এই মূহূর্তেই কোন হতভাগ্য বাঙ্গালী হয়ত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে সাহায্যের আশায় খোলা আকাশের নীচে পড়ে রয়েছে. হয়ত কেউ বিএসএফের হামলা থেকে বাঁচতে নিজের ঘর ফেলে দৌড়াচ্ছে. আর দেখুন আমরা সবাই তাদের জন্য গত শুক্রবার মানব বন্ধন করে এখনই ক্রেডিট নিতে আর পচানি দিতে ব্যাস্ত হয়ে রয়েছি.
ভারতের সীমান্ত আগ্রাসন ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বাঙ্গালীরা প্রতিবাদ মানব বন্ধন আয়োজন করল হল, সাড়া দিল তরুণ প্রজন্ম. নতুন প্রজন্মের অনেক নতুন রক্তের দেখা পাওয়া গেল যারা নিজের দেশীদের রক্ষার জন্য ঘরে বসে না থেকে রাস্তায় এসে নতুন বিপ্লব করতে চায়.
কিন্তু আজকেই দেখা গেল, ভারতীয় সীমান্ত আগ্রাসনের থেকে পারস্পরিক রাজনৈতিক শত্রুকে ঘায়েল করাই প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে. প্রথমেই প্রথম আলোর দালালেরা মানব বন্ধনের ঠিক আগের দিন সুপরিকল্পিতভাবে এই মানব বন্ধনের নেতৃত্বর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে জলঘোলা করে মানব বন্ধন বানচাল করতে চাইলো. তারপর নতুন প্রজন্মের অনেক নিরীহ উতসাহী ও আয়োজককে বিতর্কিত করে অপমান অপদস্হ করে ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হল. ভবিষ্যতে এরকম মানব বন্ধন আয়োজনের পথও বন্ধ করা হল. তারপর শুরু হল ফেলানীর লাশ নিয়ে পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করা.
জামাত-লীগের মধ্যকার প্রবলেম এটা তাদের নিজেদের ক্ষমতা দখলের প্রবলেম, পাবলিকের প্রবলেম না. পাবলিকের প্রবলেম সীমান্তে থাকা ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া, বিএসএফ, আর বাঙ্গালীর লাশ. ভারত আগ্রাসন করছে কেড়ে নিচ্ছে আমাদের জমিন, ব্যবসা, বন্দর, রেলপথ, খাদ্য সহ সব, আর আমরা আছি প্রতিপক্ষ দমন করা নিয়ে. তবে বাঙ্গালী থেমে থাকবে না, নতুন প্রজন্ম খুঁজে নিবে নতুন নেতৃত্ব, গঠন করবে নতুন ফ্রন্ট এবং ছুঁড়ে ফেলে দিবে বর্তমান দালাল ও স্বার্থান্বেষী মহল কে. ইনশা-আল্লাহ.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




