somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ মুজিব সাহেব আসলে কোন পন্থি ছিলেন?

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই টপিকটা এখনকার তেমন কোন হিট টপিক না হলেও আমার মনে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করা দারকার তাই করছি।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত তোষন নীতি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচছে ভারতেরই কোন সরকার এটা। আওয়ামীলিগের রাজনৈতিক আদর্শ তাদের দলের এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিব। বরাবরই আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা একটা কথাই বলে থাকেন যে বংগবন্ধুর স্বপ্ন। তাই ভাবলাম একটি আলোচনা করা দরকার ভারতের ব্যাপারে বংগবন্ধুর নীতি কি ছিল?

১০ই জানুয়ারী বংগবন্ধুর স্বদেশ প্রর্তাবর্তন দিবস। এইদিন বংগবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরেন। কিন্তু ১০ ই জানুয়ারী পর্যন্ত ব্রিটেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাহলে কেন বংগবন্ধু লন্ডন হয়ে ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশ আসলেন?? তিনি তো দিল্লি এয়ারলাইন্সেও আসতে পারতেন। এই দাবী দিল্লিরো ছিল। কারন কি? সেটা তার মুখ থেকেই শোনা যাক।

"বংগবন্ধু তার বন্ধু ভারত কে মনে মনে বিশ্বাস করতেন না। ভারত দাবী করেছিল তিনি যেন দিল্লি এয়ারলাইন্স হয়ে আসেন। তাদের দাবী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ শেখ সাহেবকে জানান। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আমি ব্রিটিশ এয়ার লাইন্সই আসবো। কেন তিনি এই স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা আমাদের অজানা। "

১৯৭১ সালে ২৮শে ডিসম্বার তিনজন সংখ্যা লঘু নেতা দিল্লি যান মিসেস গান্ধীর কাছে দেন দরবার করতে। তাদের আব্দার ছিল বাংলাদেশকে যেনো ভারতের একটা প্রদেশ করে নেওয়া হয়। এই তিনজন মহান দেশপ্রেমকি সেতা ছীলেন মনোরন্জন ধর, ফনিভুষন মজুমদার এবং চিত্তরন্জন সুতার। কিন্তু শেখ সাহেব সরা সরি এই খবরই প্রত্যাখ্যান করেন। এবং প্রচন্ড বিরোধীতা করেন।

বর্তমান সরকারের অন্যতম তরুন নক্ষত্র সোহেল তাজের দেশপ্রমিক পিতার মুজিব নগর সরকার কি করেছিলেন তা আরও ভয়ংকর। তারা দিল্লির সাথে একটি গোপন চুক্তি করেন। কিন্তু শেখ মুজিব দেশে ফিরেই এই চুক্তি প্রত্যাখান করেন।শেখ মুজিব চুক্তির সকল অংশ প্রত্যাখান করে বললেন এই চুক্তি আমি মানিনা। তিনি এর সব স্বিদ্ধান্ত বাতিল করে দিলেন। অবিলম্বে দেশ থেকে সকল ভারতীয় কর্মকর্তা কর্মচারীকে বের হয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন।সিমান্তের তিন মাইলের মধ্যে অবাধ বানিজ্যের চুক্তি বাতিল করলেন। ভারতে পরামর্শ অনুযায়ী সেনাবাহিনী একিভুত কারা স্বীদ্ধান্ত প্রত্যাখান করলেন। এবং সেনা বাহিণী শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিলেন। এই ব্যাপারে মন্ত্রী সভার বৈঠকে তীব্র বাক বিতন্ডা হল। তাজউদ্দিনের নেতৃত্বে একপক্ষ তার সেনাবাহীনির রাখার স্বিদ্ধান্তে বিরক্ত হল। শেখ সাহেব জানালেন তিনি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সামরিক অফিসারদের দেশে ফেরাবার উদ্যোগ নেবেন। এতে ভারতীয় সেনাবাহিণী বিরক্ত হয়ে প্রতাশ্যে বিবৃতিও দেয়া শুরু করল।

শেখ সাহেবের সবচেয়ে দেশ প্রেমক ময় কাজ করলেন মিসেস গান্ধির সাথে বৈঠকে। ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে সামরিক নায়কদের নিয়ে গান্ধী বৈঠকে বসেছিলেন শেখ সাহেব কে নিয়ে সেখানে তিনি সরাসরি দাবী করলেন কবে আপনি বাংলাদেশ থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করছেন? শুনে মিসেস গান্ধী খুবই বিরকত্ হয়ে মানেক শর দিকে তাকালেন। তারপর বললেন আপনি যেদিন বলবেন সেদিনই

শেখ সাহেব স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে যাবেন। এই ব্যপারে ইনডিয়ার পরামর্শে তাজউদ্দিন পন্থিরা তাকে পরামর্শ দেয় সেই সম্মেলনে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি স্পষ্ট বলেন আমি লাহোর যাব এবং সম্মেলনে যোগ দিয়ে সদস্য পদ নেব। দেখি কে কি করে। এই ব্যাপারে একজন মন্তব্য করে শেক সাহেব বেশি বেড়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন সবে তো শুরু দেখেন আমি কি করি।



৩১টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×