somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্টেফেন হকিং এর ঈশ্বর বিহীন মহাবিশ্ব

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলুন দেখি উনার ক্রুটি গুলো।{ এখানে আমি ওনার যুক্তির বিপক্ষের কারন উল্লেখ করছি} ১-তিনি বলেছেন
শুরুতে মহাবিশ্ব একটি কৃষ্ণগহ্বর ছিল যাতেই বিগ ব্যাং সংঘটিত হয়।
বিগ ব্যাং এর অর্থ হল অতি উচ্চ শক্তি আর ভরের মিশ্রণ বা একাগ্রতা। এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে একটি বস্তু অত্যন্ত একাগ্র হতে পারবে না যদি না তা সঙ্কুচিত হয়।
একটি বস্তুও সঙ্কুচিত হতে পারবে না ব্যাহিক বল ছাড়া।সুতরাং একটা কালো গহ্বর উপস্থিতি জন্য, একটি বাহ্যিক বল প্রয়োজন হয়। বৃহৎ পরিমাণ বস্তু সংকুচিত হতে সক্ষম একটি পরমাণুর কেন্দ্রস্থিত পিণ্ডীভূত অংশের ধনাত্মক আধানযুক্ত স্থানের মধ্যে।অর্থাৎ এটি অবশ্যই কার দ্বারা আবিষ্ট হয়েছে[ অর্থাৎ ঈশ্বরের দ্বারা]
তারপর আপনার দাবি যদি সৃষ্টির দিকে হয় তাহলে তা শূন্য শক্তির মাধ্যমে তা নিচে পড়ে যাবে। সর্ব পরে মাধ্যাকর্ষণ হল শক্তির একটি রূপ।
তারপর সঠিকভাবে সংকুচিতকারী বস্তুগুলো সমন্বিত থাকে কোন বাধা ছাড়াই। এমনকি কিছু পরমানুও এর থেকে অব্যাহতি নিতে হলেও অনেক দক্ষতা ও প্রযুক্তিবিদ্যার প্রয়োজন হবে ঐ পরমানুর জন্য।
তারপর যে কোন সময় নিশ্চল বলতে কখন এটা বুঝায় না কোন কারন ছাড়াই বিগ ব্যাং সংঘটিত হয়। অস্তিত্তের কোন যুক্তি নেই।কারন ছাড়া কোন কিছুই হয় না।বিজ্ঞান বিশ্বাস করে বিগ ব্যাং কোন কারন ছাড়াই সংঘটিত হয়েছে। কৃষ্ণ গহ্বরের অর্থ হল যার মধ্যে অনেক গুলো উপাদান থাকে।এর অর্থ দাড়ায় । সেখানে হয় শক্তি অথবা বস্তু আছে।
আবার একটি ঘুলঘুলি মৌলিক শব্দ হল” সৃষ্টি কিছুই থেকে আসে নেই”শক্তি আর ভরের উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একজন স্রষ্টা কে ইঙ্গিত করে।
”সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। তথাপি কাফেররা স্বীয় পালনকর্তার সাথে অন্যান্যকে সমতুল্য স্থির করে।”[সুরাহ -আন-আনামঃ১]
”কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?”[সুরাহ-আন-আম্বিয়াঃ৩০
২। তিনি স্বীকার করেছেন যে এই সৃষ্টি চালানোর জন্য শক্তি প্রয়োজন।তথাপি এই ক্রিয়াটি ও নাকি এসেছে শুন্য থেকে। তিনি বলেছেন এই শুন্য আবার দুই ভাগে ভাগ হয়েছে একটি পজিটিভ শক্তি আর অন্য টি নেগেটিভ শক্তি। তিনি এটি কে উদারনের মাধ্যমে এই ভাবে দেখিয়েছেন যে একজন মানুষ একটি পাহাড় বা শিলাকে প্রস্তুত করছে গর্ত করে পৃথিবীর মধ্যে।এখানে শিলার সাথে ট্রেঞ্চ বা পরিখা ও আছে।
একই ভাবে নাকি এই মহাবিশ্বে পজিটিভ আর নেগেটিভ শক্তিও আছে।
এই ট্রেঞ্চ উদাহরনে ডঃ। হকিং তার হিসাবে এইটা নিতে ভুলে গেছে যে মাটির বস্তুগুলো পৃথিবীর মধ্যে ছিল।মাটির উপিস্থিতির কারনেই শিলা গঠন হয়েছে। এই সমীকরণ টা এইভাবে না ………রক+ট্রেঞ্চ = শুন্য—-[১]
কিন্তু ….. পৃথিবীর ভিতরের মাটি= শিলার মধ্যে মাটি=রক+ট্রেঞ্চ——[২]
ধরুন এটা ছিল মোটে ১০০০ কেজি মাটি অতএব চলুন দেখি কোন সমীকরণটি সন্তুষ্ট জনক।
সমীকরণ ১ এ ভর ডু কিয়ে দিন।
১০০০ kg [rock]=০[trench]=০ kg [total].
