somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদর্শিক দ্বন্দ্ব

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্বই পৃথিবীর ইতিহাস। কোথাও দ্বন্দ্ব থাকলে তার পেছনে থাকা দরকার একটি আদর্শ। দুর্বলকে শক্তি দেওয়ার জন্যই দরকার আদর্শ। আদর্শ বা স্ট্যান্ডার্ড একটি ধারণা যা অধিকতর শুদ্ধতা ও মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে নৈতিক, সামাজিক, আত্মিক, মহাজাগতিক, লৌকিক এবং পারলৌকিক ধারণাগুলো যেসব মানদণ্ডে নির্ণিত হয় অতীতে সেভাবে হতো না। তার প্রধাণ কারণ হলো, তখন পৃথিবীর আন্তর্জাতিকরণ হয়নি। পৃথিবীর মানুষগুলো ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। তাছাড়া এক অঞ্চলের সাথে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগও সহজসাধ্য ছিল না। তখন গোত্রে গোত্রে হানাহানি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিদ্ধস্ত হয়ে পড়া, অনির্দিষ্ট আইন কাঠামো ইত্যাদি দ্বারা আদর্শকে উপেক্ষা করা হতো। তাছাড়া রাজতন্ত্র তার ডানাসমূহ প্রসারিত করে কোন বাঁধা ছাড়াই দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে সক্ষম ছিল। বর্ণবৈষম্য, নারীর প্রতি অবমাননা, চাকর-বাকরদের প্রতি চূড়ান্ত শোষণ ইত্যাদির প্রচলন ছিল। খুন-ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, অরাজকতা, নেশা দ্রব্যের ব্যবহার, যাদুবিদ্যার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ এসবও ছিল সাধারণ ব্যাপার। এর পাশাপাশি সমাজে বিদ্যমান ছিল নানারকম কুসংস্কার। মানুষ ছিল হিংস্র পশুর মতো। বর্তমানে এসবকিছু নেই, তা নয়; তবে তার মাত্রা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

সংগত কারণেই মানুষ তার জীবন যাপনকে সহজসাধ্য করার জন্য আবিষ্কার করে বিভিন্ন উপকরণ। কিন্তু তা শুধু কতিপয় সম্পদশালী মানুষের কল্যাণের জন্যই। এ ক্ষেত্রে বাস্তুজগতের অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদের কথা খুব কমই বিবেচনায় এনেছে। এসব আজ নৃবিজ্ঞানের পাঠের বিষয়। নৃতাত্ত্বিক গবেষণার ফলে আমরা আজ জানতে পারছি মানুষের উৎপত্তি, বিবর্তন, উৎসব, রীতি-নীতি সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য। মানুষের খাদ্যাভ্যাস, রোগ-শোক, ব্যর্থতা, হতাশা, শিল্পবোধ, দর্শন, বাণিজ্য, ধর্ম, অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডল এবং বিজ্ঞানের সমূহ অগ্রযাত্রা আজ আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। এক সময় আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল যুদ্ধ-বিগ্রহ কেন্দ্রীক ইতিহাস এবং যুদ্ধ পরবর্তী সামাজিক বাস্তবতা। যুদ্ধে যারা জয় লাভ করতো তাদের গুণ কীর্তন করে তখন রচিত হতো সাহিত্য। পরাজিতদের হতে হতো বিজয়ীদের চাকর-বাকর কিংবা মৃত্যুদণ্ড বা কারাদণ্ডে দণ্ডিত। তাদের নিয়ে রচিত হতো নানা মিথ্যা কথা এবং কুৎসা। এসবই আজকের ইতিহাসের পাঠ্য বিষয়।

