
মাঝে মাঝে বসে থাকি নিজের গন্তব্য থেকে দূরে
চায়ের দোকানে—ভেজা বাতাসে ধোঁয়া ওঠে কাপে
কারও ঠোঁটে পান, কারও হাতে সস্তা সিগারেট।
একজন বিদেশগামী মানুষ
হাত নেড়ে বলছে ফ্লাইটের তারিখ,
অন্যজন রাজনীতির হিসেব কষছে
টাকার গন্ধে ভিজে যাওয়া তার কণ্ঠ।
দোকানের কোণে একটি আমলকি গাছের চারা—
হয়তো তেঁতুল গাছের ছদ্মবেশে দাঁড়িয়ে আছে
যেমন এই দেশ ভুল পরিচয়ে বেঁচে আছে
তবু বেঁচে তো আছে, তাইবা কম কিসে?
কিশোরটি ফেসবুকে রিল দেখে,
মাথার চুলে আধুনিকতা, কানে কাছে ন্যাড়া ভাব
তার ভবিষ্যৎ কি তেমনি ন্যাড়া হয়ে যাবে?
ভিক্ষুক মহিলার গলা ভেসে আসে
কেউ শুনে না, সবাই শুধু বলে- শোনার সময় নেই।
রাজনীতি ঢুকে পড়ে চায়ের কাপের ভিতরে,
বেকারত্বের আশঙ্কা ঝরে পড়ে সুপারি কাটার শব্দে।
কেউ বলে, লোনের টাকা শোধ হয় না—
শুধু স্বপ্ন আর কর্মহীন ভিড় বাড়ে।
হয়তো শীঘ্রই সিগারেট নিষিদ্ধ হবে কিনা
সে প্রশ্নে ওদের বুকে কম্পন জাগে!
বাইরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ভেজা রাস্তা,
মানুষ ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে—
চায়ের দোকান যেন এক ক্ষুদ্র সংসদ।
কোথাও শ্যাম রাখা যায় না, কোথাও কুল রাখা দায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


