প্রতিনিয়তই আমরা নিজেরাই বুনতেছি ধর্ষনের বীজ , আজ আমরা সেই বীজের ফসল দেখে আতংকিত হচ্ছি কেন ?? এটা অনেকটা এমন যে পড়ালেখা না করে পরীহ্মার পরে নিজের ফেল নিয়ে আফসোসের মত ।আজ আমাদের সমাজে বেপর্দা থাকাটা একটা ফ্যাসনের মত হয়ে গেছে ।আজ আমরা এতটাই বেহায়াপনায় লিপ্ত যে , কোন ভাল আর কোনটা মন্দ তার পার্থক্য করতে পারতেছি না । যে সমাজের মা বাবারা নিজেদের সন্তানকে নাচ,গান আর সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করাকে গর্বের বিষয় মনে করে সেই সমাজের লোকদের ধর্ষনে আতংকিত হবার কোন অধিকার নেই ।আমাদের দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষগুলো নিজেদেরকে মুসলীম দাবী করে অথচ দুঃখজনক হলেও এটা চরম সত্য যে বেশীর ভাগ লোক জানেই না মুসলীম কাকে বলে এবং এটাও জানে না মুসলীম কোন দাবী করার বিষয় নয় ।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুস্পষ্ট নির্দেশ, (হে রাসূল (সাঃ) আপনি) ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে । সূরা নূর -৩১ ।অথচ আমাদের দেশের নারীদের বেশ ভূষা দেখলে অনেক সময় মনেই হয় না সে একজন নারী ।নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে সমাজের লোকেরা ঘৃনার চোখে না দেখে বরং আধুনিকতার নামে বৈধতা দিয়েছে ।ঘরের মধ্যে যদি একটা টেলিভিশন না থাকে তাহলে মান সম্মান টিকানো বড় দায় তাইতো বিনোদনের নামে এখন ঘরে ঘরে টেলিভিশন । ডিশ লাইন না থাকলে তো কোন মজাই নেই আর ঐ ডিশ লাইনে যদি স্টার জলসা, জি টিভি না আসে তাহলেতো পুরো টাকাটাই মনে হয় পানিতে গেল ।পত্রিকায় এমনও শিরোনাম দেখেছি, মা স্টার জলসা দেখতেছে এর মধ্যে ছেলে পানিতে পড়ে মারা গেছে । কি আজব দেশে বাস করতেছি যে টিভি চ্যানেলগুলো দেখে মানুষ মারা যাচ্ছে তা বন্ধ না করে একে একে সব ইসলামীক চ্যানেল বন্ধ করে দিল ।সম অধিকার নামে নারীদেরকে রাস্তায় নামিয়েছে কিছু লুচ্ছা আর বদমাইশরা ।আজ রাস্তা ঘাটে, হাটে বাজারে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ছেলে মেয়ের জুটি দেখা যায় না ।এটাকে নাকি প্রেম ভালবাসা বলে ।আপনি কি জানেন ভালবাসার মানে কি ?? ভালবাসা মানে আমি জানি এ রকম,
ভা = ভাল মন্দ না বুঝিয়া,
ল = লজ্জা শরমের মাথা খাইয়া,
বা = বাবা মার অবাধ্য হয়ে,
সা = সাগরে ঝাপ দেওয়া ।
আমাদের সমাজে যিনা করাটা খুব সহজ কিন্তু বিয়ে ……… আরে বাবা তাতেতো ছেলে ও মেয়ের পরিবারের লোকেরা একে অন্যের চৌদ্দগুষ্টি খবর নিয়ে ছাড়ে, নানান দাবী দাওয়াতো আছেই তাই এখন বিয়েটা অনেক কঠিন ।অথচ মুসলমানদের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল উল্টো ।এরপর দেখেন বর্তমান ধর্ষনের জন্য দায়ী মিডিয়াও, তারা সামান্য একটু খবরকে কি যে করে, করতে করতে এক সময় সত্য কি তাও বুঝা অসম্ভব হয়ে দাড়ায় ।আজ থেকে বিশ বছর আগে কোন দেবর যদি ভাবিকে নিয়ে পালাত তাহলে তা আশ পাশের দশ গ্রামের মানুষ জানত ঐসব পরিবারের সদস্যরা লজ্জায় কয়েক দিন মানুষের সামনে আসত না ,আর এখন ভাগিনা মামীকে বা মেয়ের জামাই শাশুড়ীকে নিয়ে গেলেও সমাজের মানুষগুলো একে গুরত্ব দেয় না এর কারন হচ্ছে মিডিয়ার ।আমরা ডিজিটাল হয়েছি সত্য তবে সব ডিজিটাল হয়েছি কু কর্মের মধ্যে , ডিজিটালের ছোয়া ভাল কিছুর মধ্যে লাগেনি । আজকে আমাদের দেশের জ্ঞানীরা ( অনেক হ্মেত্রে আল্লাহ থেকেও মনে হয় বেশী বুঝে ( নাউওযুবিল্লাহ) এমন ভাব নিয়ে ) মহিলাদের সুবিধার জন্য অসংখ্য আইন বানিয়ে কিন্তু এর সুবিধা আজ পর্যন্ত কোন নারী পেয়েছে বলে কোন খবর পাইনি ।ন্যায় বিচার না থাকার কারনেও ধর্ষনের হার দিন দিন বাড়ছে ।একেক ধর্ষনের খবর নিত্য নতুন ধর্ষনের খবরের মধ্যে চাপা পড়ে যাচ্ছে ।বর্তমানে পরকিয়া একটা ভাইরাসের মত হয়ে দাড়িয়েছে, যা একটা ভুলের কারনে অনেককেই হ্মতির মধ্যে পেলে দেয় ।এই পরকিয়ার প্রধান কারন হচ্ছে ইসলামের বিধানকে ডিঙ্গিয়ে অবাধ মিলামেশা এবং স্বামীর অবহেলা ।যদি ইসলামের হুকুম অনুযায়ী ধর্ষনের শাস্তি বিদ্যমান থাকত তাহলে খুব নিমিষেই দেশ থেকে ধর্ষন নামক হায়েনাটা বিলুপ্ত হবে ।অবাধ মেলামেশা, বেপর্দা, বিনোদনের নামে টেলিভিশন, নাচ গান আর সুন্দরী প্রিতিযোগীতা বন্ধ না করে শুধু মাত্র নাম মাত্র বিচার আর শাস্তি দিয়ে কশ্মীন কালেও ধর্ষ বন্ধ করা সম্ভব নয় । তাই আসুন আমরা আমাদের কাজ কর্মে, চিন্তা ধারায় মধ্যে আগের মত ভুল করে যেন ধর্ষনের বীজ বপন না করি বরং ঐসব বীজের মূল উৎপাটনের জন্য নিজে সচেতন হই এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করি । আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সত্য বুঝার মাধ্যমে তার আনুগত্য করার তাওফিক দান করেন । আমীন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৫