বর্তমানে বিভিন্ন আলোচনা, পর্যালোচনা, গবেষণা, সঙ্গীত, গল্প বা কাহিনীর ভার্চুয়াল রূপ দেওয়া হচ্ছে নাটক, সিনেমা, শর্ট ফিল্ম, বিজ্ঞাপন, ভিডিও কনটেন্ট ইত্যাদি মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তির সাহায্যে। এ সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য কিন্তু আদর্শ কেন্দ্রীক একটি আশ্রয় খোঁজা, যার ছায়াতলে গিয়ে মানুষ একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে। সেই আগের মত আজও সমাজের মানুষ নিরাপত্তা, আভিজাত্য, প্রেম, ভালোবাসার চর্চা করতে ইচ্ছুক। আমরা আরও ইচ্ছুক শত্রুর প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ পোষণ পূর্বক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে, জীবনকে অর্থপূর্ণ করতে। পাশাপাশি প্রতিশোধ গ্রহণ করতেও আমরা আগ্রহী সেই পুরাতন কালের মতোই। বলাই বাহুল্য, প্রতিশোধপরায়ণতার চরম পরাকাষ্ঠা আমাদের এই মানবাত্মা। আমরা জন্মগতভাবেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে থাকি। জীবনের সকল অবস্থাতেই আমরা জয়ী হতে চাই। বিজয়ী বেশে আমরা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতে চাই দম্ভ ভরে। এই দম্ভই হলো আমাদের বাঁচার আনন্দ, বাঁচার খুশি। বিনিদ্র রাত কাটাই আমরা এই খুশিকে আবিষ্কার করার জন্য।

বিজ্ঞান বলে, খুশি বা আনন্দ হলো ডোপামিন হরমনের নিঃসরণ। আজ আমরা এই ডোপামিনের ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছি। এছাড়া বিভিন্ন বিনোদনের ভিড়েও যৌন লালসাকে আমাদের রাজকীয় আনন্দের কেন্দ্র বিন্দুতে রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি; যাকে কেন্দ্র করে আমরা এই মহাজগতে চক্রাকারে ঘুরতে ইচ্ছুক। বর্তমান যুগেও নর-নারীর প্রেমকে জাস্টিফাই করার জন্য আমরা নানা বৈধ ও অবৈধ পথ ও মতের সৃষ্টি করেছি। বায়োলজি বলে, পৃথিবীর বেশিভাগ প্রাণীর যৌন আকাঙ্খা আবহাওয়া নির্ভর। নির্দিষ্ট আবহাওয়া ছাড়া তাদের মধ্যে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না। কিন্তু মানুষের মধ্যে মস্তিষ্কের উন্নত গঠন প্রণালীর কারণে সে বিভিন্ন আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরণের যৌন স্বাদ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এই যে বিভিন্ন বোধের সমগ্রতাকে ধারণ করার প্রচেষ্টা, জীবনকে অর্থবহ করার অদম্য বাসনা, অসীমের প্রতি ব্যাকুল আকর্ষণ-এসবই কিন্তু মানুষের আদর্শ ও মূল্যবোধের আসল উৎস। মানুষ তার আদর্শ কেন্দ্রীক অবস্থানের কারণেই বারবার ফিরে গেছে ভাষার কাছে, ছন্দ ও ভালোবাসার কাছে।

কিন্তু মানুষকে কি বারবার পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি? সে কি ভয়ে জড়সড় হয়নি? শূন্যতার ভয়ে সে ভীত হয়েছে। বারবার সে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সভ্যতাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে সে বাঁধিয়ে দিয়েছে যুদ্ধ-বিগ্রহ; ঘটিয়েছে রক্তপাত। যদিও যুদ্ধ এক সময় শেষ হয়েছে। তবুও থেমে যায়নি তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া-মিথষ্ক্রিয়া।

নিজের অহমকে ঠাণ্ডা করার জন্যই মানুষকে করতে হয়েছে দর্শনচর্চা। দর্শনচর্চা করতে গিয়ে মানুষের তারুণ্য থমকে দাঁড়িয়েছে তার নিজের বিবেকের আদালতে। নিজেকে বিচার করতে গিয়ে সে হতাশ হয়েছে, বিব্রত হয়েছে। জীবনকে অন্যের চোখে নয়, নিজের চোখে দেখতে গিয়ে সে বিমূঢ়তায় ডুবে গেছে। এটাই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সংকট বলে ধারণা করি। এ ধারণা আরো পাকাপোক্ত হয়, যখন দেখি পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। শত্রু পক্ষের কোন আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কি?

