ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আর লাখো মা বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত যে স্বাধীনতা তা আমরা একদিনে করায়ত্ব করিনি।অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবেই অর্জন করেছি এ স্বাধীনতা।যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে এই স্বাধীনতা, তার বাস্তবায়ন ঘটেছে সামান্যই তবে এজন্য দায়ী গুটিকয়েক নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল আর তার স্বার্থপর কিছু নেতা কর্মী।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে অনেকে ফায়দা লুটেছে বহুবার,কায়েম করতে চেয়েছে একদলীয় গনতন্ত্র তবে আশার কথা আমাদের জনগন সবসময়েই তাদের সেই প্রচেস্টাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।এখন কথা হলো স্বাধীনতার এতবছর পরেও আমরা কেন সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছি?এ ব্যর্থতার দায়ভাগ কি শুধু আমাদের একার, নাকি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কূট রাজনৈতিক চক্রান্তও এর জন্য কিছুটা দায়ী?মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা আমাদের সাহায্য করেছিল এবং তাতে যে তাদের স্বার্থ জড়িত ছিল তা বোধহয় আজ আর কারও অজানা নয়।মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানীরা আমাদের যে অপূরনীয় ক্ষতি করেছে তা অনস্বীকার্য এবং তাদের ও তাদের দোসর রাজাকারদের প্রতি আমাদের ঘৃনা বজায় থাকবে অনন্তকাল তবে এতোদিন পরে আজো আমরা শুধু তাদের বিষেদ্গারেই ব্যস্ত অপরদিকে ভারত আমাদের উপর সর্বপ্রকার আগ্রাসন চালানোর পরেও আমরা নিশ্চুপ।আসুন আমরা দেখি ভারত আমাদের কি কি ক্ষতি করছে
১।ভারসাম্যহীন বানিজ্য সম্পর্ক এবং আমাদের দেশে তাদের পন্যর একচেটিয়া বাজার সৃষ্টি।
২।গঙ্গার পানিবন্টন অসমনীতি ও ফারাক্কা বাধ নির্মান।
৩।ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের নামে আমাদের ভুখন্ড ব্যবহার।
৪।পুশইন ও পুশব্যাক অর্থাৎ ভারতে বসবাসরত তথাকথিত বাংলাদেশী(বাংলাভাষী)দের জোরপুর্বক বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রেরন।
৫।অবৈধভাবে দক্ষিন তালপট্টির মালিকানা দখল।
৬।ভারত কতৃক বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান।
৭।আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প।
৮।বি এস এফ কতৃক বাংলাদেশ ভূখন্ডে অনুপ্রবেশ ও নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যা।১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত বি এস এফ বাংলাদেশ ভূখন্ডে সশ্রস্ত্র আক্রমন করেছে কয়েকহাজার বার।
৯।ভারত কতৃক বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল প্রদর্শন এর উপর নিষেধাজ্ঞা।
১০।টিপাইমুখ বাধের নীল নকশা প্রনয়ন।
উপরোক্ত একটি ঘটনাও বাংলাদেশের দ্বারা সংঘঠিত হলে ভারত আমাদের আক্রমন করতে কালক্ষেপন করবে না অথচ আমাদের বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নিরব।তাই বিজয়ের এই দিনে আসুন আমরা আমাদের দেশ ও জাতির প্রকৃত শত্রু কে চিনে নেই ও তাদের তাবেদারদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৮