
আল্লাহর রহমতে জ্বুল-হিজ্জাহ মাসের প্রথম ১০ দিন সমাগত হয়েছে. এই দিন এতটাই পবিত্র যে আল্লাহ কুরআনে স্বয়ং এই দশ দিনের শপথ নিয়েছেন.
وَلَيَالٍ عَشْرٍ
সেই দশ দিনের শপথ... (সূরা আল-ফাজর ৮৯-২)
স্বয়ং আল্লাহর এই শপথ এই দিনের অপার মহিমা ও গুরুত্ব বহন করছে (১). ইবন আব্বাস রা থেকে বর্নিত, রাসূল সা বলেছেন – আল্লাহর দৃষ্টিতে কুরবানির এই দশ দিনে কৃত কোন ভাল কাজ ও এর পুরস্কার থেকে অধিক ভাল কোন কাজ বা পুরস্কার আর নেই.
একজন সাহাবী বললেন, এটা কি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার থেকেও উত্তম? রাসূল সা বললেন, এটা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা থেকেও উত্তম, শুধু সেই ক্ষেত্র ছাড়া যেখানে একজন মানুষ আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেকে এবং নিজের সম্পদকে জিহাদে উতসর্গ করে এবং সম্পূর্ন খালি হাতে ফিরে আসে. (২)
এটি আমাদের জন্য সওয়াব ও অনুগ্রহ লাভের একটি সুবর্ন সুযোগ. এটা আমাদের জন্য আল্লাহর সাথে থাকা পবিত্র সম্পর্ককে পুনর্উজ্জীবিত করার একটি সহজ সুযোগ. যেহেতু রাসূল সা যুল হিজ্জাহ এর এই দশ দিনকে অন্য সকল কর্মের থেকে উত্তম বলেছেন (৩) তাই মুস্তাহিদরা এটাকে রামাদানের থেকেও গুরুত্বপূর্ন বলে গন্য করেন (৪).
এই দশ দিনে কি কি উত্তম কাজ করতে পারি ও কিভাবে আমরা কাজে লাগাতে পারি ও এর ফযিলত হাসিল করতে পারি তার একটা ছোট্ট গাইড লাইন দেয়ার চেষ্টা করলাম.
১. কুরআন তিলাওয়াত
এই দশ দিনের মধ্যে যারা কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন তারা কুরআন পুরাটা একবার তিলাওয়াত করে ফেলতে পারেন. প্রতি হরফে যদি ১০ নেকি হয় তবে আল্লাহ তাকে ৭০ গুন পর্যন্ত করে দিতে পারেন. এভাবে আমরা লাখ লাখ নেকি হাসিল করতে পারব. আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারব.
২. নফল ইবাদাত বৃদ্ধি করা
যখনই সময় ও সুযোগ পাই তখনই যেন আমরা নফল ইবাদাতের মাধ্যমে আরো অধিক আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি.
আল্লাহ বলেছেন-
كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
তোমরা সিজদাহ পড়ে থাক এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ কর.. (সূরা আল-আলাক্ব ৯৬-১৯)
৩. বেশি বেশি জিকির করুন, আল্লাহকে স্মরণ করুন
এই দশ দিন শুরু হয়ে গেলেই বেশি বেশি আল্লাহর নাম নিন এবং জিকির শুরু করুন.
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিলহামদ
এটাই রাসূল সা এর সুন্নাহ যা তিনি সা করতেন যুল-হিজ্জাহর প্রথম ১০ দিনে.
এই দিনগুলিতে বেশি বেশি করে রাসূল সা এর প্রতি সালাম পেশ করুন.
বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন এবং আল্লাহর ক্ষমার আশা করুন. আল্লাহ বলেছেন,
আল্লাহ ততক্ষন তাদেরকে শাস্তি দেন না যতক্ষন তারা আল্লাহর ক্ষমার অনুসন্ধান করে. (সূরা আল-আনফাল)
৪. রোযা রাখুন
৫. দান খয়রাত করুন
৬. আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করুন এবং তাদের খোঁজ খবর নিন.
রাসূল সা বলেছেন- কেউ যদি তার রিযিক ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায় তবে সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ককে বজায় রাখে. (আয়েশা রা হতে বর্নিত) (৫)
(আমি খুবই খুশি হব যদি ভিন্নমতাবলম্বীরা মুসলমানদের এই পবিত্র দিনের সম্মান রক্ষা করেন, আমি তাদের কাছ থেকে সেই ব্যবহারই আশা করি যা তারা স্ব স্ব মতাবলম্বীদের সাথে করে থাকেন. ধন্যবাদ)
Footnotes:
[1] Ibn ‘Abbas, Ibn az-Zubayr, Mujahid and others of the earlier and later generations said that this refers to the first ten days of Dhul-Hijjah. Ibn Kathir said: "This is the correct opinion." [Tafsir ibn Kathir, 8/413]
[2] Al-Bukhari, 2/457
[3] Ahmad, 7/224 - Ahmad Shakir stated that it is sahih
[4] The verses [Al-Fajr 89:1-2] and various hadith indicate that these 10 days are better than all the other days of the year, with no exceptions, not even the last ten days of Ramadan. But the last ten nights of Ramadan are better, because they include Layl al-Qadr ["the Night of Power"], which is better than a thousand months. Thus the various reports may be reconciled. [See: Tafsir ibn Kathir, 5/412]
[5] Al-Bukhari, 5986 and Muslim, 2557

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


