বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নবম ও দশম শ্রেণীর বাণিজ্যিক ভূগোলসহ বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে তরুণদের ভারতের সেবাদাসত্ব বরণ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ভূগোলের ৮৩ পৃষ্ঠায় একটি সৃজনশীল প্রশ্ন এ রকম : ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্খাপন না করে বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করায় কী কী সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে? বিশ্লেষণ করো।’ একই বইয়ের ৮৭ পৃষ্ঠায় বাংলাদেশের সড়কপথের অনগ্রসরতা দূর করতে পরামর্শ দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদেশী সাহায্য গ্রহণ।’ বইটির ৮৩ পৃষ্ঠায়ই সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ ও শক্তিসম্পদ বৃদ্ধিকল্পে বেশ কিছু বিকল্প পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। এর মধ্যে বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে ব্যাপকহারে শক্তিসম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।’ ৮৫ পৃষ্ঠায় বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্খা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৮৭ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, সড়কপথের উন্নয়নে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদনদীগুলো নাকি প্রতিবন্ধক। ভাগ্যিস, লেখা হয়নি যে, অবিলম্বে বাংলাদেশের সব নদনদীর উৎসগুলো বìধ করে দিলে সড়ক যোগাযোগব্যবস্খার উন্নয়ন সম্ভব।
এই বই যারা লিখেছেন কিংবা যারা লিখিয়েছেন, তারা একদিন নিশ্চয়ই এই সমাজের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে বিবেচিত হবেন। এবং তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্খা করতে হবে। পৃথিবীর সব দেশ যখন আত্মনির্ভরশীলতার জন্য নিজস্ব সম্পদ ও অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত, তখন তরুণ প্রজন্মকে ঋণগ্রহণের মাজেজা, উৎপাদন না করে আমদানি এমন শিক্ষা কোন দুশমন দিতে পারে? বিদেশ থেকে ঋণগ্রহণ একটি জাতির নিয়তিতে পরিণত করার শিক্ষা যারা দিতে চান, তাদের এখনই চিহ্নিত করে ধাওয়া করা দরকার। সরকার ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার যে ষড়যন্ত্র করছে, দেউলিয়া করে দেয়ার যে চক্রান্ত করছে, এই পাঠ্যপুস্তক তারই অংশ। জাতির বিবেক, সমাজের বিবেক, সুশীলসমাজ বলে যারা নিজেদের চিত্রিত করতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে আহ্বান, আসুন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের স্বার্থে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মমর্যাদায় বলিয়ান করার স্বার্থে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উচ্চকিত হই, সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
courtesy: ড রেজোয়ান সিদ্দিকী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