wow কি সুন্দর ভুল সমীকরণ।
চলুন এইবার দ্বিতীয়টা টা যাচাই করি।
১০০০ kg[soil]=১০০০ kg[rock]+০kg[trench]
১০০০=১০০০
সমীকরণটি সঠিক। সব নাস্তিক রাই এই বড় ভুলটা করে
-তারপর ভর আর শক্তির পরিবর্তন তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী হয় না। যদি আপনি আপনার হাতের মধ্যে কিছু অবলোহিত আলো নিক্ষেপ করেন। আপনি হাত ভেঙ্গে যাবে না কিন্তু আপনি পোড়া বা দাহ্য ভোগ করবেন।কিন্তু আপনি যদি আপনার হাতে একটি পাথর নিক্ষেপ করেন ।আপনার হাত ভেঙ্গে যেতে পারে কিন্তু কোনরকম সংবেদন পোড়া অনুভব করবেন না। অতএব ভর এবং শক্তি কখন একত্রে প্রতিস্থাপন হতে পারে না।
ওই উদাহরণটি ছিল বেমানান।
-নেগেটিভ শক্তি অসম্ভব। নেগেটিভ শক্তি বলে কিছুই নেই। শক্তির যে কোন গঠন আমাদের কাছে নেগেটিভ ভাবে প্রদর্শিত হতে পারে আমরা এখন যেখানে বাস করছি এর রেফারেন্সের গঠনের কারনে।কিন্তু আসলে এটি ও পজিটিভ শক্তি। চলুন একটি সহজ উদাহরণ দেই। দুই জন প্রতিযোগী একটি দড়ি টানছে একটি প্রতিযগিতার মধ্যে। উভয়ই দড়িটা টানছে সমান বলে।যার ফল ছিল সমান শক্তি সরবরাহকৃত হয়েছে তাদের পেশী দ্বারা। এখানে আমরা বলতে পারি যে বলগুলো নেগেটিভ পরস্পর এর দিকে।বল হল ভেক্টরের হিসাব যার শক্তি অভিমুখী।এতএব যখন ওই বলটি বিপরীত অভিমুখী হয়, তারা পরস্পর নেগেটিভ হয়ে যাবে যেহেতু শক্তি হল েস্কলার রাশি । অর্থাৎ এই শক্তির কোন নেগেটিভ শক্তি হবে না শুধুমাত্র পজিটিভ হবে।
যদি দুই প্রতিযোগী তাদের বল প্রয়োগ করে একই বরাবর। তাদের পরিসমাপ্তি বল হতে হবে ডাবল শূনের পরিবর্তে আগের ঘটনার কারনে । পেশীর ভিতরে এখন পর্যন্ত ও শক্তি পজিটিভ থাকবে। অতএব এটি আবশ্যক হয়ে আসে যে নেগেটিভ শক্তি অসম্ভব। এটি পরিস্কার যে, শক্তির প্রয়োজন বিগ ব্যাং এর জন্য যা কখন শূন্য থেকে আসতে পারে না। একজন বহিরাগতের প্রয়োজন যিনি প্রাচুর্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করবে এইসব প্রসেসের জন্য। আর এই শক্তির সরবারাহ করেন এক মাত্র আল্লাহই
”আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।”[সুরাহ -আদ -যারিয়াতঃ৪৭]
৩-বিজ্ঞানিরা অনেক আগ থেকেই বিশ্বাস করে আসছে যে প্রকৃতির নিয়ম হল অলঙ্ঘনীয় এবং যা চিরকাল থাকবে। একটি বিশ্লেষণ আমাদের বলে কিভাবে তারা বুদ্ধিদীপ্তভাবে আমাদের মহাবিশ্ব মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে আছে ।এবং তারা মহাবিশ্ব থেকে প্রগতিশীল ভাবে অভিমুখী হয়ে সরে যাচ্ছে। তারা এতটাই জটিল যে এমনকি শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানিরা ও তাদের একটি অংশ মাত্র জ্ঞানে ধরতে পারে।
-এখন চলুন বিগ ব্যাং এর আগের কালে ফিরে যাই। তাদের মতে , তারা কেউই বুদ্ধি জীবী ছিল না। এই ভরের প্যাঁক এ কোন বুদ্ধিজিবিতা নেই। এটা গুরুতরভাবে অসমর্থ কূট আইন গঠনের দিকে ও মহাবিশ্বের নিয়মে।
।আমার কোন আইডিয়া নেই কিভাবে নিয়ম বানাতে হয় । আর নিয়ম{law} তাদের দ্বারা আসতে পারে না। তারা অবশ্যই পরিকল্পিত হয়েছে কোন ঘটনায় যাওয়ার জন্য। অবশ্যই একজন কৌশলী খুবই প্রয়োজন। এই কৌশলী হল আল্লাহ।
”তিনি হলেন যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে।”[আল- ফুরকান;২]
”সেখানে প্রত্যেকে যাচাই করে নিতে পারবে যা কিছু সে ইতিপূর্বে করেছিল এবং আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে যিনি তাদের প্রকৃত মালিক, আর তাদের কাছ থেকে দূরে যেতে থাকবে যারা মিথ্যা বলত”[সুরাহ-ইয়উনুসঃ৩০]
সবশেষে আমরা ঈশ্বর বিহীন মহাবিশ্বের তত্ত্ব মেনে নিতে পারি না কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধ অনুগামী হয়ে।আমি প্রোফেসর হকিংএর প্রতি সহানুভূতিশীল ।কিন্তু আমি এখানে অবশ্যই এই জিনিস টা প্রদর্শিত করবে ,যেখানে তিনি ভয়ানক উদাহরন দেন যখন তিনি দা গ্র্যান্ড ডিজাইন বই লিখেছেন।

৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×