বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিটমহলের বাসিন্দারা যে দেশের নাগরিত্ব গ্রহণ করতে চান সে দেশে আগামী জুলাইয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আগামী মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারত এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ টিম ছিটমহলবাসীদের মতামত সংগ্রহ করবে। এ সময় যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে চান এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে অবস্থান করতে চান, তাদের উপর্যুক্ত টিমের কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। একইভাবে যারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে চান এবং ভারতের মূল ভূখণ্ডে থাকতে চান তাদের আবেদন করতে হবে। সূত্র জানায়, যদি কোনো ব্যক্তি ভারতের বা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে চান, তবে তাকে ১ আগস্ট থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বাংলাদেশের/ভারতের মূল ভূখণ্ডে গমন করতে হবে। এ সময়ে উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে। যারা ভারতে বা বাংলাদেশে যেতে চান, তারা চিলাহাটি-হলদিবাড়ী, বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি চেকপয়েন্ট দিয়ে যেতে পারবেন। যারা ভারতে বা বাংলাদেশে যাবেন, তারা টাকা-পয়সাসহ অস্থাবর সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। আগ্রহী ব্যক্তিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতের বা বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে চলে যেতে হবে। তবে যদি কোনো ব্যক্তি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বা আগে স্থাবর সম্পত্তি রেখে ভারতে বা বাংলাদেশে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে সম্পত্তির দলিলের কপি (যদি থাকে) স্থানীয় জেলা প্রশাসনের হেফাজতে রেখে যেতে পারবেন এবং বিক্রির সময় জেলা প্রশাসনের সহায়তা পাবেন। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত সব ভারতীয় ছিটমহল বাংলাদেশের ভূখণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। একইভাবে ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত সব বাংলাদেশী ছিটমহল ভারতের ভূখণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহলে/ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাংলাদেশের ছিটমহলে ২০১১ সালে পরিচালিত শুমারির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি এবং এরপর জন্মগ্রহণকারী সন্তানদের বাংলাদেশের/ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। তারা বাংলাদেশের/ভারতের নাগরিক হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