somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

FOOD SECURITY, M21 AND TOURISM CULTURE IN GRASS-ROOT LEVEL

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

FOOD SECURITY, M21 AND TOURISM CULTURE IN GRASS-ROOT LEVEL
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন।
এ বিষয়ে আমার প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছা আছে, তবে নিকট ভবিষ্যতে সম্ভব হবে কিনা নিশ্চিত না। আপাতত আমি আমার পরিকল্পিত পেপারের সারাংশ লিখে ফেললাম। বিষয়টা কিছু সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ ব্যাক্তিবর্গকে প্রেরণ করছি, কারণ অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটাতে পর্যাপ্ত জনসচেতনতা নেই। আর কাজের কাজটা সরকার করবেনা, তৃণমূলে হতে হবে। সরকার করবেনা, কারণ তারা ক্ষমতা রক্ষা ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে নারাজ। অনুগ্রহ করে আমার টার্গেটকৃত প্রবন্ধের সারাংশটি দেখুন, আমি আশা করি আপনারা এ বিষয়ে আমার চাইতেও যুতসই প্রচারণা পরিচালনা করতে পারবেন। একই সাথে আমিও সুযোগ মত আমার খসড়া নিবন্ধের উন্নয়ন অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।

FOOD SECURITY, M21 AND TOURISM CULTURE IN GRASS-ROOT LEVEL

নিরাপত্তা বলতে প্রধানতঃ সামরিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। কিন্তু “খাদ্য নিরাপত্তা” নিয়ে মুখস্ত ভাবনা ও বুলি আওড়ানোর চাইতে অধিক তাতপর্যবহ প্রচারণা ও কাজ অনুপস্থিত। যেমনঃ “খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা”। এর কোন মানে হয়না, তাহলে আমরা আরব দেশ থেকে খেজুর আমদানি করি কেন? আবার যতই “খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার” জিকির আওড়াই না কেন, স্থানীয় বহু খাদ্য সম্ভারকে আমরা ব্যাবহার করতে পারছিনা। সম্ভবতঃ “খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা” বলতে ধানের তথা ভাতের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে বোঝানো হয়, তা হলে সেটা আরেক মূর্খতা, বাঙ্গালীকে এই মুখস্ত পেট ভরে ভাত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। যাই হোক, এখন আমরা ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে আছি। রাষ্ট্রের হর্তাকর্তাদের গঠনমূলক চিন্তা উল্লেখযোগ্য নয়। তবুও ব্যাক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ে যথাসাধ্য মৌলিক কাজ চালু রাখতে হবে। ধ্বংসের সময় এবং সুদিন কোনটাই চিরস্থায়ী নয়। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে যাতে দিন বদলানোর পরে দ্রুত উন্নতির দিকে অগ্রগামী হওয়া যায়। একইভাবে সুদিনের সময়েও আপদকালীন প্রস্তুতি রাখতে হয়, কারণ সেটাও চিরস্থায়ী নয়।
বিষয়টিকে বিভিন্ন ভাগে উপস্থাপনের চেষ্টা করব।
হাইব্রিড ও জিএম ফুড বিতর্কঃ
হাইব্রিড ও জিএম ফুডের উচ্চমাত্রার ফলনের বিনিময়ে মাটি ও পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক আছে, আরো আছে জেনেটিক বিভিন্ন কথাবার্তা। ব্যাপক হাইব্রিড চাষের পরিণতিতে স্থানীয় বীজ ও জীব বৈচিত্র ধ্বংস এবং পরে একে ব্যাবহার করে বাহির থেকে খাদ্য আগ্রাসনের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেবার মত নয়। অনেকে আবার হাইব্রিড ও জিএম ফুড বিরোধী প্রচারণাকে সস্তা আবেগ আখ্যায়িত করেন, তাদের কথা হলো খাদ্যের পরিমাণ না বাড়লে মানুষ খাবে কী? যাই হোক, এসব বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা জরুরী। এখানে কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলো উত্তর জরুরী।
১। উচ্চ ফলনশীল মানেই কি হাইব্রিড?
২। হাইব্রিড মানেই কি জিএম ফুড?
