জীবনের কিছু স্মৃতিচারণ করি । প্রাইমারি স্কুল জীবনের গন্ডি পেরিয়েছি মাত্র। নতুন বিদ্যালয়ে পদার্পণ। পুরোনো মুখগুলো ছেডে এসে নতুন মুখের দেখা। দুই একজন ছাডা সবাই অপরিচিত । প্রাইমারী স্কুল থেকে হাই স্কুলে উঠে নিজেকে খানিকটা বড মনে হল। কিন্তু অবাক কান্ড, ক্লাস ফাইবে ছিলাম আগের স্কুলের বড ভাই। এখানে এসে হয়ে গেলাম সবার ছোটো ভাই। যাই হোক বিধাতার বিধি মেনে নিতেই হবে। এদিকে বাবা মা বুঝল ছেলে নতুন স্কুলে উঠেছে। তার পডাশোনার জন্য মাস্টার দরকার। আগেই বলে রাখি যতদুর মনেপডে ছেলেবেলায় আমি তেমন একটা সুবিধার ছিলাম না
ঘরে থাকতাম খুবই কম। সারাদিন বাহিরে বাহিরে বন্ধুদের সাথে ঘুরেবেডাতাম। মুল কথায় আসি বাবা মা খুজছিল এমন এক টিচার যে কিনা আমাকে টাইট দিতে পারবে। পেয়েও গেলো এমন এক স্যারের দুঃসংবাদ। যার নাম শুনলে আমি এখনো জায়গায় দাডিয়ে থাকতে পারি না। প্রথম দিন গেলাম একেবারে গোবেচারা হয়ে, দেখলাম সেখানে আমার মত আরো অনেক ছাত্র ছাত্রী নীজপাঠে অধ্যয়ন রত। স্যারকে একবারে দেখে আমার তেমনটি মনে হল না যেমনটি লোখমুখে শুনেছি। যাই হোক প্রথম দিন পার করলাম ভদ্র ছেলেটির মত। পরদিন গেলাম একি সময়ে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে স্যার আমাকে যে পডা দিয়েছিল আমি তা শিখিনি। আমি ইচ্ছে করেই শিখিনি। আমি স্যারকে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কত বড পাপ করেছিলাম সেদিন পডা না শিখে তা আজ ও ঠাওর করতে পারি না। সেদিন আর কি হল তা নাই বা বললাম । শুধু এইটুকু
বলি এরপর এক সপ্তাহ আমি শয্যা ছেডে উঠতে পারিনি। এক সপ্তাহ পরে আমি স্বাভাবিক হয়ে স্বাভাবিকভাবে পডতে গেলাম। এরপর আরো অনেক গল্প আছে সেগুলো আরেকদিন বলব