somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোমার এবং ট্রয়ের অস্তিত্ব

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হোমারের রচনা থেকে প-িতরা অনুমান করেন, রাজকাহিনী সংবলিত ইলিয়াদ ও ওদিসি রচয়িতা হলেও হোমার খুব সম্ভ্রান্ত ঘরে জন্মগ্রহণ করেননি। কারণ দেবদেবী এবং রাজাদের পাশাপাশি তিনি ধীবর, নিঃসঙ্গ, বিধবা এবং কৃষকদের যে ছবি এঁকেছেন তাতে মনে হয়, শেষোক্ত শ্রেণীগুলোর সঙ্গেই তার যোগাযোগ ছিল আত্মিক। ঐতিহাসিক হেরোডোটাস উল্লেখ করেছেন, হোমার শেষ জীবনে অন্ধ হয়ে মারা যান।
আহমেদ ফিরোজ

খ্রিস্টপূর্ব নবম শতকের মাঝামাঝি সময়ে এশিয়া মাইনরের মধ্যপশ্চিম অঞ্চলের আয়োনিয়ায় মহাকবি হোমারের জন্ম হয়েছিল বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন। কেউ কেউ স্মার্না, আর্গোস, কালোফোন, সাইপ্রাসের সালামিস রোডস, চিওস, এথেন্স প্রভৃতি স্থানকেও হোমারের জন্মভূমি বলে দাবি করেন। আবার অনেকের মতে, হোমার নামে আদৌ কোনো কবি ছিলেন কি না, কিংবা হোমার নামে সে যুগে মোট ক’জন কবি ছিলেন এ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ আছে। গবেষকদের মতে, প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে ‘হোমার’ (ঐড়সবৎ, প্রকৃত নাম হোমেরোস-ঐড়সবৎড়ং) নামে একজন মহাকবি ছিলেন, যিনি ‘ইলিয়াদ’ ও ‘ওদিসি’ নামে দুটি মহাকাব্যকে প্রাথমিকভাবে সন্নিবেশিত করেছিলেন। ইলিয়াদ ও ওদিসির মাধ্যমেই গ্রিক তথা ইউরোপীয় সাহিত্যের সূত্রপাত ঘটে বলে হোমারকে ইউরোপীয় সাহিত্যেরও আদি কবি বলা হয়।

ইলিয়াদ-ওদিসি : ট্রয় অভিযান সম্বন্ধীয় সব কাহিনী একত্রিত করে ‘ইলিয়াদ’ ও ‘ওদিসি’ রচিত হয়েছিল। ট্রয় বা ইলিওন বা ইলিয়াম শহরটি এশিয়া মাইনরের উপকূলে অবস্থিত ছিল। উঁচু টিলার ওপরে নির্মিত এই নগরের চতুর্দিকে প্রস্তর প্রাচীরের বেষ্টনী একে দুর্ভেদ্য করে রেখেছিল। বিভিন্ন গ্রিক উপজাতি স্ব-স্ব রাজ্যাধিপতির নেতৃত্বে এই নগর আক্রমণ করার উদ্দেশে অভিযান শুরু করে। গ্রিকরা সমুদ্রতীরের ওপর তাদের কাষ্ঠনির্মিত জাহাজ টেনে নিয়ে গিয়ে শিবির স্থাপন করে ১০ বছর ধরে ট্রয় অবরোধ করে রাখে। ইলিওন বা ইলিয়াম শহরের নামানুসারে কাব্যের নামকরণ করা হয়েছিল ‘ইলিয়াদ’। ইলিয়াদ মহাকাব্যে ট্রয় যুদ্ধের দশম বছরের শেষ একান্ন দিনের ঘটনা অবলম্ব^নে কাহিনী নির্মিত হয়েছে। একিলিসের ক্রোধ থেকে কাহিনীর শুরু এবং হেক্টর বধে কাহিনীর সমাপ্তি।

ইলিয়াদ মহাকাব্য চব্বিশটি অধ্যায়ে বিভক্ত এবং প্রায় ষোল হাজার হেক্সামিটারসম্পন্ন। ট্রয় রাজকুমার প্যারিস কর্তৃক মেনেলাউস পতœী সুন্দরী হেলেন অপহরণ এবং গ্রিক বাহিনী কর্তৃক হেলেন উদ্ধারের জন্য ট্রয় অভিযান হলো ইলিয়াদের কাহিনীর ভিত্তি।