৩। উচ্চ ফলনশীল, হাইব্রিড ও জিএম ফুডের মধ্যে মিল ও অমিল।
অর্গানিক কৃষিঃ
মানে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকবিহীন উতপাদন, এটা ঝুকিমুক্ত তবে উতপাদন কম অর্থাৎ “খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার” চেতনা বিরোধী। অনেকেই অর্গানিক কৃষির প্রচারণাকে অতি উতসাহ আখ্যায়িত করে একে সীমিত করতে চান। এখানেও প্রশ্ন আছে।
অর্গানিক কৃষি কি হাইব্রিড ও জিএম ফুড বিরোধী? নাকি শুধু কৃষিতে বিষ ব্যাবহার, মানে সার ও কীটনাশকের বিরোধী?
মিশ্র পদ্ধতি এবং বীজ ও জীব বৈচিত্রের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাঃ
যদিও জীব বৈচিত্র্যের ব্যাপারে অনেকে কম উতসাহী এমনকি অনেকে বিষয়টিকে বালখিল্লতা বলতে চান, তথাপি এটার গুরুত্ব অস্বীকার করা কঠিন। কারণ নানা প্রকার জীব থেকে নিত্য নতুন বিভিন্ন অপরিহার্য সামগ্রী আবিষ্কৃত হয়ে চলছে। আবার উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ উতপাদনের গুরুত্বও অস্বীকার করা যায়না। বিশেষজ্ঞরা তাদের ব্যাপক জ্ঞানের আলোকে কথা বলবেন। আমি যা বুঝি তাহলো একজন কৃষক পর্যায়ক্রমে একই স্থানে হাইব্রিড এবং আদি জাতের কৃষিজ উপাদানের আবাদ করতে পারেন। এতে করে বর্তমানে জমি, পরিবেশ, জলজ প্রাণি ও মাছ এবং বীজ ধ্বংসের যে আলামত দেখা দিয়েছে তার রাশ টেনে ধরা যাবে।
সব শেষে সাংবাদিক এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে দাবী করতে চাই যে, আমাদের ধান বা এ জাতীয় আরো কিছু উপাদানের আদি জাত, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত, হাইব্রিড ইত্যাদি বিষয়ে সিরিজ প্রবন্ধ দরকার এবং কোন জাতটির কতটুকু গুরুত্ব, উপযুক্ত এলাকা, বীজের নিরাপত্তা ইত্যাদি ইত্যাদি।
বীজ সুরক্ষা এবং নিজস্ব সম্পদ রক্ষাঃ
খ্যাতিমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক জনাব ফরহাদ মজহারের ভাষায়, দেখতে দেখতে মাত্র ২/১ দশকের মধ্যে গোটা কৃষি ব্যাবস্থা বিভিন্ন কোম্পানির হাতে চলে গেছে। অনেক দারুণ দারুণ কৃষি উপাদান হারিয়ে যাচ্ছে, কোম্পানিগুলোর বীজ ভান্ডারে তালাশ করেও সেগুলো পাওয়া যায়না। আমাদেরকে অবশ্যই মিটার নির্ধারণ করতে হবে যে, কোন কোন উপাদানকে কী মাত্রায় ব্যাবহার করব এবং কোম্পানি ও তৃণমূলের মধ্যে সমন্বয় সাধিত হতে হবে। কোম্পানিগুলোর বীজ ভান্ডার অবশ্যই থাকতে হবে, একই সাথে ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায়েও বীজ উতপাদন ও সরক্ষণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
স্বল্প পরিশ্রম, যতসামাণ্য স্থান এবং নামমাত্র খরচে উতপাদিত ফসলকে ব্যবহার করাঃ
২০১৬ সালের মে মাসে বান্দরবানের গভীরে কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষের মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। তখন আমি দুটি ফেসবুক পেইজে নিম্নোক্ত প্রশ্নটি করেছিলাম, তবে জবাব পাইনি। প্রশ্নটি দিয়েই শুরু করছি।
প্রশ্নটিঃ “বিষয়টা আমাদের দেশের জীব ও খাদ্য বৈচিত্র্যের সাথে জড়িত। বান্দরবানে খাদ্য ঘটতিতে আক্রান্ত এলাকার লোকেরা নাকি পাহাড়ী জংলি আলু খাচ্ছে। এই জংলি আলুটা কি রকম? আমাদের দেশে সমতল ভূমিতে মাটি আলু [মাইট্টা আলু] হয়। দুটি বর্ষার আয়ু শেষে মাটির নীচ থেকে গর্ত করে আলু তুলতে হয়। [প্রথম বর্ষা শেষে গাছ শুকিয়ে যায়, আবার পরের বর্ষায় শুকনো মাঠের ঘাসের মত জেগে ওঠে। প্রতিবারই লতায় বীজ হয়।] কোন কোন গাছ বা গর্ত থেকে মণ খানেকও আলু হয়। বান্দরবানের সেই জংলি আলু কি এটাই? নাকি আরো অন্যরকম???
