somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি প্রচেষ্টা এবং আমাদের ভালোবাসার উষ্ণতা - আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন শীতার্তদের জন্য

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলে এসেছে শীত। সবচেয়ে দুর্ভোগে আছেন রাস্তার ধারের ছিন্নমূল মানুষরা। আর উত্তরান্চলের দরিদ্র মানুষেরা। এমনকি রাজধানী ঢাকার উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তও এই শীতে কুঁকড়ে আছেন। তীব্র শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি কি আছে আমাদের?

শীত মানে শুধু গাছের সবুজপাতাগুলো শুকিয়ে ঝরে যাওয়া না, বা মাটি মারিয়ে ধূলোর উড়ে বেড়ানো না, শুধুই সকালে চাদর মুড়িয়ে আপনার বাইরে তাকানো না। শীত মানে আপনার পাশেই থাকা অনেক মানুষের আনন্দগুলো গাছের সবুজ পাতা শুকিয়ে ঝরে যাওয়ার মতো শুকিয়ে ঝরে যাওয়া। অনেকেই আছে আপনার পাশে বা আপনার এলাকাতেই থাকে, হয়তো সকালে অফিসে বা ভার্সিটিতে যাওয়ার পথেই দেখেন, কনকন করে কাপছে আপনার দাদুর বয়সী একজন লোক, বা আপনার ছোট ভাইয়ের মতো একটা বাচ্চা ছেলে। হয়তো আপনার খারাপ লাগে, ইচ্ছে করে যতটুকু পারেন নিজের উষ্ণতা একটু হলেও তাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে, হতো ইচ্ছে করে আপনার বাসায় থাকা পুরোনো চাদরটা নিয়ে এসে জড়িয়ে দিতে বা হাতে কিছু টাকা দিয়ে দিতে, যাতে শীতের কাপড় কিনতে পারে দুস্থ মানুষটা।

বিস্তারিত জানতে এই ফেসবুক ইভেন্টে যোগ দিতে পারেন

আপনার পাশের জানালা দিয়েই খুব সকালে উঠে একটু তাকালে, একদল মানুষ দেখবেন আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছে, শীত নিবারনের সাধ্যের চেষ্টা। হয়তো দেখবেন একটা বাচ্চা ছেলেই হাফ-প্যান্টে আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে সজোরে দুহাত ঘষছে, একটু করে আগুনের দিকে এগিয়ে দিয়ে আবার চটজলদি নিজের গালেই চেপে নিচ্ছে। শিশুটির বৃদ্ধ বাবাও হয়তো তার পাশে দাঁড়ানো বা বসে, একটা লুঙ্গি আর একটা পাতলা ছেড়া শার্ট কোনো মতো জড়িয়ে, শীতে কাপছে, আগুন থেকে একটু তাপ পোহাচ্ছে, যাকে শীত নিবারনের চেষ্টা বলে। শুধু পারছেনা অর্থাভাবে শীতের কাপড় কিনে গায়ে জড়িয়ে কাজে ছুটে যেতে। সকালে যখন অফিসের জন্য বাইরে বেড় হন, রিক্সার খোজ করেন, আপনাকে যে রিক্সাটা অফিসের পথে ছুটে নিয়ে যায়, হয়তো সেই রিকশাওয়ালাই দেখছেন শীতে কাতরাচ্ছে আর রিক্সা চালাচ্ছে, হয়তো তারও ইচ্ছা ২ দিন একটু ওভার-টাইম কাজ করে একটু বেশী টাকা রোজগার করে শীতের কাপড় কিনবে, হয়তো হয়ে আর উঠছে না। আপনার বাসার কাজের ছেলের কথাই ভাবুন, গ্রামে তার মা-বাবা, যাদের জন্যই সেই ছেলেটি আজ আপনার বাসায় কাজ করছে, তাদের শীতার্থ মুখটা একটু ভাবুন। সব কিছু বাদ দিয়ে হলেও একটু ভাবুন নিজের কথা, একটু নিজেকে অই শীতার্থদের মাঝে বসিয়ে ভাবুন, ইচ্ছে কি করছে না তাদের মুখ একটু হাসির কারন হতে? বা আপনার গায়ের মুরে থাকা চাদরটির উষ্ণতা তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিয়ে তাদের আনন্দের কারন হতে?



অনেকেই হয়তো আছেন, অনেক টাকাই এদিক-সেদিক নষ্ট করছেন, হয়তো ভাবনাটা তার পরে আসে,যদি একটু সাহায্য করতে পারতেন পাশে থাকা এই মানুষগুলোকে, যাদের জন্য আপনার লাইফ এখন এতোটা স্মুথ আর ফাস্ট, হয়তো অনেক বেশি ভালো লাগতো, মন থেকে। এবার আর ভাবনাতেই আটকে না থেকে কাজেই নেমে পরা যায়। :)

Social Media Parlour, Bangladesh'থেকে অর্গানাইজ করা হচ্ছে শীতবস্ত্র বিতরন কর্মসূচী- ২০১৫। আপনার ইচ্ছেটা এবার বাস্তবের পথেই, সাথে আমরাও থাকছি আপনাদের সাথে। আপনার দেয়া সাহায্যেই শীতার্থদের মুখে এবার হাসি ফুটবে, তাদের শীত এবার আপনার সাহায্যেই নিবারন হবে। :)


https://www.facebook.com/events/807187686060875

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×