মানুষের বড় অংশ আজ ভুগছে উদ্বিগ্নতায় কিংবা বিষন্নতায়। সামাজিক সম্পর্কগুলো সমূলে উৎপাটন হবার উপক্রম হয়েছে। তথাকথিত মানবতা হচ্ছে ভূলণ্ঠিত। কোথায় জীবনের প্রকৃত শুরু আর কোথায় প্রকৃত শেষ তা নির্ধারণ করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। যুক্তির বেড়াজালে মুক্তি খোঁজার অদম্য বাসনায় আমরা বেঁকে বসছি প্রতিনিয়ত। বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে বিশ্বাসের মানদণ্ড। কেউ কাউকে পারছে না নির্দ্বিধায় ভালোবাসতে। মানুষ হয়েছে আবেগীয় দাস। এই আবেগীয় দাসত্বের স্বরূপটি কি আমরা বুঝতে পারছি? এই দাসত্বের কারণেই আমাদেরে ইন্দ্রিয়সমূহ বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই দাসত্বই আমাদের চামড়ার চোখকে প্রলুব্ধ করছে এ জগতের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়কে আবেগতাড়িত হয়ে ভালোবাসতে। কারণ বারবার ঐ ক্ষুদ্রতার সাথে প্রতিনিয়ত উঠাবসার কারণে আমরা দূর্বল হয়ে গেছি এবং তার প্রকৃত রূপকে অস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছি। মহাবিশ্বের সাপেক্ষে এই পৃথিবী ধূলিকণা পরিমাণ। কিন্তু বারবার এই মহাজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহের অধিবাসী হয়েও তার শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনায় আমরা ব্যাপৃত হয়েছি। কারণ আমাদের ধারণা হয়েছে যে, বড় জিনিসের আলোচনাই আমাদের বড় করবে এবং ছোট জিনিসের আলোচনাই আমাদের ছোট করবে। কাজেই আমার ধারণা বা বিশ্বাস, তা সে যত ছোটই হোক, তাকে বৃহৎ আকারে প্রদর্শন করতে হবে। যে মিথ্যা, অলীক ধারণা আমাদের মধ্যে আছে, তা দূর হওয়া আমাদের সাপেক্ষে মোটেই সহজ নয়। ক্ষেত্র বিশেষে তা অসম্ভই বটে। অথচ যাকে বৃহৎ ভাবা হচ্ছে তার থেকে অতি বৃহৎ বিষয়াবলী আমাদের চতুর্পার্শ্বে আবর্তিত হওয়ার পরেও আমাদের সাথে সেগুলোর প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পুরোপুরি বোধগম্য না হওয়ায় সেগুলো আমরা কেন ভাবছি না, সে কারণটি অনুসন্ধান করা মোটেও গুরুত্বহীন নয়।

পৃথিবীর বাইরে কোন প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা যদি আমরা অনুসন্ধান করতে চাই, তবে প্রথমত আমাদের ভাবতে হবে, সুনিশ্চিৎ বোধ থাকতে হবে যে, কেন আমরা তা অনুসন্ধান থাকতে চাই। সেটা আমাদের সত্যিই প্রয়োজন আছে কিনা বা থাকলেও তা আমাদের ভেতরকার বিদ্যমান সন্দেহকে কি দূর করতে পারবে? যে সন্দেহ থাকার কারণে আমাদের বড়-ছোট, সুন্দর-অসুন্দর, সত্য-অসত্য ইত্যাদির মধ্যে সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করতে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ি। যদি বিজ্ঞানকে আমরা এ ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাই, তাহলে মানতে হবে যে এই অস্ত্রেরও সীমাবদ্ধতা আছে। ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান। অন্য ভাবে বলা যায় বিজ্ঞান হলো প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে। তবে প্রাথমিক বিষয়টি হলো অনুমান। আনুমানিক তথ্য যদিও বিজ্ঞান গ্রহণ করে না তবে কোন ব্যাপারে তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করার পর তা যাচাই বাছাইয়ের আগে যে সিদ্ধন্ত আমাদের মন অজান্তেই গ্রহণ করে, তা অনুমান নির্ভর। প্রমাণ নির্ভর সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরেও বিপক্ষের তীর্যক মতামত ও সিদ্ধান্তের বাস্তুনিষ্ঠা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন থেকে যায়। সংশয়ে সংকল্প সদা টলায়মান থাকে! অনুমানের গুরুত্বকে আমি অস্বীকার করছি না। অনুমান ছাড়া যে কোন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলে কোন অর্থ থাকতে পারে না। কারণ সন্দেহজনক বিষয়কে সুনিশ্চিত ভাবে গ্রহণ করার জন্যই আমাদের চারপাশে জ্ঞানের মহাপ্রবাহ। তাছাড়া বিজ্ঞানের তত্ত্বও এক সময় কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হয়।