বিঃ দ্রঃ সমতলের সুস্বাদু মাইট্টা আলুর সাথে মিল থাকুক বা না থাকুক, আমি ওটাকে জংলি আলু বলার বিপক্ষে। খাদ্যকে জংলি বললে খাদ্যকে অসম্মান করা হয়”।
https://web.facebook.com/groups/mail.tob/10153486755186790/?notif_t=like¬if_id=1464603754686075
মূলত যা বলতে চাচ্ছিঃ মাইট্টা আলু বা মাটি আলুর বেশ কয়েকটি প্রজাতি আছে। এগুলোর পুষ্টিগুণ নিয়ে পুষ্টিবিদদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। পত্র-পত্রিকায় লেখা আসা উচিত। এটার জন্য তেমন আলাদা স্থানের প্রয়োজন নেই। কোথাও গর্ত করে বর্ষার আগমণের আগে আগে বীজ রোপন করলেই হলো। অতপরঃ কয়েকদিন বা কিছুদিন পরে বাশের টুনি বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে কোন গাছে উঠিয়ে দিতে হয়। মাঝে মধ্যে একটু খেয়াল রাখতে হবে যে, ঠিকমত অবলম্বন ধরতে পারল কিনা, প্রয়োজনে নতুন অবলম্বন [যেমনঃ বাশ বা গাছের ডালপালা] স্থাপন করা ইত্যাদি [অবশ্য মাচাতেও দেয়া যায়]। বর্ষার শেষে লতাগুলো মারা গেলে লতা থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। কয়েক মাস পরে আবার গ্রীষ্মের শেষে ২/৪ পশলা বৃষ্টি শেষে মরা গাছটি থেকে আবার লতা গজাবে এবং অবলম্বনে আরোহণ করবে। তবে এই ২য় বছরের বর্ষা শেষে গর্ত করে আলু উত্তোলন করতে হবে, অন্যথায় ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। তার মানে ২০১৬ এর এপ্রিল-মে’তে রোপন করে ২০১৭ এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে উত্তোলন। যত ভালো পরিবেশ পাবে [উর্বর মাটি, আলো] তত ভালো ফলন। ভালো পরিবেশ না হলেও মোটামুটি কিছু হবে। ঢাকাবাসীরা অট্টালিকার ছাদে বড় টবে আবাদ করতে পারেন। অতি সামাণ্য শ্রম, স্থান ও খরচে যা পাওয়া যায় সেটাইতো বিরাট লাভ।
মাটি আলুর মত আরো কিছু উদ্ভিদ আছে যেগুলো তেমন কোন যত্ন ছাড়াই সুন্দরভাবে বাড়তে পারে এবং ফল দিতে পারে। বর্তমানে নানা প্রকার কীটনাশকের ব্যাবহারে মৌমাছি এবং উদ্ভিদ পরাগায়নে ভূমিকা পালনকারী পতঙ্গের সংখ্যা বিপজ্জনক হারে কমে গেছে। এসব উদ্ভিদ চাষ করলে এসব উপকারী পোকামাকড়ের বেচে থাকার সুযোগও বাড়বে। যেমনঃ সারা দেশে রাস্তার পাশের বড় গাছগুলোতে ধুন্দল, মধুকোষ ইত্যাদি উঠিয়ে দেয়া যায় এবং নিজেদের ব্যাবহারের পরে রপ্তানির সম্ভাবনা সৃষ্টি করা যায়।
মাইট্টা আলু বা মাটি আলুকে জনপ্রিয় করতে পারলে তা বিরাট সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আর এর উল্লেখযোগ্য পুষ্টিগুণ আবিষ্কৃত হলে রপ্তানির সম্ভাবনাও সৃষ্টি করা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
ফুল, ফল ও কাঠের সমন্বিত ব্যাবহারঃ যারা বাগান চর্চা করেন তারা প্রধানতঃ কাঠের দিকেই বেশী নজর দেন, বিপুল বিক্রয়মূল্য পাবার উদ্দেশ্যে। এদের মধ্যে রেইন্ট্রি গাছটি জমির উর্বরতা নষ্ট করে চরমভাবে। এতে করে বহু পরিচিত ফুল ও ফল হারিয়ে যেতে চলছে। এটা পুরুদ্ধার করতে হবে। এবং বৃক্ষ রোপন কিংবা বাগান চর্চাকে সৌন্দর্য চর্চা, পুষ্টি সাধন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি-এই তিনটি উদ্দেশ্যকে সমন্বয় করে ব্যাবহার করতে হবে। এই দিকটিতেও বিশেষজ্ঞদের উচিত তৃণমূলকে পরামর্শ দেয়া।
