সাধু ধ্যানে বসে আমাবস্যায়
আমি বসেছিলাম ভরা পূর্নিমায়,
যৌগাসনে মুদিনু নয়ন
ভেসে উঠে গত চন্দ্রের যৌবন।
পাশাপাশি তুমি আমি,
হাতের উপর হাত,
চন্দ্র তখন নিমিত এলো স্বর্নালী প্রভাত,
কত সময় কেটে গেলো,
তবু মনে হল কিছুক্ষণ
এবারের প্রথম ধ্যানেও আমার
হয়নি ব্যাতিক্রম।
ধ্যান টা হয়েছিলো ত্রুটি ছাড়া
এসেছিলে কল্পনায় বাস্তব হারা,
তবু ধ্যানে পেয়েছি আমি সুখ স্বর্গের ছোয়া
কাটিয়েছি সময় আপন করেছি মায়া।
যদি পূর্নিমা ছেড়ে,
তোমার হাত খানি স্পর্শ করি আমাবস্যার
রাতে,
জেনে রাখো বন্ধু, সাধু হবো
যাব সাধুসঙ্গে,
সন্যাসী এ জীবন করবো পার
তোমার হাত ছোয়ার ঢংগে।
আর যদি কভু আসো ফিরে
অর্ধচন্দ্রের মাসে,
অর্ধচন্দ্রাসন এ যোগী হবো
আহার নিদ্রা ছেড়েই দেবো
ব্রতচারী হবো তোর জীবনে।
আর যদি কোনো কালে,
না আসিস ফিরে
ধংসাত্মক হবো আমি
শীতলক্ষ্যার তীরে।
জলে জ্বলবে আগুন,
ডাঙ্গায় বাচবে মাছ
বন গুলো সব মরুভূমি হবে
চাতকিনী অন্ধ হয়ে যাবে তবু মেঘ হবেনা আর.
হয়তো কল্পনায় আমি করবো ছাড়খার।
যদি ফিরে আসিস কোনো সাধারণ দিনে,
তোকে দেবী বানাবো আমি,
পূজা করবে সকল প্রেমিক,
আফ্রোদিতি তুই
ছলনাময়ী বিভত্স শিকারি
আফ্রোদিতি তুই
আমার ভালোবাসার দেবী