সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী।বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের অফিসিয়াল সাইটে ডুকলেই আপনার চোঁখে পড়বে লেখাটি।লেখাটি পড়লেই নিজের মাঝে কেমন যেন একটা দেশপ্রেম আর গর্ব চলে আসে।আর নিজের দেশ নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি।আজ তিনটি গল্প নিয়ে হাজির হলাম।বাংলাদেশের গল্প,নিজের দেশের গল্প।
গল্পের নাম:বাংলাদেশের অতন্দ্র প্রহরী
আমি একজন অন্ধ দেশপ্রেমিক হিসেবে ধরে নিলাম আওয়ামীলীগ না থাকলে দেশটা স্বাধীন হতো না।আর তাই মহান আল্লাহ মন থেকে ধন্যবাদ দিতেই পারি এমন একটি দলের জন্ম এই অভাগা বাংলায় হয়েছে।সেই ১৯৭১ সালে যে তারা বন্দুক হাতে নিয়ে ছিল দেশটা স্বাধীন করার জন্য তারা এখন ও সেই বন্দুক হাতে দেশটাকে পাহারা দিচ্ছে।তারা বা তার দলের লোকেরা আছে বলেই আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি।কোন হায়েনারা আমাদের দেশে আক্রমন করার সাহস পায় না।আর তাই আমি মনে করি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর অফিসিয়াল সাইটে বড় করে লেখা উচিত.....আওয়ামীলীগের সকল সংগঠন বাংলাদেশের অতন্দ্র প্রহরী।
https://goo.gl/aRfSt0
গল্পের নাম:বাংলার হাতেম তাই
ছোট বেলায় গল্প পড়েছি হাতিম তাইকে নিয়ে।এছাড়া ভারতের তৈরি হাতিম তাই সিরিয়ালের ছিলাম নিয়মিত দর্শক।নিজের জীবনের চিন্তা না করে যে মানব সেবায় সবসময় এগিয়ে যায়।তার মতোই একজন মানুষ ছিলেন আমাদের দানবীর রাগীব আলী ।বাংলাদেশে কম বই লেখা হয়নি তার উপর!!জাহাজ ডুবতে বসলে ইঁদুরেরা বুঝতে পারে। ডুবন্ত জাহাজ থেকে ইঁদুরেরা লাফিয়ে পড়ে। রাগীব আলী নামের টাইটানিক জাহাজের পতন বুঝতে পেরে মানুষরূপী ইঁদুরেরা সটকে পড়েছে।বাংলাদেশে রাগীব আলী'র চেয়ে শতগুণ বড় বড় ভূমি-দস্যু ও লুটেরা রয়েছে। যারা দান-খয়রাতের চৌহদ্দিতেও নেই। রাগীব আলী ওদের মত একা সব ভোগ করেনি। ড্রাম বাজিয়ে হলেও দান খয়রাত করেছেন। লুটের জায়গায় পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করেছেন, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানকে রাগীব আলী আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক লুটেরা নিঃশব্দে লুটে খেয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। বিদেশে সে সম্পদ পাচার করেছে।‘মুসা বিন শমসের’ নামের এক দানবের সাক্ষাৎকার ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। সে দেশের দরিদ্র মানুষ নিয়ে যেভাবে উপহাস করেছে, নিজের বিত্ত-বৈভবের যে অশ্লীল প্রদর্শনী করেছে তা দেখার পর ‘রাগীব আলী’কে অনেক ভালো মানুষই বলতে হয়।রাগীব আলী'র পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। ঢাউস ঢাউস বইয়ে যে সব তোষামোদকারী নির্লজ্জের মত লিখে লিখে সাধারণ মানুষটাকে মহামানব বলার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছে রাগীব আলীর চেয়ে তাদেরকেই বেশি নীতি-বিবর্জিত নষ্ট মানুষ মনে হয়। দু'লাইন লিখতে কলম ভাঙে এমন মানুষকে দাপুটে সাংবাদিক বানিয়েছিলেন রাগীব আলী। আজ এরা নীরব।
গল্পের নাম:কান ধরা একটি জাতি
এটার ছবিটা দিতে মন চাইলো না।জাতির কারিগর কান ধরে উঠবস করে এটা দেখতে ভাল দেখায় না।বেশ কিছু দিন আগের কথা না।আশা করি সবারই মনে আছে।সামাজিক সাইটগুলোতে কানে ধরা পিক দিয়ে সবাই প্রতিবাদ করেছিল।চারিদিকে গেল গেল রব উঠেছিল।দূর্দান্ত সব অপকর্মের নাটের গুরু ইয়াবা বদিরা পার পেয়ে যায়,ভাগ্যে জুটে শত শত তোরন আর ফুলের মালা,সাথে বাহবাও!আর উপজেলা পর্যায়ে প্রপারের একটি ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের দাবি করতে গিয়ে একজন শিক্ষাগুরুর ভাগ্যে জুটে পুলিশের লাঠিচার্য,রাবার বুলেট আর মরণের সার্টিফিকেট!আচ্ছা,শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐ দাবিটা কি খুবই অন্যায়-অযৌক্তিক ছিল?!!আমাদের সভ্যতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?!!আবার আমরা নিঃসংকোচে বলি-'শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষক শিক্ষার মেরুদন্ড!'এটা নিয়ে এতো মাতামাতি করতে দেখলাম না।সবার উচিত ছিল প্রতিকি লাশ হয়ে এর প্রতিবাদ জানানো।কিন্তু আমরা তা করতে পারবো না।কারন তিনি যে মুসলমান,তিনি যে সংখ্যালঘু নয়।যে জাতি পিতাকে পিতা হিসেবে,যে জাতি স্যারদের শিক্ষার মেরুদন্ড হিসেবে স্বিকার না করে তাদের মূল্যায়ন করে হিন্দু-মুসলমান হিসেবে।সে জাতির কাছে খুব বেশি কিছু আশা করা মনে হয় ঠিক হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৩