ফুল, ফল ও কাঠের ব্যাপারেও ধানের মত আদি জাত, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত, হাইব্রিড ইত্যাদি বিষয়ে সিরিজ প্রবন্ধ দরকার এবং কোন জাতটির কতটুকু গুরুত্ব, উপযুক্ত এলাকা, বীজের নিরাপত্তা ইত্যাদি ইত্যাদি।
বায়োলজির শিক্ষার্থীদেরকে যুগান্তকারি ভূমিকা পালন করতে হবেঃ
আমি বলতে চাচ্ছিনা যে, বায়োলজির লোকদেরকে দুনিয়ার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রামে গিয়ে কৃষিকাজ করতে হবে, আর সেটা করলে বরং তাদের আরো অনেক অবদান থেকে জাতি বঞ্চিত হবে। মূলতঃ তাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। গ্রামের সাথে পরিকল্পিত সম্পর্ক রাখতে হবে এবং জনগণের টাকায় লেখাপড়া করে যেই জ্ঞান হাসিল করেছেন তার একটা FEEDBACK জাতিকে দিতে হবে। আর এই FEEDBACK এর সর্বাধিক উপযুক্ত স্থান হলো গ্রাম।
উদ্ভট কৌলিণ্যবাদ পরিহার করতে হবেঃ
বারাক ওবামার মেয়ে বিদ্যালয় ছুটির সময়ে রেস্টুরেন্টে কাজ করলে সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারিনা। কিন্তু খারাপটা গ্রহণ করি সহজে। যেমনঃ ইদানিং নাকি পাশ্চাত্যে খাদ্য কৌলিণ্য বেড়ে গেছে। ফলমূল একই মাপের না হলে কিংবা একটু দাগটাগ থাকলে নিতে চায়না। এভাবে নাকি ওখানে বিপুল পরিমাণ ফলমূল নষ্ট হয়, এর পরিণতি হলো মূল্য বৃদ্ধি। কিন্তু লোকজন এতেও রাজী।
যাই হোক, বায়োলজির শিক্ষার্থীদেরকে যুগান্তকারি ভূমিকা পালনের জন্যও এইসব অদ্ভুত কৌলিণ্য মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। আর সকলের জন্য যেটা করণীয়।
বিশেষ করে শহরেও বাড়িঘরের আশেপাশে কিংবা ব্যালকনিতে স্থান থাকে, সেখানে উপযুক্ত গাছ রোপন করতে হবে। হ্যা, অনেকেই এর চর্চা করেন, কিন্তু সেটা উল্লেখযোগ্য নয় বোধ হয়। আর কিরূপ স্থানে কি উপযোগী এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের উচিত পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করা উচিত।
আমার বাড়ির আশে পাশে একটি উদ্ভিদ ময়লা-আবর্জনা কিংবা পরজীবী লতা-পাতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে মারা যাচ্ছে। সেখানে ১০ মিনিট সময় দিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালালে আমার শিক্ষা সনদে দাগ পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে-এই ভ্রান্ত বোধ থেকে শিক্ষিতদের মগজ পরিষ্কার করতে হবে। মোট কথা, “জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ” রক্ষা এবং “খাদ্য ও বীজ নিরাপত্তার” পুরো কাজটিকে সরকারের দায়িত্বে ছেড়ে না দিয়ে তৃণমূলে পৌছে দিতে হবে।
বিত্তশালীদের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি অবহেলা পরিহার করতে হবেঃ
আমাদের প্রধানত: শহরের বিত্তশালীরা এটা করেন। তাদের মালিকানাধীন জমি পতিত থাকে। আবার তাদের বাগানের উতপাদন বাগানেই পচে যায়। এটার কারণ তাদের নাকি এগুলো লাগেনা। হ্যা, লাগেনা ভালো কথা, কিন্তু জাতীয় সম্পদ হিসেবে ব্যাবহার করতে কিংবা অন্যকে ব্যাবহার করতে দিতে অসুবিধা কি?
