somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দৃস্টি

৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আধূনিক যুগে বসবাস করে আদিম যুগের কর্মকান্ড দাসপ্রথাকেও হার মানায়
ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার না করলে জেল প্রদানের সিদ্ধান্ত
ইবনুল সাঈদ রানা
ঢাকা


শিশু, নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ, প্রতিবন্ধি এবং মালামাল নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পার হওয়া কষ্টদায়ক। নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে হাঁটার জন্য জেব্রক্রসিং না দিয়ে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে বাধ্য করতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জেল জরিমানা এবং পুলিশ দ্বারা চাপ প্রয়োগ করার যে সিন্ধান্ত নিয়েছে তা অগণতান্ত্রিক ও অমানবিক। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করবে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পথচারী পারাপারে জেব্রাক্রসিং পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে কামনা করে কর্মসূচী পালন করে চলেছে দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংগঠন।

সংগঠনগুলো তাদের বক্তব্যে বলছে উন্নত দেশগুলিতে নগরকেন্দ্রিক যাতায়াত ব্যবস্থায় হাঁটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকা শহরে ফুটপাত ভেঙ্গে ফেলা, ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং ও কনস্ট্রাকশনের জিনিসপত্র-ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা, রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ এর ব্যবস্থা করাসহ বেশ কিছু পদপে হাঁটার অধিকার খর্ব করছে। ঢাকায় গাড়ির হর্ন-শব্দ, বায়ূদূষণ আর দূর্ঘটনার ভয় মানুষকে হাঁটতে শঙ্কিত ও নিরুৎসাহিত করছে।

তারা আরো বলছেন, রাস্তা পথচারীদের চলাচলের জন্য। অধিকাংশ মানুষ যে মাধ্যমে চলাচল করে সে মাধ্যমকেই অগ্রাধিকার প্রধান করা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের সুবিধাকে উপো করে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। গুটিকয়েক মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে একদিকে যেমন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, অন্যদিকে অধিকাংশ মানুষ দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে। গবেষনায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের ৭৬% শতাংশ মানুষ ৫ কিলোমিটারে মধ্যে চলাচল করে, তার অর্ধেক আবার ২ কিমি এর মধ্যে, যা হাঁটার জন্য খুবই উপযোগী। ঢাকা শহরে বর্তমানে ৬০ শতাংশ ট্রিপ হেঁটে চলাচল হয়। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাই মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে করে না। একবার কি ভেবে দেখেছেন একজন বৃদ্ধ মানুষ, হৃদরোগী, শারিরীক প্রতিবন্ধি, শিশু, গর্ভবতী মহিলার পে এ পর্বত অতিক্রম করা অসম্ভব। একজন অসুস্থ রোগীর পে এই পর্বত পরিমাণ উচ্চতা অতিক্রম করা দূঃসাধ্য ব্যাপার।

সা¤প্রতিক সময়ে সরকার কর্তৃক ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারের জন্য যে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তার জন্য বক্তারা উল্লেখ করেণ গাড়ীওয়ালাদের স্বাধীনতা ঠিক রাখার জন্য পথচারীকে দাস হিসাবে গন্য করা হয়েছে, নয় তো কোন সভ্যদেশে এই আধূনিক যুগে যারা কোন ধরনের দূষন তৈরী না করে নিরাপদে নির্বিগ্নে নিজের কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে ফুটপাথ ব্যবহার করে তার নিত্য দিনের যাতায়াত শেষ করছেন, তাকে সরকার সহযোগীতা না করে বরং তার স্বভাবিক চলায় প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে তাকে বাধ্য করছেন অতিরিক্ত পথ ঘুরে অসমর্থ হলেও ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে বাধ্য করতে। এধরনের সিদ্ধান্ত আদিম যুগের দাসপ্রথাকেও হার মানায়।

হেঁটে চলাচলে উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাঁটার সুবিধা বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; সমতলে রাস্তা পারাপারে কিছুণ পরপর জেব্রা ক্রসিং এর ব্যবস্থা করা এবং সিগন্যালে হেঁটে চলাচলকারীদের প্রাধান্য দেওয়া; ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা এবং কার্যকরভাবে তা বাস্তবায়ন করা; ফুটপাত কনস্ট্রাকশনের জিনিসপত্র এবং ময়লা আবর্জনামুক্ত রাখা; ফুটপাত প্রশস্ত করা ও ছায়ার জন্য পর্যাপ্ত গাছ লাগানো ও সংরণ এবং আলোর ব্যবস্থা করা দরকার।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×