সামনে ঈদ।ছোট বেলায় ঈদ মানেই ছিল ছোটাছুটি।ঈদ এর আগে জামা জুতা কেনা।সেগুলা লুকিয়ে রাখা।কেউ দেখে ফেললেই জামা পুরানো হয়ে যাবে এরকম একটা ব্যপার!আর ভুলবশত যদি সেটা কেউ দেখে ফেলে,তাহলে আর রক্ষে নেই!কেদেকেটে বাড়ী মাথায় তোলার জোগাড়।
মেহেদির টিউব,হাত ভর্তি চুড়ি,কপালের টিপ,ম্যাচিং কানের দুল আর গলার মালা,আর হাতে ছোট্ট একটা ব্যাগ এই ছিল শপিং লিস্ট এ।ঈদ এর ৭/৮ দিন আগে থেকেই আর ঘুম হতনা।বারবার সেগুলা নেড়েচেড়ে দেখতাম আর আয়নার সামনে ফ্যাশান শো!
এখনকার দিনগুলা কেমন যেন বিবর্ণ!সময়ের সাথে সাথে আগের সেই আবেগ নেই।এখন ড্রেস কিনতে হয় তাই কিনি।বাকিগুলাও কিনি হয়ত।কিন্তু ওই পর্যন্তই। ঈদ এর আগে ওগুলা আর ছুয়েও দেখা হয়না।
এইবার ঈদ এ নাকি পাখি ড্রেস এর ছড়াছড়ি!গতবার ছিল ঝিলিক।আমি সাধারণত এইসব ড্রেস কিনি না।কারণ ৫/৭ হাজার টাকা দিয়ে একটা ড্রেস কিনে তা যদি তুলে রাখতে হয় এক দুদিন পরেই,তা কিনে কি লাভ?ঈদ এর পর বিয়ে/পার্টি ছাড়া এসব ড্রেস নরমালি পরাও যায় না।আর এসব ফ্যাশান চেঞ্জ ও হয় খুব তারাতাড়ি।প্রয়োজন হলে তার আগে কেনাই ভাল।ওর থেকে ভার্সিটি বা অন্যকোথাও সবসময় পরা যায়,মার্জিত এমন কিছু কেনাই আমার পছন্দের তালিকায় থাকে।হয়ত বাজেট অনুযায়ী একটার জায়গায় দুইটা কিনি।
গতকদিন পাখি ড্রেস নিয়ে যে পরিমাণ নাটক দেখছি তা ভয়াবহ পর্যায়ের!তালাক,আত্মহত্য পর্যন্ত!
পাখি ড্রেস এর কারণে যদি প্রাণপাখি ই ঊড়ে যায় তাহলে লাভ টা হল কি?
বুদ্ধি,বিবেক সব ভুলে গিয়ে,সামান্য একটা ড্রেস এর কারণে যদি এমনটা ঘটে তা সত্যিই দুঃখজনক।
সবাই আপনজনের মাঝে আনন্দ নিয়ে ঈদ করাটাই কি আসল ঈদ নয়??
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৯