ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগেই। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাস গতকাল দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফেইসবুকে তাদের মা দুর্গার একটি ছবি শেয়ার করে সবাইকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানায়। সেখানে এক নাবালক কমেন্টে ক্রিকেটার লিটন দাসকে এইসব কাল্পনিক, অবৈজ্ঞানিক ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানায়!!ব্যাস!! এতটুকুই!! এর বেশী কিছু না। এতেই ক্রিকেটার লিটন দাস হয়ে গেলেন ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার !!
....এমন না যে, এতে করে লিটন দাস তাদের মা দুর্গার ছবিটি সরাইতে বাধ্য হয়েছেন। উল্টো লিটন দাসও কম যান নাই। তার পরেই পোস্টেই তিনি ১৭ কোটি বাঙ্গালিকে অমানুষ বানিয়ে ছেড়েছেন!!
-আপনাদের কি মনে আছে কয়েকদিনে আগে গত কুরবানির ঈদের দিন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ফেইসবুকে নিজ হাতে গরু কুরবানির একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন?? বিনিময়ে কি হয়েছিলো জানেন??.....কিছু হিন্দু জঙ্গি তার পোস্টে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। ‘বর্বর!! কুৎসিত’ ইত্যাদি বলে মুশফিকুর রহিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলো। ফলে মুশফিক শেষ পর্যন্ত তার পোস্টটি সরাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বিনিময়ে মুশফিক ১৭ বাঙ্গালীকে অমানুষ বানিয়ে ছাড়েন নি!! বরং পোস্ট দিয়ে উল্টো আত্মসমর্পণ করে ক্ষমা চেয়েছিলেন!!
মিডিয়া কি তখন লিখেছিল, ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম?? না লিখেনি।
বরং উল্টো মুশফিককে শাসিয়ে ছিলো, সভ্যতা শিখিয়ে ছিলো!!
আসলে লিটন দাসের কথাই ঠিক!! বাঙ্গালী আসলেই অমানুষ!! নাহলে যে কারণে মুশফিকুর রহিমকে আক্রমণ করলে হয় সভ্যতা শেখানো, বর্বরতার প্রতিবাদ! সেই একই কারণে লিটন দাসকে আক্রমণ করলে ধর্মীয় বিদ্বেষ হবে কেন???
Why the double-standard?? Why??