সন্দেহাতীতভাবে সুখী হবার প্রচেষ্টা অবশ্যই গ্রহণীয়। কিন্তু সুখের সঙ্গা এবং এর ব্যাপক বিশ্লেষণের পূর্বে আমাদের অর্জিত জ্ঞানের প্রেক্ষিতে একটি আনুমানিক সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া অত্যাবশ্যক। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তা আমাদের ভেতর সৃষ্টি হয়েই থাকে। আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই যদি একটি আনুমানিক সিদ্ধান্ত না নেই তবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে আমাদের লজিকাল মাইন্ড। আমাদের ন্যাচারাল ইনটিটি (প্রাকৃতিক অবস্থা) সন্দেহের বিষয়ে আনুমানিক ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। এ বিষয়ে পরম জ্ঞান আজও জীবিত মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই হলো আদর্শিক দ্বন্দ্বের একমাত্র কারণ। মঙ্গোলীয়ানদের কাছে সাদা হওয়াটা সৌন্দর্যের শর্ত নয়। কিন্তু ভারতীয়দের কাছে সাদা মানে সুন্দর এবং কালো মানে অসুন্দর। কেন এই পার্থক্য? এটা কি নিজস্ব দৃষ্ভিঙ্গীতে অন্যকে দেখার ফলেই হচ্ছে না? আদর্শিক মানদণ্ডে নিজেকে একক হিসেবে বিবেচনা করার প্রবণতা মানুষের চিরকালর।

ধর্ম কি আমাদের আদর্শ হতে পারে? কিংবা নাস্তিকতা কি কোন আদর্শ? কে জানে, আজকের ধার্মিক হয়তো কালকের নাস্তিক। কেন এমন হয়? মানুষ কেন তার বিশ্বাসে স্থির থাকতে পারে না? কেন তার মনে এত দ্বন্দ্ব? এর প্রধান কারণ জ্ঞানের অভাব না বরং আদর্শকে আমরা নৈব্যাক্তিক ভাবি বলেই, আমাদের মধ্যে সত্য আর মিথ্যাকে বিচার করার ধৈর্য্য থাকে না। ইতিহাস সব সময় সত্যই হবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কোন মানুষই মানুষের শত্রু নয়। যে আদর্শ শত্রুতা আর মানুষে মানুষে বিভেদের কথা বলে তার কোন স্থান নেই এই মহাজগতে। আজ হোক আর কাল হোক তা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঘ আর কুকুরের গল্প......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

বাঘ আর কুকুর দুটোই হিংস্র এবং সাহসী প্রাণী। বাঘ, কুকুর যতই হিস্র হোক মানুষের কাছে ওরা নেহায়েতই পোষ মেনে যায়। আমাদের সমাজে, রাজনীতিতে অনেক নেতাদের 'বাঘের বাচ্চা' বলে বিরাটত্ব জাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমরা উকিলরা কেউ চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াবো না , না এবং না

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২




সাবাস বাংলাদেশের উকিল । ...বাকিটুকু পড়ুন

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলা কাকতালীয় না কি পরিকল্পিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

গতকাল (২ ডিসেম্বর) ভোরে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভের পর ন্যাক্কারজনকভাবে আক্রমণ করে। বিভিন্ন তথ্যে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত যে বিক্ষোভকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের সাথে যুদ্ধ করে ভারত লাভবান হবে বলে মনে করি না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০



আমাদের দেশে অনেক মুসলিম থাকে আর ভারতে থাকে অনেক হিন্দু। ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধে মুসলিমদের সাফল্য হতাশা জনক নয়। সেজন্য মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশ সাড়ে সাতশত বছর শাসন করেছে।মুসলিমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূস গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড - শেখ হাসিনা।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬


৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলায়নের পর বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করা নতুন সরকার কে বিপদে ফেলতে একের পর এক রেকর্ড ফোন কল ফাঁস করতে থাকেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×