আজকে যিনি সংখ্যালঘু এক/দুইশ বছর পর তিনিই হলেন সংখ্যাগুরু । আমেরিকাতে রেড ইন্ডিয়ানদের কোন অস্তিত্ব আছে ? অথচ তারা সেখানকার মুল অরিজিন । সেখানে সাদা মানুষদের দখলে চলল শত শত বছর আর আগামী পঞ্চাশ বছর পর শুনবেন সব জায়গায়ই কালো দাশদের রাজত্ব । অথচ এই কালোদের ধরে এনে দাশ হিসেবে রাখা হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী । এভাবে উত্থান পতনের ইতিহাস লিখলে শেষ করা জাবেনা । রোহিঙ্গা নিয়ে যদি বলা হয় তারা রাখাইনের উদ্বাস্তুু তা হলে বাংলাদেশের বৌদ্ধ, চাকমা, মারমা. রাখাইন তাদের কে কি বলেবেন ?? এই সম্প্রদায় গুলোর অরিজিন সব চীনে । চীনেই এদের আদি বাস । আমাদের উপমহাদেশে দস্যুৃ গীরি করতে করতেই এখানে এদের রাজত্ব চলে প্রজন্মর পরে প্রজন্ম । মিয়ানমারের রাখাইনের সংখাগুরুরা আমাদের বাংলাদেশে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এখনো তাদের রাখাইন পল্লী হিসেবে সংখ্যালঘু হিসেবে থাকে । িএদেশের নাগরীক হিসেবেই । কই আমরা কখনো বলেছি তোমরা তোমাদের আসল রাখাইনে চলে যাও ।
মায়ানমারের মত যদি রোহিঙ্গাদের যে আচরণ করা হচ্ছে এভাবে যদি অরিজিন হিসেব করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয় যার যেখানে শক্তি আছে তা হলে কি হবে পৃথিবী ব্যাপি কেউ কি ভেবেছেন ??
খুব সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন অভিবাসি তারানোর খায়েশ করলেন দেখা গেল তার ঘরের বৌ এবং সে নিজেও তার তিন/চার পুরুষ আগে অন্য কোন দেশের অরিজিন ।
তা হলে কেন আমরা এভাবে হানাহানি করছি ? এর কি কোন দিন শেষ হবে ?
পৃথিবীটা এক সময় একটা দেশই ছিল । আমরাই সেখানে আবাদ করেছি । সুন্দর করেছে আলাদা করেছি । জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে নতুন নতুন জনপদের খোজে আলাদা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছি দেশ থেকে দেশান্তরে এর পর আবহাওয়া আর জলবায়ুর প্রভাবে আমরা কেউ সাদা কালো বেটে লম্বা নাক বোচা চোখ ছোট হয়ে নানান জাতী আর ধর্মে ভাগ হয়েছি । মুলত আমরা এক মায়ের সন্তান । তাহলে এই বিদ্ধেষ কেন ?? কেন এত হানাহানি ?? এত রক্ত ...............................???
(সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