসবুক বা সামুতে ভালবাসা দিবস নিয়ে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে।কেউ এর বিপক্ষে আবার কেউ বা পক্ষে।আমি সামুতে লেখা প্রায় সবার লেখাগুলোই পড়ি।অনেক ব্লগার তো আবার নিজেদের মাঝে দল বানিয়ে ফেলেছেন।দলের কেউ লিখলে পড়বো বাকি লেখা সব ছাগুদের,পাগলের প্রলাপ নয়তো........।কেউ হাসিনার পক্ষে,কেউ খালেদার কেউ বা আবার রাজাকারের।আবার এমন ও মানুষ আছে যারা মনে করে তারা মানে তাদের নেতা-নেত্রীরা কোন ভূলই করতে পারেন না!!!যা বলবে সব সত্য।তারা পবিত্র কুরআনের আয়াতের ভূল ধরতে পারে।হাদিসটা আসল না এটা নিয়ে সামুতে লিখে,সে লেখার পক্ষে আবার গলা ফাটাতে পারে।কেবল তার নেতা বা নেত্রী ভূল করতে পারেন না।যেমন শেখ মুজিব বলেছেন ৩০ লক্ষ।এটাই সত্য আবার খালেদা বলেছে এর কম হবে আরেকদল মনে করে এটাই সত্য।সবাই থাকে নিজেদের বিশ্বাসের উপর ভরসা করে।ফলাফল দেশটাতে রাজনৈতিক মারামারি লেগেই আছে।মানুষ খুন হয় পশুর মতো।
আজকের বিষয়ের সাথে হয়তো এ লেখাটা মানায় না।কিন্তু লেখাটা লিখলাম।পরে হয়তো মিল খুঁজে পাবেন।ফেসবুক থেকে একটা ছবি আপলোড দিলাম।অনেক কষ্ট লাগলো ছবিটা দেখে।আমার মনে আছে ক্লাশ আট এ থাকতে নিজের ক্লাশের একটি মেয়েকে ভালবেসে ছিলাম।পাক্কা এক বছর ৯ মাসের পর সে রাজী হয়েছিল ২৩-১১-২০০২।তারিখটা আজো ও মনে আছে।প্রথম কেউ বলেছিল আমি ও তোমাকে ভালবাসি।বলতে লজ্জা নেই ৪ বছর ২ মাসের সর্ম্পক।একবারই কিস করার ভাগ্য হয়েছিল।তারপর সিলেটিদের সেই চীর চেনা রুপ।আমেরিকার একটি ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায়।পালিয়ে বিয়ে করতে বলেছিল কিন্তু ছাত্র ছিলাম অনেকটা কাপুরুষ।তাই সাহস করতে পারি নি।২৫-০২-২০০৭ তার বিয়ে হয়ে যায়।দিনগুলো এখন ও মনে পড়ে।আমি তাকে আজও ভালবাসি।জানি সারাটা জীবন বাসবো।
এ যুগের ভালবাসায় রাজনীতি মিশে আছে।ভালবাসা আর রাজনীতি যেন এক সূতায় গাঁথা।ভালবাসার প্রমান করতে হলে বন্ধুর খালি ফ্লাটে যেতে হয়।শরীরে ইচ্ছে মতো হাত দিতে হয়।তা না হলে তোমার ভালবাসা সত্য না।তুমি যেহেতু এসব করতে দিচ্ছো না তার মানে তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না,ভালবাসো না!!
দলের কর্মী যেমন নেতার মন পেতে পকেটে টাকা না থাকলে ও জমি বিক্রি করে হলে ও নেতার আগমনে একটি তোরন বানাতে হয়,বিশাল বিশাল ব্যানার বানাতে হয় তেমনি প্রেমিকার মন পেতে বা মন ভাল রাখতে ও প্রেমিককে বাবার পকেটের টাকা না হয় মার টাকা চুরি করে দামি গিফট,দামি রেস্টুরেন্ট এ খাওয়াতে হয়।নেতা যেমন তার কর্মীর মন রাখতে তাকে যেকোন একটা পদ বা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে দেয়।তেমনি প্রেমিকা ও তার প্রেমিকের মন রাখতে বা দামি গিফট এর বিনিময়ে অথবা তার বিশ্বাসের কারনে বন্ধুর খালি ফ্লাট বা সস্তা হোটেলের কামরায় নিজের সব বিলিয়ে দেয়।তারপর হয়তো ভূল বুঝাবুঝি হলো বড় বড় নেতাদের মতো দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিল।আর আমরা পেলাম কিছু যৌনতা বিষয়ক ভিডিও,কিছু নারী আত্মহত্যার খবর,ডাস্টবিনে বা ডোবায় খুঁজে পেলাম কিছু নবজাতকের লাশ।
ভালবাসায় তো কোন দোষ নেই।আমি জানি না ভালবাসা স্বর্গ থেকে আসে কিনা।তবে এটা জানি যখন কাউকে মন থেকে ভালবাসা যায় তখন নিজের মাঝে এক প্রকার সুখ অনুভব হয়।সবাই সবাইকে ভালবাসুক মন থেকে।পবিত্র ভালবাসায় ভরে থাকুক সবার জীবন।কামনা বা যৌনতা বিতাড়িত হোক।আর না হলে যৌনতা তুলে রাখুন বাসর রাতের জন্য।যার ভালবাসা পাবার জন্য এতো কষ্ট করতে পারেন,যার মনটা জয় করার জন্য এতো পরিশ্রম তার সামান্য দেহটার জন্য বাসররাত পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা যায় না??
একটা নিউজ শেয়ার করে লেখাটা শেষ করলাম।সবাই ভাল থাকুন আর ভালবাসুন মন প্রান উজাড় করে,পবিত্র ভালবাসায় সিক্ত হোক ভালবাসা দিবস।যৌনতা আর নোংড়ামি থেকে মুক্তি পাক ভালবাসা।সবাইকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।
বগুড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন স্থানীয় ওলামা লীগের এক নেতা।অধ্যক্ষ ফজলুল করিম আলিম ক্লাসের এক ছাত্রীকে মাদ্রাসা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাত্রীদের নামাজঘরে ডেকে নেন। এরপর জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং অধ্যক্ষকে আটক করেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসাছাত্ররা জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে অধ্যক্ষ ফজলুল করিম আলিম ক্লাসের এক ছাত্রীকে মাদ্রাসা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাত্রীদের নামাজঘরে ডেকে নেন। সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হন। অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি টের পায়। এরপর দুজনই আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন।
কি মানুষ বাবা আর মাত্র ৪ টা দিন অপেক্ষা করতে পারলো না।আচ্ছা তিনি ও কি অগ্রীম ভালবাসা দিবস পালন করতেছিলেন নাকি
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