বিখ্যাত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্যারিসের বিচারক হওয়া, হেরা ও অ্যাথিনিকে বাদ দিয়ে আফ্রোদিতির হাতে বিজয়সূচক স্বর্ণ আপেল প্রদান এবং পরে আফ্রোদিতির সহায়তায় প্যারিসের হেলেন অপহরণ- ইত্যাদি কাহিনী মূল ইলিয়াদে নেই। এছাড়া হেলেনের ব্যর্থ পানিপ্রার্থীরা কর্তৃক হেলেনের বিপদে এগিয়ে আসার প্রতিজ্ঞা গ্রহণের কাহিনীও ইলিয়াদের অংশ নয়। এসব কাহিনী পরবর্তী সময়ের লেখকদের মাধ্যমে লৌকিক জনশ্রুতির সঙ্গে সমন্বিত হয়েছে। হোমারে হেলেন অপহরণই হচ্ছে ট্রয়যুদ্ধের মূল কারণ এবং এই কাজ প্যারিস সম্পন্ন করেছিল আপন প্রবৃত্তির তাড়নায়, দেবতাদের কারসাজিতে নয়। আগামেনন কন্যা ইফিজিনিয়াকে বলি দেয়ার কাহিনীও হোমার উল্লেখ করেননি। প্রাচীন গ্রিসের পেশাদার গায়ক রাপসোদাইরা বিভিন্ন জনপদে বীরগাঁথা গেয়ে বেড়াতো। এদেরই দ্বারা হোমারের রচনা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এদের মাধ্যমেই ইলিয়াদের মূল কাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য শাখা কাহিনী যুক্ত হয়ে যায়।

অপরদিকে ‘ওদিসি’ মহাকাব্য ইলিয়াদের পরিশিষ্ট, ট্রয়য়ুদ্ধ শেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে পোসাইডনের চক্রান্তে দল ছাড়া বীর ওদিসিউসের কাহিনী। ওদিসি মহাকাব্যেও চব্বিশটি অধ্যায় বিভক্ত এবং প্রায় এগারো হাজার লাইনের মধ্যে সমাপ্ত। ওদিসির কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে : ট্রয়যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে নিরুদ্দিষ্ট ইথাকার সম্রাট ওদিসিউসের পতœী পেনিলোপি একদল পানিপ্রার্থীর দ্বারা সর্বদা বিব্রত এবং এই অসহনীয় পরিবেশ সহ্য করতে না পেরে তার পুত্র টেলেমেকাস পিতার সন্ধানে সমুদ্রযাত্রা করেছে। কিন্তু দেবী অ্যাথিনির কৃপায় সে জানতে পারে, তার মাতার পানিপ্রার্থীরা তাকে হত্যার চক্রান্ত করেছে। সে লুকিয়ে স্বদেশে ফিরে আসে এবং পিতার বিশ্বস্ত বন্ধু ইউমেউসের ঘরে আশ্রয় নেয়।

এদিকে ক্যালিপ্সো নামে পরীর দেশে ওদিসিউস দেবতা পোসাইডনের কোপে আবদ্ধ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দেবতা হার্মিসের চেষ্টায় সেখান থেকে উদ্ধার পান। কিন্তু পোসাইডনের চক্রান্তে পথে তার জাহাজডুবি হয় এবং অর্ধমৃত অবস্থায় আলসিনাসের রাজ্যে উপস্থিত হন। দেবী অ্যাথিনির কৃপায় তিনি সেখানকার রাজারানির অনুকম্পা লাভে সমর্থ হন। সেই সন্ধ্যায় রাজপ্রাসাদের ভোজসভায় যখন ট্রয়যুদ্ধের গান গাওয়া হচ্ছিল, তখন ওদিসিউসকে নিঃশব্দে ক্রন্দনরত দেখে রাজা তার প্রকৃত পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। ওদিসিউস আপন পরিচয় প্রদান করেন এবং রাজার অনুরোধে তার অ্যাডভেঞ্চারগুলোর বর্ণনা দেন। কীভাবে সিসেনাসে দস্যুদের হাতে তার বাহাত্তরজন সঙ্গী মারা যায়, কীভাবে তারা পদ্মভূকদের দ্বীপে উপস্থিত হন, সেখান থেকে কীভাবে সাইক্লোপসদের দ্বীপে হাজির হন এবং একচক্ষু পলিফেমাসকে কিভাবে অন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে আসতে সমর্থ হন, কীভাবে কুহকিনী সার্সির দ্বীপ থেকে হোউসে প্রেতের রাজ্যে উপস্থিত হন, কীভাবে তিনি ক্যালিপ্সোর কবলে পড়েন, এইরকম অজস্র কাহিনী ওদিসিউস একের পর এক বলে যান। এখান থেকে বিদায় নিয়ে নানা বিপদ অতিক্রম করে শেষপর্যন্ত ওদিসিউস তার স্বদেশ ইথাকায় প্রত্যাবর্তন করেন (ইথাকা দ্বীপটি গ্রিসের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত) এবং ইউমেউসের ঘরে পুত্র টেলেমেকাসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটে। পানিপ্রার্থীদের হাত থেকে পেনিলোপিকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে পিতা-পুত্র পরামর্শ চলে। এর পরের ঘটনা : পেনিলোপির সঙ্গে তার ভিক্ষুকবেশে সাক্ষাৎ, পানিপ্রার্থীদের হাতে তার অপমান, পেনিলোপি প্রদত্ত জ্যা রোপণে তাদের ব্যর্থতা এবং ভিক্ষুকবেশী ওদিসিউসের সাফল্য, পানিপ্রার্থীদের সঙ্গে তার যুদ্ধ এবং তার হাতে তাদের পরাজয় ও মৃত্যু। অবশেষে ওদিসিউস পেনিলোপির মিলন।

