somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তিন হরিণের এক টাকা: স্বাক্ষর বৈচিত্র!

০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা সবাই প্রায় ভুলতে বসেছি যে আমাদের দেশে এক সময় তিন হরিণের ছবি সংকলিত এক টাকার নোট ছিল। নোটগুলি এখন আর দেখাই যায়না, অথচ এই নোটগুলিই ১৯৭৯-১৯৯৩ পর্যন্ত মোট ১০ বার বাজারে ছাড়া হয়েছিলো।


আমরা অনেকেই জানি এক টাকা দুই টাকার নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর দেওয়া থাকে; যেখানে অন্যান্য নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের স্বাক্ষর থাকে।


তিন হরিণের এক টাকার নোটের স্বাক্ষর বৈচিত্র ও বাজারে ছাড়ার সময়কাল তুলে ধরছি


১। প্রথম এই এক টাকার নোট বাজারে আসে সেপ্টেম্বর ১৯৭৯, আর স্বাক্ষর ছিল সে সময়ের অর্থ সচিব আবুল খায়ের




২। এই নোট আবার মার্চ ১৯৮২ সালে বাজারে আসে সে সময়ের অর্থ সচিব গোলাম কিবরিয়ার স্বাক্ষরে




৩। তৃতীয়বার এই নোট বাজারে আসে জুন ১৯৮৩ সালে আর এতে স্বাক্ষর ছিল সে সময়ের অর্থ সচিব সাইদুজ্জামান এর





৪। চতুর্থ বারের মতো তিন হরিণের এক টাকার নোটা বাজারে ছাড়া হয় জানুয়ারি ১৯৮৫ সালে সে সময়ের অর্থ সচিব মুস্তাফিজুর রহমান এর স্বাক্ষরে




৫। ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এই নোটটি আবার বাজারে আসে গোলাম কিবরিয়া আবার অর্থ সচিব নিয়োজিত হলে


৬। ১৯৮৯ সালের মে মাসে আবার নোটটি বাজারে আসে তখন অর্থ সচিব ছিলেন এম কে আনোয়ার





৭। ১৯৯১ এর মার্চে তখনকার অর্থ সচিব খোরশেদ আলম এর স্বাক্ষরে আবার আসে, খোরশেদ আলম পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণরও হন তাই তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যার স্বাক্ষর বাংলাদেশের সব মূল্যমানের কাগজের নোটেই (তাঁর সময়ের) পাওয়া যায়।





৮। জানুয়ারি ১৯৯২ এ খোরশেদ আলম মূখ্য অর্থ সচিব নিয়োচজত হলে খোরশেদ আলম মূখ্য অর্থ সচিব এই স্বাক্ষরে আবার বাজারে নোটটি ছাড়া হয়।




৯। মে ০৮, ১৯৯৩ নাসিমউদ্দিন আহমেদ অর্থ সচিব নিয়োজিত হলে নাসিমউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত নোটটি বাজারে আসে। এরপর মে ৩০, ১৯৯৩ শেষ বারের মতো নাসিমউদ্দিন আহমদেরই স্বাক্ষরে আবার বাজারে ছাড়া হয় 'নিরাপত্তা সুতা' পরিবর্তন করে।





তথ্যসূত্র: পেপার মানি অব বাংলাদেশ, ছবি: লেখক।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালি নারীর কাছে

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

পরনে আজানুলম্বিত চিকন সুতোর শাড়ি, সবুজ জমিনের পরতে পরতে কবিতারা জড়িয়ে আছে বিশুদ্ধ মাদকতা নিয়ে, গোধূলির আলোয় হেঁটে যায় নিজ্‌ঝুম শস্যক্ষেতের ঘাসপাঁপড়ির আল ধরে, অতিধীর সুরের লয়ে, সুনিপুণ ছন্দে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসেন ইক্টু ঘুরাঘুরি করি.... :-B

লিখেছেন সোহানী, ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

এক কসাইয়ের লাশ আরেক কসাই কিভাবে কিমা বানাইলো কিংবা কত বিলিয়ন ট্যাকা টুকা লইয়া সাবেক আইজি সাব ভাগছে ওইগুলা নিয়া মাথা গরম কইরা কুনু লাভ নাইরে... আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে ভালো কিছু লিখতে না পারলে, আমি চুপটি করে বসে থাকি

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০২ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

হে শাইয়্যান, ভালো কিছু বলতে না পারলে চুপ থাকাই শ্রেয়। জিহবা'র অসঙ্গত ব্যবহার মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে। আধুনিক কালের জন্যে এমন করে কি বলা যায়- 'কি-বোর্ডে আঙ্গুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×