ফাস্টফুড বাণিজ্যের প্রতিকারঃ
এটাও জনগণকে করতে হবে। আমি আমার ছোট বোন বা ভাতিজিকে ১০ টাকা দিয়ে ২৫ গ্রাম আলুর চিপস খাওয়াই কেন??? ঘরে তৈরী করতে সমস্যা কী? আর আজকাল তো নানা প্রকার কাটাকুটির যন্ত্র বের হয়েছে। আগের ১০ মিনিটের কাজ ১ মিনিটে হয়ে যায়। তাহলে ঘরে কেটে শুকিয়েইতো আরো বেশী স্বাদের চিপস বানানো যায়। ফাস্ট ফুড কোম্পানির জন্য আমাদের এত দরদ কেন?
জলজ চাষ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রঃ
হ্যা, এ ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে। কিছু কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে লিফলেট ও পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে জনসচেতনতা কম। পত্রিকার প্রিন্ট প্রকাশনা অনেক ক্ষেত্রে বই-পুস্তক বা গ্রন্থের চাইতে জনসচেতনতা তৈরীতে বেশী কার্যকর। তাই দৈনিক পত্রিকাসমূহের এসব বিষয়ের জন্য গুরুত্বসহকারে আলাদা বিভাগ পরিচালনা করা উচিত।

নিম্নোক্ত উপাদানটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকগণ খোজ খবর নিয়ে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশণা দিতে পারেন।
M21 [21st Century Microorganisms]:
এটি উদ্ভিদ ও মাছের জন্য প্রয়োগকৃত এক প্রকার তরল উপাদান যা একই সাথে খাদ্য ও ঔষধ। এতে আছে উদ্ভিদ ও মাছের জন্য প্রয়োজনীয় উপকারী ও জীবীত মাইক্রোব্যাকটিরিয়া। এটা নিদৃষ্ট কোন রোগের ঔষধ নয়, কিন্তু গাছের শুরু থেকে প্রয়োগ করলে অনেক রোগ এমনিতেই হবেনা।
কোন কোন সমস্যার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ কাজ দেয়, যেমনঃ পাতা ঝরে পড়া, মাটিবাহিত ক্ষতিকর ছত্রাক ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ইত্যাদি।
এটি কৃষি অঞ্চলের টক্সিক অবস্থা প্রতিরোধ করবে।
M21 ব্যাবহার করলে রাসায়নিক সারের ব্যাবহার ৫০% কমে যাবে।
M21 ফসলের উতপাদন ও স্বাদ বৃদ্ধি করবে।
ঔষধটি বাইরের, সম্ভবতঃ দক্ষিণ কোরিয়ার, বাংলাদেশে সরবরাহ অফিসের ই-মেইল ও মোবাইল।
[email protected]
01720-207563, 01937-998734, 01673-002845
ওনাদের দাবির ব্যাপারে চুড়ান্ত কিছু বলা না গেলেও এতটুকু বলা যায় যে, যেহেতু এই ঔষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে হাত ব্যাবহার, হাতে লাগলে সাবান দিয়ে ধোয়া, চোখে লাগলে সতর্কতা ইত্যাদি কোন নির্দেশনা নেই এবং এর কোন বিরক্তিকর দুর্গন্ধও নেই, তাই আশা করা যায় যে, ওনাদের দাবিগুলি মোটামুটি ঠিক থাকবে।
তৃণমূলে পর্যটন সংস্কৃতিঃ
সংস্কৃতি বলতে প্রধানতঃ গান-বাজনা, চারুকলা, গদ্য-পদ্য, নাটক-মুভি ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। আর পর্যটন মানে এমন ব্যাবস্থাপনাকে বোঝানো হয়, যাতে কোন ঐতিহাসিক বা নান্দনিক স্থানে দেশ বিদেশ থেকে ভ্রমণকারীরা সুন্দর ভ্রমণ সম্পন্ন করতে পারেন। এটা দুই টাইপের হয়, মেগা এবং মিনি পর্যটন। পর্যটনের ধারনাকে আরো প্রশস্ত করতে হবে। পর্যটন মানে নিছক বিনোদন কিংবা বাউন্ডুলে ছেলেমেয়েদের হৈ-হুল্লোর নয়। পুরো দেশকেই