somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিমবিশ্বে সংকট এবং ইসরায়েল ও আমেরিকার সফলতা ~

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরব দেশ গুলার সমস্যা নিয়া আলোচনা করতে গেলে আমাদের প্রথমে ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা করতে হবে । ব্রিটেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীদের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে ১৯১৭ সালে । এরপরই কিন্তু ইউরোপ থেকে অনেকসংখ্যক ইহুদী ফিলিস্তিনে আসে । ১৯০৫ থেকা ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার । তারপর ১৯১৪ সাল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকা ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ইহুদীদের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌছায় । আর ব্রিটিশদের এই পিরিত এর কারন ছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইহুদী বিজ্ঞানি ড. হেইস বাইজম্যান ব্রিটিশদের দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করে দেয় এবং এই জন্যই আর্থার জেমস বালফোর প্রতিশ্রুতি দেয় । এবং ১৯১৮ সালে ব্রিটেনের সহায়তায় ইহুদীরা ‘হাগানাহ’ গঠিত করে যেইটা অবৈধ রাষ্ট্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তারপরেই ইহুদীদের অত্যাচার আরও বাইড়া যায় । ইহুদীরা দাবি করে ফিলিস্তিন আগে তাদের ইসরায়েল ছিল! ৩ হাজার বছর আগে তারা অইখানে বাস করত । পরে , জাতিসংঘ দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কে দেয় ৪৫ শতাংশ (নিজেদের মাতৃভূমি হওয়া সত্ত্বেও) এবং ইহুদীদের ৫৫ সতাংশ । আর এখন তো ফিলিস্তিন মানে শুধু গাযা আছে এবং সেইটাও নিরাপদ নয় । ফিলিস্তিনের তৈরি হামাস হইলো সন্ত্রাস । আর ইসরায়েল তৈরি ফাতাহ হইছে রক্ষা বাহিনী । ভেরি ফানি । এই ইতিহাস সবাই জানে বইলা আমার ধারনা । তারপরেও আলাপে টাইনা আনলাম পরবর্তী আলোচনার জন্যে ।
ইহুদী_দের ধর্মের প্রধান স্তম্ভ হইছে স্পইল ইসলাম । তাদের টার্গেট হইছে ইসলাম কে দমন করা । এবং তারা যাই করে , যাই করে বলতে বইসা থাকলেও এই বইসা থাকা দিয়া কিভাবে ইসলাম নিঃশেষ করা যায় এইটা ভাবে । খাইতে গেলেও এইটা । ২০১০ অনুযায়ী বিশ্বে ইহুদীর সংখ্যা ১৩৪ লাখ বিশ্ব জনসংখ্যার ০.২% । এই মোট ইহুদীর ৪২.৫% ইসরায়েল_এ । আর ৩৯.৩% আমেরিকাতে । এবং এই ক্ষুদ্র জনসংখ্যা দিয়াই তারা সফল । মানে আরব দেশগুলারে সংকটে ফালায়া দিছে । সকল মুসলিম দেশে তারা ঘৃণিত হইলেও তাদের সফলতা বিদ্যমান । আরব দেশ গুলাতে তাদের সফলতা অনেকাংশে সম্পূর্ণ হবার পথে । আর ব্রিটেন ও আমারিকা থেকা তো ১৯৮০ থেকেই আর্থিক হইতে সকল প্রকার সাহায্যই এখন পর্যন্ত বিদ্যমান । এখন আসবো আসল আলাপে । আমারিকা ও ইসরায়েল হইলো জামাই বউ সম্পর্কঅলা । সো , এখন কোন দেশের মাতাব্বরি যদি আমারিকা কইরা থাকে তো অইখানে ইসরায়েল ও মাতাব্বর । এখন সৌদি , ইউএই , কুয়েত , কাতার ও আরও মধ্যপ্রাচ্যের হেডামঅলা দেশ গুলা তাদের মাতাব্বরি আমেরিকার উপ্রে ছাইড়া দিছে । আর যারা দেয় নাই ( আই মিন যারা রাশিয়ার সাথে তাল্লুকাত রাখে ) তাদের_ও টাইট দিয়া দিছে ও দিতাছে । আর আরব দেশ গুলা নিয়া ভাবার দায়িত্ব পাইছে ইসরায়েল । পছন্দমতো জুতসই দায়িত্ব । এইটাই_তো তারা চায় । কারন তারা ইসলামকে নিঃস্বেশ কইরা দিতে চায় । তারা খুবই বুদ্ধিমান । বিশেষ করে মুসলিম হইতে । তারা জানে মুসলিমরা হইলো এমন জাতি যারা নিজদের নিজেরাই মারবে । দে নেভার থিংক । সো তাদের জন্যে কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না । সৈন্য কিংবা অস্ত্র লাগবে না । একটু বুদ্ধি করে করলেই হবে ।
