somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযোদ্ধার দল এবং তাদের ব্যবসা আর একটি অন্ধ জাতি

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী,মার্চ আর ডিসেম্বর আসলে আমরা দেশটাকে নিয়ে দেশের মহান ইতিহাস নিয়ে টানাটানি শুরু করি।আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ভাষনে চোঁখের পানি ফেলে আমাদের আর ও আবেগী করে তুলেন।তিনি বা আমরা ভালই জানি জনতার চোঁখের পানি সেটা আসে মন থেকে আর উনার চোঁখের পানি আসে ক্ষমতার লোভে।
আগামী মাসে জানি সামুতে মহান বিজয় দিবসের পোস্টে ভরে যাবে,পত্রিকাগুলো ভরে যাবে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের কাহিনী দিয়ে।আবার কেউ বা তুলে ধরবেন সমাজে কোন মুক্তিযোদ্ধা এখন কেমন আছেন।আমরা তখন সবাই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবো,আবেগী হয়ে যাবো।গর্ব করে ফেবু আর সামুসহ সব জায়গায় বড় বড় পোস্ট দেব।শীতের রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাবো।পর দিন আবার সেই ফুল দেয়া নিয়ে মারামারির ছবিসহ খবর পড়বো।
সরকার নাকি মহান এই যুদ্ধে যেসকল ভারতীয় মারা গিয়েছেন তাদেরকে সম্মান জানাবেন।ভারতে গিয়ে সম্মাননা,আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্রেস্ট প্রধান করবেন।এটা একটা ভাল চিন্তা।মহান যুদ্ধে ভারতীরা অনেক অবদান রেখেছেন।সরকার দেরীতে হলে ও একটা ভাল চিন্তা করেছেন।১৭০০ পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে দিবেন।টাকার অংকটা বিশাল।যদি ও তাদের অবদানের কথা চিন্তা করলে সেটা কিছুই না।শেখ হাসিনা,আপনি আর আপনার দল ভারতের পা-চাটা দালাল ছাড়া আর কিছুই না।আপনার দলের মতো ভন্ড দল দেশে খুব একটা বেশি দেখা যায় না।আপনি সারা বিশ্বে একটা জিনিস।চেতনাবাদীরা গালাগালি শুরু করার আগে নিচের টা পড়ুন।
আমাদের দেশের মহান এ যুদ্ধের সর্বোচ্চ সমান দেয়া হয়েছে ৭ জন মানুষকে।ছোট বেলায় অনেক কষ্ট করে সেই সাত মহান বীরের নাম শেখেছিলাম।এখন ও মনে আছে তাদের নামগুলো।কি করে ভূলি বলেন।এ যে নিজের সত্বা,এ যে আমার সংগ্রামের সাথী।তাদের কাছ থেকেই তো বারবার অনুপ্রেরনা পাই।মাথা উচুঁ করে বাঁচার।বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী পাটোয়ারী।কি করে জানেন?জানি অনেকেই জানেন,বাবা পাক হায়েনাদের পরাজিত করতে পারলে ও তিনি পারেননি এ দেশের চেতনাবাদী দালালদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে।ওনার বাবার অবদানকে নিয়ে যারা নোংরা ব্যবসা করে আর চোঁখের জল ফেলে তিনি পারেননি তাদের ভন্ডামি জাতির কাছে তুলে ধরতে।কি করে পারবেন? এ জাতি যে আজ অন্ধ।আর তাইতো তার সংসার চলে অভাবে।খাবার জোগাড় করতে তাকে করতে হয় করাত কলে গাছ টানার কাজ নয়তো বা চায়ের দোকানে পানি টানার কাজ।তিনি কি সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্য আশা করতে পারেন না?সরকার কি পারে না তাকে কোন একটা কাজ দিতে।যেকোন একটা ছোট্ট কাজ,যেন সে পেট ভরে খেতে পারে,তার সংসারটা একটু ভাল চলে।সে যেন গর্ব করে বলতে পারে আমার বাবার অবদান আসলেই বৃথা যায়নি।
জানি সরকারের এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই।তারা আছে দালালীতে।তারা আছে কি করে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বিক্রি করে নিজেদের পেট চালানো যায়।আর তাই তো নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বরাবর সম্মান না দিয়ে তিনি চলে যান ভারতে।কারন এক গুলিতে দুই শিকার করা যাবে।দাদারা ও খুশি থাকলো আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পূরানো নাটকটা আবার নতুন করে শুরু করা গেল।
আমি মানি না জামায়াত,আমি মানি না বিএনপি।আমি কেবল মানি আমি বাংলাদেশী এটা আমার দেশ।আমি গর্ব করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে।আমি জানি জামায়াত নাম লিখিয়েছিল রাজাকার দলে,আমি জানি বিএনপির জিয়াউর রহমান অবদান রেখেছিল মহান এ ইতিহাসে।আমি মন থেকে মানি শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই স্বপ্নের প্রধান নেতা।কিন্তু সেই নেতার দল আজ বদলে গিয়েছে।সেই নেতার স্বপ্ন কবেই কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে তার দল।তার দল এখন কেবল একটা জিনিসই জানে কি করে দালালী করতে হয়,কি করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করতে হয়।কারন তারা এটা ভাল করেই জানে শেখ মুজিবরের সময় এ জাতি ছিল জাগ্রত আর শেখ হাসিনার সময় এ জাতি অন্ধ।সো যা খুশি তাই তারা করতে পারে।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×