নান্দনিক করতে হবে এবং এই তৃণমূল পর্যটন হবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। যেমনঃ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো, মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহ, জনাকীর্ণ স্থান, খাল পাড়, পুকুর পাড়, এমনকি বসতবাড়ী ইত্যাদি। এই তৃণমূল পর্যটন একদিকে মানুষের সুরুচি বর্ধন করবে অন্যদিকে জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। আমাদের গৌরবময় কাঠালচাপা, জহুরিচাপা, শেফালী, পলাশ, ছাতিম, শাপলা, বকুল, আতা, শরীফা, বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ এবং প্রাণিকূলকে রক্ষার জন্য এরূপ তৃণমূল সচেতনতার বিকল্প নেই।
মেগা এবং মিনি পর্যটনকে বিনামূল্যে পরিচালনা করা সম্ভব নয়, অর্থাৎ আগমণকারীদের থেকে ফি নিতে হবে, নইলে চালানো যাবেনা কিংবা দুঃসাধ্য হবে। কিন্তু ব্যাক্তিগত, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং সন্নিহিত এলাকাগুলোকেও পর্যটন এরিয়ার মত বা কাছাকাছি মানের করে গড়ে তোলা সম্ভব এবং এখানে মানুষ বিনামূল্যে আনন্দ ও শিক্ষা লাভ করতে সক্ষম হবে। আমি আগেই বলেছি যে, দেশের হর্তাকর্তাদের এসব ব্যাপারে ধান্ধা নেই, কাজটা জনগণকেই করতে হবে।
মিনি পর্যটনঃ
মেগা পর্যটন এরিয়াতে দেশ-বিদেশের নানা স্থান থেকে পর্যটক আসেন। কিন্তু অনেকেই সময়ের অভাবে কিংবা অর্থের অপ্রতুলতার কারণে বেশী দূরে যেতে পারেন না। তাদের জন্যই মিনি পর্যটন। সারা দেশে স্থানীয় পর্যায়ে এর প্রচলন আরো বাড়ানো উচিত। আর এগুলোর সামগ্রিক সজ্জা এবং ব্যাবহারবিধি এমন হওয়া উচিত যে, পর্যটন শুধু অবকাশ যাপনের জন্য হবেনা, এটা হবে উন্নত শিক্ষাকেন্দ্র। ৩টি উদাহরণঃ
বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোরে একটি শাহী পার্ক নির্মিত হচ্ছে, “শাহী ৯৯ জর্দা” কোম্পানীর পক্ষ থেকে, দারূণ উদ্যোগ। এমনিভাবে এক সময়ে শাপলার রাজধানী হিসেবে বিখ্যাত আগৈলঝাড়া-উজিরপুর-কোটালিপাড়ার মোহনায় সাতলাতেও এরূপ উন্নত ইকোপার্ক গড়ে তোলা যায়। ওখানে পূর্ব ও পশ্চিম সাতলার মাঝে ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে নাকি ওই পথ দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা স্থাপিত হবে। সব মিলিয়ে একটি উপযুক্ত স্থান বোধ হয়।
এছাড়া বরিশালের দুর্গাসাগর একটি অনন্য মিনি পর্যটন স্থান হতে পারে, কিন্তু সমস্যা হলো এটার মালিক সরকার। আর কথায় বলে, “সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল”, অথবা “সরকারি ভান্ডার, দেখার কেউ নেই”।
যাই হোক, দেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলো বাড়াতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে হবে। কারণ আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে বাস করি, তাহলে আমার বাড়ি কিংবা আমাদের এলাকা বা পাড়াটি সারা দুনিয়ার জন্য মডেল হতে পারবেনা কেন???

এক গবেষকের প্রতিবেদন
(কালেক্ট এম এম মুসা)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×