somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিকিট কেটে ভুত দেখে এলাম।(মালয়েশিয়া সানওয়ে লেগুন)

২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটা পুরুনো বাড়ির অন্ধকার রাস্তায় অস্পষ্ট একজন আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা বলতে আমি আর আমার এক বন্ধু বাকিদের আমি চিনি না, কখনও দেখেছি বলেও মনে পরেনা (চিনব কি করে তারাও আমার মত টিকিট কেটে এসেছে)। বাড়িতে ঢোকেই তাদের প্রতি নজর পরল। সবাইকে কেমন ভীত ভীত লাগছিল। মনে হয় আগেও এই রাস্তায় তাদের চলাফেরা ছিল। মুভি দেখাবার কথা বলে আমার বন্ধু আমাকে এখানে এনেছে (মনে করেছিলাম থ্রীডি হরর মুভি দেখাবে)। আমার বন্ধুকে জিগ্যাসা করতেই সে বলল সেও প্রথম এসেছে। অজানা একটা ভয় চারদিক থেকে ঘিরে ধরল আমাকে। বাড়িটাতে আসার আগেও ঝলমলে আলো ছিল চারিদিকে, এখন আবছা অন্ধকার গ্রাস করছে আমাদের। ফিরে যাবার চিন্তা করে পিছনে ফিরেদেখি দরজা গুলু এক এক করে বন্ধ হয়ে গেল। ভয় বেরে গেল আমার। আমি এমনিতে ভয়ের কোন মুভি দেখতে পারিনা। লোভ সামলাতে না পেরে ভুলে একটা দেখে ফেললে ৬/৭ দিন আমার ঘুম হারাম। কিন্তু এখন যা দেখছি তা কোন মুভি না। হঠাৎ একটা চিৎকার শুনতে পেলাম। কি হয়েছে দেখতে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম আমাদের সাথের একটা মেয়ে চিৎকার করে কাঁদছে,কে নাকি তার জামা টেনে ধরেছিল। মনে মনে বললাম বদমাইশ পোলাপাইন হবে হয়ত। কিন্তু মেয়েটির কথা শুনে আমার অবস্তা কাহিল। যে টেনে ধরেছিল তার নাকি মাথা নেই (সেভাবেই মেকাপ করা হয়েছে)।
অজানা ভয়ে আমরা এগোতে লাগলাম। কিছুদূর এগোতেই একটা ভাংগা বাড়িতে এসে পরলাম (ইভেল ডেড ২ ষ্টাইলের)। বাড়িতে কেউ থাকে বলে মনে হলনা। হঠাৎ বাতাস বইতে লাগল। দরজা জানালা ঠাস ঠাস করে খুলছে আর লাগছে। আমি ভয়ে সবার পিছনে হাটছি। আমার কানের কাছে কিসের একটা ফিসফিস শব্দ শুনে ফিরে তাকাতেই চিৎকার করে উঠলাম। একটা মানূষ সাদা কাপর পরনে মাথার একটা পাস রক্তে ভেজা। একটা চোখ জ্বলছিল অন্যটা অন্ধকার। আমার খুব কাছে এসে হাসছিল।
আরও কয়েকটা চিৎকার শুনতে পেলাম।আমার নিজের চোখে কয়েকটি বিভৎস চেহারার আত্মাকে মিলিয়ে যেতে দেখেছি আন্ধকারের আরালে (কিভাবে করেছে জানি না)। এভাবে আরও কিছুটা পথ হেটেছিলাম। আমার বন্ধুটিকে সাহসি বলে জানতাম। এই রাস্তায় আসার পর আমার হাত যে ভাবে ধরে আছে তাতে তাকে সাহসি বলা যায় না। তার ফেকাসে মুখ দেখে বড় মায়া হচ্ছিল। সাহসও দিতে পারছিনা কারন আমরা সবাই একই জালে আটকে আছি।
সামনে একটা ঘরে সামান্য আলো দেখে বুকে একটু সাহস হল।
দরজার সামনে কাল রংএর আলখাল্লা পরা একজন দাড়িয়ে হাত ইসারায় আমাদের কাছে ডাকল। তারপর সবার হাতে কি যেন দিচ্ছিল আমাকে দেয়ার পর বুঝতে পারলাম একটা কাগজের চশমা (থ্রীডি চশমা)। এই পরিস্থিতিতে চশমাদিয়ে কি করব বুঝলাম না। লোকটা থমথমে গলায় বলল "তোমরা ভুল পথে হাটছ চশমাটা পরে এই পথে বেরিয়ে যাও"। আমরা তার দেখানো পথেই হাটছি চশমাটাও পরেনিয়েছি সবাই রক্ষা কবজ মনে করে। অল্প কিছুদুর যেতেই একটা বনে ঢোকে গেলাম। বনটা বেশ বড় ইয়া উচু উচু গাছ লতাপাতা তবে আলো এখানেও বেশীনা। এই নরক থেকে বাঁচার জন্য আমাদের আলোর খুব প্রয়োজন।
কিন্তু একি গাছগুলু জিবন্ত প্রানির মত নরা চরা করছে। ডাল গুলু নেমে এসে আমাদের ছপাৎ ছপাৎ করে পেটাচ্ছে কিন্তু আমাদের শরিরের অনুভুতি মৃত মনে হচ্ছে (সবই থ্রীডি পেইন্টিং আর লাইটিং)।
কোন রকম দৌরে বনথেকে বেরিয়ে আসলাম। একটু দমনিয়ে আশেপাশে তকিয়ে দেখে সবাই একসাথে চিৎকার। লাশের ঘরে দাড়িয়ে আছি আমরা। মেঝেতে কাফন জরিয়ে ছরিয়ে ছিটিয়ে দাড়িয়ে আছে কয়েক ডজন লাশ (লাশ শোয়ে না থেকে দাড়িয়ে আছে কেন বুঝলাম না) । আমাদের বের হতে হলে লাশ গুলুকে পাশ কাটিয়ে যেতে হবে। আর কোন রাস্তা না থাকায় ভয়ে ভয়ে লাশের পাস দিয়ে হাটছিলাম শেষ প্রান্তে এসে একটা লাশ হঠাৎ নরে উঠল আবার সবার চিৎকার, আমি ততক্ষনে বাইরে বেরিয়ে পরেছি।
আসুন কিছু ছবি দেখি......









পদটিকা:- ভূত বলতে কিছু নাই সেটা আমিও জানি (রাতে একা বেরহলে মনে হয় সবই আছে), আমি যে বর্ননা দিয়েছি তা সত্য। কিন্তু ভূত গুলু মানুষকে মেকাপ করে বানানো হয়েছে। ঐটা একটা মানুষের বানানো ভূতের পার্ক। সেখানে ভয় পেয়ে মজা পাবার জন্য টিকিট কেটে ঢোকতে হয়। ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২০
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×