নষ্ট অতীতের জ্বালা বয়ে আনা,
নস্টালজিক কালো কাজল মেঘদল আমার,
তোমাদেরকেই নৈবেদ্য দেব বলে,
সর্বনাশের ডানা মেলে প্রতীক্ষায় আছি বহুকাল!
খেয়ালী এক তিলক কামোদে পুষ্যি দেওয়া,
বেহিসেবী বিস্তার আর ছন্নছাড়া হাহাকার সব,-
বৈশাখের ঘনঘোর ঘনঘটায় মেঘ মেঘ রবে
নড়েচড়ে উঠে ঝালাই করে নিচ্ছে শেষদৃশ্যের ঝড়!
আধপোড়া এক দিয়াশলাই কাঠির কাছ থেকে,
চুপিসারে ধার করেছিলাম কিছু জ্যোতির্ময় সন্তাপ!
নষ্ট অতীতের সাথে মোকাবেলা হবে শুনে,
অন্ধ এক তীরন্দাজ ডেকে বলল, ‘মনে রেখ,
জলপরীদের কিন্তু কখনও ডানা ছিল না,
তাই প্রজাপতির গল্পে বিভ্রান্ত হয়োনা শেষবেলায়!’
আসন্ন প্রলয় সঙ্কেতে,শিউড়ে উঠল এক দলছুট দাঁড়কাক,
মুষ্ঠিতে অশ্রু পোড়া ছাই, এবার আমার ফিরবার তাড়া নেই!
পিছুটান? সে যে তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় নিয়মে ,
চুরচুর চুরমার হয়ে গেছে বিশৃঙ্খল বিন্যাসে,
ভালোবাসা? সে তো এক রুদ্র কবি নীল খামে ভরে,
আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে সেই কবেই!
স্বপ্নেরা? জবর ফন্দি এঁটেছি বটে,একগুচ্ছ অন্ধকারে,-
একদম শীতনিদ্রায় পাঠিয়ে দিয়েছি চুপচাপ!
বাসনা? সে তো আমারও ছিল একরাশ! ধবধবে সাদা,
ঠিক শিউলি ফুলগুলোর মত, বোঁটাজুড়ে বাসন্তী পাড়!
ভয়? সে আমি খুব পাই বটে,-এই ছায়াশূন্য অশরীরী পচন,
আর তার গন্ধে পিছু নেওয়া অনুতাপের শ্বাপদ সন্ত্রাস!
এবার আর ভুল হবে না, - কপালে জ্যোতিশ্চক্র আঁকিনি!
এসো হে আমার নষ্ট অতীত, পূজারী প্রস্তুত, লগ্ন বয়ে যায়-
হে সুন্দর অমল ভ্রান্তিরা আমার, এসো মিলন অক্ষয় হোক!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