হোমারের রচনা থেকে প-িতরা অনুমান করেন, রাজকাহিনী সংবলিত ইলিয়াদ ও ওদিসি রচয়িতা হলেও হোমার খুব সম্ভ্রান্ত ঘরে জন্মগ্রহণ করেননি। কারণ দেবদেবী এবং রাজাদের পাশাপাশি তিনি ধীবর, নিঃসঙ্গ, বিধবা এবং কৃষকদের যে ছবি এঁকেছেন তাতে মনে হয়, শেষোক্ত শ্রেণীগুলোর সঙ্গেই তার যোগাযোগ ছিল আত্মিক। ঐতিহাসিক হেরোডোটাস উল্লেখ করেছেন, হোমার শেষ জীবনে অন্ধ হয়ে মারা যান।
তাছাড়া প্রাচীন গ্রিসে হোমার নামে যে একজন কবি ছিলেন এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু হোমার যে অন্ধ ছিলেন এ সম্পর্কে বিশেষ কোনো তথ্য-প্রমাণ যাওয়া যায়নি। ভ্যাটিক্যান শহরের মেলাডেলা মিউজিয়ামে রক্ষিত খ্রিস্টপূর্ব চারশত পঞ্চাশ শতাব্দীতে গ্রিকদের আঁকা হোমারের একটি প্রতিকৃতির সন্ধান পাওয়া যায়।

‘ইলিয়াদ’ এবং ‘ওদিসি’ মহাকাব্যে হোমার প্রাচীন গ্রিকযুগের শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক বিচিত্র রূপ উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে, ইলিয়াদ হচ্ছে বীরত্ব ও বৈবাহিক কাহিনীনির্ভর। অপরদিকে, ওদিসি হলো অসম্ভব কল্পনাপ্রসূত কাহিনী। এতে প্রতিফলিত হয়েছে রোমান সম্রাটদের রাজত্বকালে প্রাচীন মানবগোষ্ঠীর শিক্ষা এবং খ্রিস্টীয় ধর্ম প্রসারের চিত্র।
ট্রয় নগরীর অস্তিত্ব : হোমারের মহাকাব্যে কল্পকাহিনীর পরিমাণ এতো বেশি ছিল, বিশেষজ্ঞরা বহুকাল ধরে ভেবেছেন কাব্যে বর্ণিত ঘটনাবলী সবই কল্পিত। এমনকি অনেকেরই ধারণা ট্রয় নামে কোনো নগরীর অস্তিত্বই ছিল না। কিন্তু হোমারের মহাকাব্যে বর্ণিত ট্রয় নগরী যে পৃথিবীতে ছিল এ নিয়ে এখন আর বিতর্ক নেই। বর্তমানে তুরস্কের উপকূলবর্তী নগরী ছিল হেলেনখ্যাত ট্রয় সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র, এ ব্যাপারে প্রতœতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদরা একমত। এক নারীকে কেন্দ্র করে যুদ্ধে লিপ্ত ট্রয়বাসীরা নিজেরাই নিজেদের সভ্যতাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে।

