
হে পুরুষজাতি, নারীর অন্তরে ডুব দিতে চাও?
তাহলে ঝাঁপ দাও ঘুমের অপার্থিব সাগরে,
যেখানে তাঁর অবচেতন সুরে সাঁতরে আসে মায়া—
তুমি চোখ বন্ধ করে, ছুঁতে পারো তার নিঃশ্বাসের কোমলতা,
সে যে বাস্তব চাঁদের নীচে নিঃসঙ্গ, নিভৃত একটি ছায়া মাত্র।
দেখবে গভীর প্রথম যৌবন—নারীর অপরাহ্নের এক অদ্ভুত রূপকথা,
যেখানে সে নিজেও ভুলে যায় নিজের নাম;
তুমি সেখানে থেমে যাও, নিঃশব্দে হাত বাড়াও,
ঘুমের নীরব সমুদ্রে তার অন্তরের ঢেউয়ের মাঝে
তোমায় খুঁজে নেবে। স্বপ্নেরা একাকার হয়ে যায়,
বেদনাও মুছে যায়, তবুও তোমার হৃদয়ের দর্পণে ফুটে ওঠে
এক অস্পষ্ট চাঁদের আলোকচিত্র। শোনো, শুনতে শুনতে
তোমার হৃদয় শূন্য হয়ে ওঠে, আত্মার গভীরে,
যেখানে বাস্তব ও বিদায় ঢেকে যায় অন্তিম আবরণে।
তুমি আর সে—পাখির মতো উড়ে যাও মেঘের নীলিমায়
ছড়িয়ে দিতে সুরের জাল, বঁধুর চোখে ফিরিয়ে আন
শিশুবেলার ভুলে যাওয়া গান। একসাথে হয়ে যাও
মৃত্যু ও জীবনের সেতুবন্ধন, স্বপ্নে না থাকে কোন কিছুর দোহাই,
না থাকে নিষ্প্রাণ পরীক্ষা নীরিক্ষা।
হে কৃষক, হে সাধারণ মানব-সাধক,
ঘুমের ভেলায় চলো, সেখানে মাটির কবিতা তৈরি হয়,
যেখানে শব্দ গলে যায় চিরন্তন সঙ্গীতের মতো।
এক নিঃশ্বাসে শতাব্দী ফিরে পায় তার হারানো নাম,
একটি দিনের মতো ক্ষুদ্র হয় মুহূর্তের মহাকাব্য।
মৃত্যু আর ঘুম—তোমার জীবন, তোমার নবজন্মের নৃত্য।
স্বপ্নের নদী ডাকে, আর তুমি সেই আহ্বানে সাড়া দাও,
ধীরে ধীরে, অবিরাম, অভ্যন্তরীণ নীলিমার পথে হাঁটো,
সেখানে জীবনের সব রূপ মেলে, নিঃশব্দ, অম্লান—
এই তো জীবনের অনন্ত, ঘুমের মাঝেই তুমি পাবে দেবতাদের সঙ্গ,
মুগ্ধ হবে, মুগ্ধ করবে,আর দেখা যাবে তোমাকে
প্রদীপের আলোয়, পবিত্র ও অবিনশ্বর।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


