আমের মুকুলের মতো আমরা এখানে একসাথে জেগেছি
সুনির্দিষ্ট চাষাবাস আর বিশাল শস্য ক্ষেতের বিশালতায়
জেগে দেখি সবকিছু এখানে আছে-
নদী আছে, ঝরণা আছে, সুন্দরের বিরাট রাজত্ব
বেঘলপুরের কে যেন অচেনা নাম ধরে কাকে ডাকে
এখানে সবাই জীবনের ভক্ত
দ্যা লাস্ট সাপারের মতো শক্ত ছবি
মৃদুমন্দ বাতাসের দোল খাওয়া রক্ত সবাইকে বানায় কবি
যেন কোন মন্ত্রপূত ছবি আমাদের মস্তিষ্কের আঁধার ঢেকে দেয়
নিয়ে যায় পারস্যের রূপকথার জগতে
আমাদের মিত্রতায় দারিয়ুসের নির্ঘুম চোখ পেয়েছিল আশ্বাস,
আরেক পৃথিবীর পুনর্জন্মে।
আমরা জড়বাদী প্রেমে আসক্ত হয়ে ত্যাগ করিনি শোভা
আমাদের মন উন্মন হলে সূর্যের মত ছড়াই উজ্জ্বল প্রভা
আমরা জেনেছি, জীবন মানে অদৃশ্য এক অসহায় কুকুর
কুয়াশায় চোখ অস্পষ্ট হয়ে এলে আমরা ঘুমাতে জানি
অনেক কঠিন পথ: থেমে থাকেনা আমাদের চলাচল
হয় কোলাহল- কিছু স্মৃতির ডালপালা
নেমে আসে মাটির কাছাকাছি
যেন পর্বতের পেছনে পর্বতের ছুটে চলা
উন্মেষ ঘটে এখানে প্রতিদিন নতুন প্রেম
আমাদের ভালোবাসার দান এখানে
একটু একটু করে জমে; আমাদের এগিয়ে চলা পথে
আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলি এক ছায়াঘেরা নগরী
যেখানে উচ্চারণ হয়না কোন অসত্য
হয়না অযথা সময় ক্ষেপণ
এখানকার সাগরে ডোবে না তরী
কর্মহীনতা থেকে পাওয়া যায় ছুটি
এখানে সহমর্মিতারর চাষাবাদ হয়
মাঝে মাঝে হয়তো কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে যায়
খুব অচেনা মনে হয় তখন নিজেকে
সবার কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করতে ইচ্ছে হয়
কিন্তু আমরাতো একই পথ ও মতে হেঁটে চলা মানুষ
পিঁপড়ার ঝাঁকের মতো ছুটে চলি একটি গন্তব্যের দিকে
আমাদের চেতনার রঙে পান্না লাল, আকাশ নীল
আমরা পৃথিবীতে খঁজে ফিরি নতুন প্রশ্ন আর উত্তর
হয়তো বিবেকের দংশনে আমরা ত্যাগ করি সামান্য
অথচ তা সামান্য নয়, জানে ওই অগ্রপথিকেরা
বিশ্বাসে, উল্লাসে বিজয়ীর বেশে
আমরা এগিয়ে চলছি স্বাধীন পৃথিবীর স্বাদ নিতে-
যেখানে নেই পেছনে ফিরে তাকানো,
কিংবা নেই কোন লয়-ক্ষয়-পরাজয়
এ যেন এক পৃথিবীর ভেতর আরেক পৃথিবী
আছে দাবী, প্রত্যাশা, সহভাগিতা আর
নিরন্তর ছুটে চলা তত দূর- যতদূর চোখ যায়নি!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৮