এই ধ্বংসপ্রাপ্ত হারানো সভ্যতাকে খুঁজে বের করে একজন জার্মান ব্যবসায়ী ও সৌখিন প্রতœতত্ত্ববিদ হেনরিক স্লাইম্যান। আধুনিক তুরস্কে তিনি ট্রয়ের অবস্থান চিহ্নিত করেন আজ থেকে প্রায় একশত ত্রিশ বছর আগে এবং সেখানকার ভূ-স্তর খনন করে তিনি প্রচুর সংখ্যক স্বর্ণালঙ্কার, কাপ এবং শিল্পমূর্তি সংগ্রহ করেন। তিনি এসব সংগ্রহ লুভর ও বৃটিশ জাদুঘরে বিক্রির প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু কেউ এগুলো গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় তিনি যাবতীয় শিল্পসামগ্রী জার্মানিকে দিয়ে দেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে রাশিয়ান রেড আর্মিরা বার্লিন থেকে ট্রয়ের শিল্প-নিদর্শনগুলো লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় এবং পঞ্চাশ বছর ধরে মানুষের দৃষ্টির বাইরে লুকিয়ে রাখে। নব্বই দশকের শেষের দিকে মস্কো এগুলো প্রদর্শনের উদ্যোগ নেয়। আর তখনই এসব জনপ্রিয় ফ্যাশনবস্তু মালিকানা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। চার হাজার বছরের পুরনো সম্পদের মালিকানা উভয় দেশই দাবি করে।

অপরদিকে এতে প্রমাণিত হয়েছে, ট্রয় নগরী এককালে বিদ্যমান ছিল এবং তাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ সালের কাছাকাছি কোনো এক সময়ে গ্রিকরা ট্রয় অভিযান করেছিল। কবি কল্পনা ছেড়ে দিলেও বহুকিছু সম্পর্কে যথার্থ তথ্য আমরা এ দু’টি মহাকাব্য থেকে জানতে পারি, যেমন প্রাচীন গ্রিকদের দৈনন্দিন কর্মজীবন, তাদের ঘরবাড়ি, শ্রম-হাতিয়ার, অস্ত্রশস্ত্র ও সামাজিক লোকাচার। গ্রিসের ইতিহাসে হোমারীয় মহাকাব্যদ্বয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে এবং সে কারণে খ্রিস্টপূর্ব ১১শ-৯ম শতককে হোমারীয় যুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইলিয়াদ ও ওদিসি ছাড়াও হোমারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো স্তোত্রমালা। স্তোত্রমালায় মোট চৌত্রিশটি স্তোত্র রয়েছে। অ্যাপোলো, হার্মিস, ডায়ানিয়াস, আফ্রোদিতি, দিমিতির প্রমুখ দেবদেবীর উদ্দেশে এই স্তোত্রগুলো রচিত হয়েছে। অনেকে অবশ্য মনে করেন, এই স্তোত্রমালা আদৌ হোমারের রচনা নয়। এগুলোর রচয়িতা হলো রাপসোদাইরা। তারা ইলিয়াদ ও ওদিসির কাহিনী বর্ণনার আগে দেবস্তুতি হিসেবে স্তোত্রমালা পাঠ করতো।

স্তোত্রমালা ছাড়াও ‘এপিগ্রাসাতা’ নামে আরো ষোলটি ছোট-বড় কবিতা হোমারের রচনা হিসেবে পরিচিত। হোমারের নামে চললেও এগুলোকে অনেকেই তার রচনা বলে মানতে চান না।

প্রাচীন গ্রিসে হোমার জাতীয় কবির মর্যাদা পেয়েছিলেন। প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল উভয়েই তাদের রচনায় বারবার হোমারের কাব্যরীতির উল্লেখ করেছেন। ঐতিহাসিক প্লিনি ও হেরোডোটাস তৎকালে হোমারকে নিয়ে অনেক গবেষণাও করেছিলেন।

তবে হোমারের জীবন এবং বাস্তবতা সম্পর্কে খুব একটা বেশি জানা যায়নি। তারপরেও প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার সঙ্গে হোমারের নামটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিশেষ করে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রাচীন প্রমাণ হচ্ছে, আয়োনিয়া দ্বীপের চিওস অঞ্চলে বসবাসকারী হোমারের বংশধররা। যারা সাধারণভাবে ‘হোমারিডি’ নামে পরিচিত ছিল। ইতিহাসবিদদের বিভিন্ন তথ্যের আলোকে জানা যায়, হোমার সর্বকালের একজন সেরা সাহিত্যিক ছিলেন। কবি আর্কিলোকাস, আরকম্যান টাইরিটিয়াস, ক্যালিনাস এবং ষষ্ঠ শতাব্দীর কবি সাপ্পোর-ও ছন্দ ও লয়ের প্রয়োজনে হোমারের শব্দ চয়ন এবং মাত্রাকে অনুসরণ করেছেন। হোমারের কবিতায় পৃথিবী সম্পর্কে ধারণা, নিকটবর্তী ও দূরবর্তী অঞ্চল সম্পর্কে জ্ঞান, সূর্য ও তারকারাজিবিষয়ক জ্ঞান, বায়ু সঞ্চালন পদ্ধতি, দিকনির্ণয় এবং জাতি ও আদি জাতি লোকদের সম্পর্কে বিবরণ পাওয়া যায়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×