somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মেংগো পিপোল
আজ কাল নিজেকে আমার অচেনা লাগে। চেনার জন্য নিজের চেহারায় হাত বোলাই। বোয়সের ছাপ পরা চেহারা জানান দেয়- সময় হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, একটু একটু করে।

হিমুর না ফিরে আসা।

২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছেলেটা তার মায়ের হাত ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, জোৎস্নার প্লাবনে ভেসে যাচ্ছে, চার পাশ, সে কাঁদতে কাঁদতে তার মায়ের কাছে জানতে চায়, মা বাবা আকাশের কোন তারাটা হয়েছেন?
মেয়ে টা তার ছেলের দিকে তাকিয়ে বলে, বাবারে মানুষ মরে গেলে আকাশের তারা হয়না।
ছেলেটা তার জামার হাতায় চোখ মুছতে মুছতে বলে, দাদু যে বললো, বাবা আকাশের তারা হয়ে গেছেন,
মেয়েটা আচলে চোখ মোছে আবেগ নিয়ে বলে, মানুষ মারা গেলে আল্লাহ পাকের কাছে যায়,
ছেলেটা আবারো জামার হাতায় চোখ মুছে জানতে চায়, আল্লাহ কোথায় থাকে?
ময়েটা বলেন, বাপধন আল্লাহ সবার উপরে থাকেন।
ছেলেটা বলে, আল্লাহ কে বলো না। বাবা কে ফিরিয়ে দিতে।
বাবা রে- তোর আব্বা না ফেরার দেশে গেছে।
বাবা কেনো ফিরবেনা,
ছেলেটা এবার আর চোখ মোছেনা সে জানতে চায়, আমার কি আর বাবার সাথে কখোন দেখা হবে না?
-হবে বাবা, আমরা সবাই মরে গেলে আবার দেখা হবে?
তাহলে আমাকে মেরে ফেলো মা, আমি বাবার কাছে যাবো।


উথাল পাথাল জোৎস্নায় মেয়েটি তার ছেলে কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থেকে, দুরে কোথাও একটা গান বাজে, "আজ জোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে, আজ বসন্তেরই মাতাল সমিরনে।"


হিমু দাড়িয়ে আছে ছাদের কার্নিসে, সামনে পুর্নীমার ধবল চাঁদ, আকাশ ভরা তারা, চাঁদনি প্রহর রাইত, এই রাতে তার বাবা মরে যেতে চেয়ে ছিলো। আজকে কি সেই চাঁদনী প্রহর রাইত এসেছে? সব কিছু ছেরে বনে চলে যাও কি যায়? এই উত্তর হিমু খুজে পায়নি, বাবাও ডাইরিতে কিছু লিখে যায়নি, হিমু তার হলুদ পান্জাবীর হাতায় চোখ মোছে, পাগল করা এই জোৎস্নায় বাবা কে খুব মনে পড়ে হিমুর, সে সেই অদ্ভুত মায়াবী আলোয় তার মাকে দেখতে পায়, তার মা এসে তার পাসে দ্বাড়ায় বলে, বাপ ধন তুই না তোর বাবার কাছে যেতে চেয়েছিলি, যাবি নারে বাপ ধন, বাবার কাছে। আয় আমার হাত ধর।

হিমু তার মায়ের হাত ধরতে সামনে কাতর হাত বাড়ায়, এর পর আর মাকে কোথাও দেখা যায়না, হিমু পরে যেতে থাকে ছাদের কার্নিস থেকে নিচে, সে চলে যেতে থাকে আবছা চাদের আলো ভেদ করে দুরের তারা টার দিকে, যেটাকে সে এত দিন ভেবে এসেছে বাবা বলে।


উৎসর্গঃ সেই মানুষ টাকে, যার লেখা পড়ে প্রথম জেনে ছিলাম আমার মধ্যে ও একজন হিমু আছে, মানে আত্যাও আছে। সেই হুমায়ন স্যারকে, আল্লাহ আপনাকে বেহেস্ত নসিব করুন,
স্যার এবারের বইমেলা থেকে আপনার নতুন হিমুর বইটা কিনতে পারবোনা, সারা বছর বসে থেকেছি বইমেলা দিয়ে আপনার হিমুর বইটা কেনার জন্য, এখন অনেক বড় হয়ে গেছি, ভালো চাকরী ও করি, তবুও মা প্রতি বছর ২১শে বই মেলার সময় আপনার নতুন হিমুর বইটা কেনার জন্য টাকা দেয়, কথা গুলো আপনি কোন দিনও হয়তো জানতে পারবেনা না, তবুও লিখে রাখলাম জেনো আমার পরের প্রজন্ম জানতে পারে, একজন ছিলো এই বাংলায় যার বই কেনার জন্য ইস্কুলের টিফিনের পয়াসা বাঁচিয়ে রেখেছিলো, তার পুর্ব পুরুষেরা।


স্যারের একটি লেখা পড়ার খুব ইচ্ছে ছিলো, দেয়াল বইটা আর পড়া হলোনা,
সে আমি এবং একটি কুকুর

ফেইস বুকে যারা আমার পেইজ দেখত চানঃ
View this link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×