(আগেই বইলা রাখি । মুসলিমদের সংকট তৈরিতে শুধু দুইটা জিনিশ প্রয়োগ করছে ইসরায়েল , ১। গণতন্ত্র ও ২। সিয়া-সুন্নি ‘ গণতন্ত্র ভালো তবে আরব দেশের জন্যে না আর ইসলাম তো ইসলামই , শিয়া কী ? সুন্নি কী ?) প্রথম কোব শুরু হইছে তিউনিসিয়া দিয়া । তখন তিউনিসিয়ায় ক্ষমতায় ছিলেন জিন আবেদিন । এবং গণতন্ত্রের মাইর মাইরা উনারে আউট করলেন মহান আমেরিকা । নিজেদের নিয়ন্তনে নিলেন । তারপরে ধরল ইজিপ্ট_রে । হোসনি মোবারক ৩০ বছর রাষ্ট্র শাসনকালে কোন সমস্যা না থাকায় , আমেরিকার কথায় মোহাম্মাদ মোরসি_কে ক্ষমতায় আনা হইলো । এবং এই মোহাম্মাদ মোরসি ‘ হামাস ’ কে সহয়তা করত তাই এই কারনে আমেরিকার ফয়দা হইলো না । তাই আবার আমেরিকার আদেশে সিসি কে ডিফেঞ্ছ মিনিস্টার বানাইলো । এখন সেই সিসি হইলো ক্ষমতায় আর মোহাম্মাদ মোরসি বন্ধ কারাগারে , এখন পর্যন্ত । ৪২ বছর গাদ্দাফি শাসন করছে লিবিয়া । আর এই গাদ্দাফিরে মারলো কে? লিবিয়ার মানুষই । কার কথায় ? ফ্রাঞ্চ ও আমেরিকার কথায় । আহা! গনতন্ত্র । লিবিয়া এখনো শান্তিতে নাই শুধু একটা সংরক্ষিত স্টেট ছাড়া ( যেখানে গ্যাস , তেল উৎপাদন হয় ) । ইরাকের কাহিনী সবাই জানি । সাদ্দাম হোসেনকে মারল । এবং সিয়া সুন্নি ভাইরাস লাগায়া দিলো । এক মুসলিম আরেক মুসলিমের গলা কাটে । তারপর_ইয়েমেন । এইখানেও সিয়া সুন্নি । গনতন্ত্র । আর হুতিদের(সিয়া) সাথে সুজাগিরি করে ইরান ও সুন্নিদের সাথে আছে হেডমঅলা সৌদি । লাস্ট টার্গেট ছিল সিরিয়া । এইটাও কমপ্লিট হবার পথে । তবে সিরিয়াতে গনতন্ত্র নিয়া ঝামেলাটা শুরু খুব হাস্যকর । কিছু বাচ্চা ছেলেপেলে টেলিভিশন_এ দেখছে দেয়ালে লিখা ‘ আমরা এই সরকার চাই না ’ তারাও এইটা না বুইঝা দেয়ালে লিখছিল । সো , সেই বাচ্চা ছেলেপেদের ধইরা নিয়ে হাতের নখ কাইটা দেয়া হইছিল । যখন অই বাচ্চা ছেলেপেলেদের পরিবার এই ব্যাপারে জানতে চাইলো সরকারের নিকট । তখন থেকাই শুরু হইলো গণতন্ত্রের মন্ত্র । সিয়া সুন্নি তো থাকলই । মোট কথা , যেইখানে রাশিয়া মাতাব্বরি করে অইখানে আমেরিকার জ্বলে । অনেক জ্বলে ।
মুসলিমদের সমস্যা হইলো তারা তাদের ইতিহাস নিয়া পইড়া আছে । ওইটা নিয়া প্রাউড ফিল করে । আর বর্তমান_যে পিছে পিছে এমনে মারতাছে এইটা নিয়া ভাবেনা । নিজেদের ধর্ম নিজেদের প্রটেক্ট করতে হবে । বর্তমানের এই সমস্যা নিয়া ভাবতে হবে । ইসরায়েল-এর সব টার্গেট ফিলাপের পর এখন আবার আইএস আইএস খেলা । এইটা দিয়া আমি যা বুঝি ‘ আরব দেশ কোর্স কমপ্লিট । এখন তারা সাইজ করতে চায় মুসলিম দেশ গুলান । এবং নর্থ কোরিয়া , চিন , রাশিয়া , ইরান ও ল্যাটিন আমেরিকা । ইসরায়েল কিন্তু দেখছে যখন সিরিয়ানদের শরণার্থী হিসাবে জায়গা দিচ্ছে ইউরোপ । তখন তারা আগুন দিয়েই আগুন জ্বালাইছে । আইএস দিয়া আক্রমণ । সো এখন প্যারিসঅলারাই মারছে সিরিয়ানদের । আইএস মালায়সিয়া ধুকছে । ধুকছে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া_তে । চায়নার সাথে মালায়সিয়ার একটা সমস্যা হইতে পারে আইএস দ্বারা । আবার গতকাল বারাক ওবামা আইছে মালায়সিয়া _তে । সব দেশেই আইএস ঢুকতেছে ।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কী খুব নিকটে ?
ফয়সাল কারিম জামাদার ২১.১১.১৫
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×