প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী,মার্চ আর ডিসেম্বর আসলে আমরা দেশটাকে নিয়ে দেশের মহান ইতিহাস নিয়ে টানাটানি শুরু করি।আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ভাষনে চোঁখের পানি ফেলে আমাদের আর ও আবেগী করে তুলেন।তিনি বা আমরা ভালই জানি জনতার চোঁখের পানি সেটা আসে মন থেকে আর উনার চোঁখের পানি আসে ক্ষমতার লোভে।
আগামী মাসে জানি সামুতে মহান বিজয় দিবসের পোস্টে ভরে যাবে,পত্রিকাগুলো ভরে যাবে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের কাহিনী দিয়ে।আবার কেউ বা তুলে ধরবেন সমাজে কোন মুক্তিযোদ্ধা এখন কেমন আছেন।আমরা তখন সবাই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবো,আবেগী হয়ে যাবো।গর্ব করে ফেবু আর সামুসহ সব জায়গায় বড় বড় পোস্ট দেব।শীতের রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাবো।পর দিন আবার সেই ফুল দেয়া নিয়ে মারামারির ছবিসহ খবর পড়বো।
সরকার নাকি মহান এই যুদ্ধে যেসকল ভারতীয় মারা গিয়েছেন তাদেরকে সম্মান জানাবেন।ভারতে গিয়ে সম্মাননা,আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্রেস্ট প্রধান করবেন।এটা একটা ভাল চিন্তা।মহান যুদ্ধে ভারতীরা অনেক অবদান রেখেছেন।সরকার দেরীতে হলে ও একটা ভাল চিন্তা করেছেন।১৭০০ পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে দিবেন।টাকার অংকটা বিশাল।যদি ও তাদের অবদানের কথা চিন্তা করলে সেটা কিছুই না।শেখ হাসিনা,আপনি আর আপনার দল ভারতের পা-চাটা দালাল ছাড়া আর কিছুই না।আপনার দলের মতো ভন্ড দল দেশে খুব একটা বেশি দেখা যায় না।আপনি সারা বিশ্বে একটা জিনিস।চেতনাবাদীরা গালাগালি শুরু করার আগে নিচের টা পড়ুন।
আমাদের দেশের মহান এ যুদ্ধের সর্বোচ্চ সমান দেয়া হয়েছে ৭ জন মানুষকে।ছোট বেলায় অনেক কষ্ট করে সেই সাত মহান বীরের নাম শেখেছিলাম।এখন ও মনে আছে তাদের নামগুলো।কি করে ভূলি বলেন।এ যে নিজের সত্বা,এ যে আমার সংগ্রামের সাথী।তাদের কাছ থেকেই তো বারবার অনুপ্রেরনা পাই।মাথা উচুঁ করে বাঁচার।বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী পাটোয়ারী।কি করে জানেন?জানি অনেকেই জানেন,বাবা পাক হায়েনাদের পরাজিত করতে পারলে ও তিনি পারেননি এ দেশের চেতনাবাদী দালালদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে।ওনার বাবার অবদানকে নিয়ে যারা নোংরা ব্যবসা করে আর চোঁখের জল ফেলে তিনি পারেননি তাদের ভন্ডামি জাতির কাছে তুলে ধরতে।কি করে পারবেন? এ জাতি যে আজ অন্ধ।আর তাইতো তার সংসার চলে অভাবে।খাবার জোগাড় করতে তাকে করতে হয় করাত কলে গাছ টানার কাজ নয়তো বা চায়ের দোকানে পানি টানার কাজ।তিনি কি সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্য আশা করতে পারেন না?সরকার কি পারে না তাকে কোন একটা কাজ দিতে।যেকোন একটা ছোট্ট কাজ,যেন সে পেট ভরে খেতে পারে,তার সংসারটা একটু ভাল চলে।সে যেন গর্ব করে বলতে পারে আমার বাবার অবদান আসলেই বৃথা যায়নি।
জানি সরকারের এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই।তারা আছে দালালীতে।তারা আছে কি করে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বিক্রি করে নিজেদের পেট চালানো যায়।আর তাই তো নিজের দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বরাবর সম্মান না দিয়ে তিনি চলে যান ভারতে।কারন এক গুলিতে দুই শিকার করা যাবে।দাদারা ও খুশি থাকলো আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পূরানো নাটকটা আবার নতুন করে শুরু করা গেল।
আমি মানি না জামায়াত,আমি মানি না বিএনপি।আমি কেবল মানি আমি বাংলাদেশী এটা আমার দেশ।আমি গর্ব করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে।আমি জানি জামায়াত নাম লিখিয়েছিল রাজাকার দলে,আমি জানি বিএনপির জিয়াউর রহমান অবদান রেখেছিল মহান এ ইতিহাসে।আমি মন থেকে মানি শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই স্বপ্নের প্রধান নেতা।কিন্তু সেই নেতার দল আজ বদলে গিয়েছে।সেই নেতার স্বপ্ন কবেই কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে তার দল।তার দল এখন কেবল একটা জিনিসই জানে কি করে দালালী করতে হয়,কি করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করতে হয়।কারন তারা এটা ভাল করেই জানে শেখ মুজিবরের সময় এ জাতি ছিল জাগ্রত আর শেখ হাসিনার সময় এ জাতি অন্ধ।সো যা খুশি তাই তারা করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