মিষ্টার বিচারপতি(!) আপনি এত দয়া
না দেখালেও পারতেন। কি হত,
দিয়েই দিতেন ৫৪ দিনের রিমাণ্ড!!!
৮দিন ধরে রিমাণ্ড নামক নির্যাতনের
বেধিতে অত্যাচারিত হতে হতে চলন
শক্তি হারিয়ে দয়ালু পুলিশদের কাঁদে
ছড়ে এসেছে আপনার কাছে। পুলিশ
৫৪ দিন রিমাণ্ড চেয়েছে, কিন্তু মূমূর্ষ
লোকাটির প্রতি অকৃত্রিম দয়া
দেখিয়ে মাত্র ১৪ দিনের জন্য
জালিমের কব্জায় দিয়ে দিলেন!
আপনি মহান, আপনি অনন্য...(!)আসলে কি
জানেন, হেই বিচারপতি মহোদয়?
আপনি যখন এজলাসে বসে বসে ড.
মাসুদদের রিমাণ্ডে পাঠান, তখন
আপনার ছেলে কিংবা মেয়েগুলো
হয়তো কোন হোটেল বারে গিয়ে
হুক্কা টানছে কিংবা ইয়াবা সেবন
করছে।আপনি আরো যেনে খুশি হবেন,
কাল দেখলাম, একজন লেখেছেন তার
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক
ঔষধের জন্য
ডিসপেন্সারিতে গেলেন, তখন
দেখলেন তারই স্কুলের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া
একছাত্র একহাতে দোকানী টাকা
দিচ্ছে আর অন্য হাতে কন্ডমের প্যাকেট
নিচ্ছে। হে মহান বিচারপতি আপনি
জেনে আনন্দিত হবেন, এখন আর স্কুলের
বাচ্চাদের ব্যাগে কেবল
বই-ই থাকেনা, বইয়ের ভেতর অনেক
রঙ্গিন রঙ্গিন (নীল) সিডি ভিসিডি
থাকে।হ্যা, বিচারপ্রতি, আপনাদের
আনন্দিত হওয়ার কথা। কারন আপনারা
সফল হচ্ছেন।আপনারা যদি ডাক্তার
মাসুদদের আরো আগেই এভাবে
নিঃশেষ করে দিতেন তবে আপনারা
আপনাদের বাচ্চাদের নিয়ে
একসাথেই অনেক কিছু
করতে পারতেন। আপনাদের স্বপ্ন সফল হত।
আপনাদের সংস্কৃতিক বিপ্লব এতদিন
ধরে ব্যর্থ করে দিচ্ছে এই ড. মাসুদ আর
দেলোয়ার হোসেনের মত
বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সর্বোচ্চ
বিদ্যাপিঠের এসব মেধাবী
ছেলেগুলো।এরা যত দিন থাকবে,
ততদিন এরা তরুন সমাজকে ধ্বংসের হাত
থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা
চালিয়ে যাবে। তাই এদেরকে
বাঁচতে দেবেন না।
এরা বাঁচলে আপনারা লিভ
টুগেদারের মত মজা পাবেন না।
আপনাদের সহচর শিক্ষকরাও তাদের
ছাত্রীদের নম্বারের
বিনিময়ে সৌন্দর্যকে হাতিয়ে
নিতে পারবে না।তাই এদের আর
বাঁচতে দেবেননা।মেরে ফেলুন। ১৪
দিন কেন ৫৪ দিনও না,
মৃত্যু পর্যন্তই রিমান্ডে দেন।পরিশেষে
মি. বিচারপতি আপনাকে বলি,
পারলে আপনি আপনার এক সন্তানকে
একজন ড. মাসুদ
বানিয়ে দেখাননা আমাদের!
জানেনতো? এই ড. মাসুদ সারা
বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্রদের
মেধাবী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত
থেকে গোল্ড মেডেল নিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট ফার্স্ট
ক্লাস।
এমন একজন অধম্য মেধাবী মাত্র ১৪
দিনের রিমাণ্ড দিয়ে দয়া পরবশ হওয়ায়
আপনাকে স্বাগত।দেখা হবে
ইনশাল্লাহ, সেই আলিমুল গায়েব,
রাজাধিরাজ, বিচারকেদের বিচারক,
ন্যায় বিচারক মহান আল্লাহর দরবারে।
সেই দিন ডঃ মাসুদের সামনে আপনার
দাঁড়ানোর অপেক্ষায় থাকলাম.........
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩০