স্থানঃ সিলেট
কালঃ ১১ মার্চ ২০১৫, ১২.০০
ভাষাঃ ভালো না জানলে যেমন হইয়া থাকে ।
দেশপ্রেম লইয়া লিখে না এমন জনসংখ্যা খুব কমই রহিয়াছে।
কিন্তু যে যাহা লিখিতেছে তাহা কি দেশকে অনুভব করিয়া লিখিতেছে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে লিখিতেছেন তাহাই প্রশ্ন।
কিছু উত্তর যে গুলো আমার জানা তাহা লিখিতেছি। আমি কেন লিখিতেছি? বন্ধু হইতে ব্লগ সম্পর্কে জানিলাম,
অনুভব যে করিতেছি না তা নয়। কিছু দিন আগে কোনো একজন আমাকে ভালবাসে এরূপ ব্যবহার করিলে আমি যখন
তাহাকে ভালো পাইতে শুরু করিলাম তখন লক্ষ্য করিলাম তাঁর ভালোবাসায় রহিয়াছে অনেক দ্বিধাজড়িত ভয়। আমি কষ্ট
পাইতেছি তাহাকে জানাইলাম না। এই কয়দিনের মধ্যে যে কারনে আমার মুখে হালকা হাসি ফুটিয়াছে তাহার সম্পূর্ণ দায় নিতে হইবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
চোখ দিয়া জল আর মনে মনে বলিতে লাগিলাম "আমি বাঁচিয়া রহিয়াছি তোমার জন্য , মরিতেও চাই তোমার জন্য । তুমিই আছ পাশে যাকে ভালবেসে হইনি প্রতারিত।
হে আমার দেশ তুমি মাথা উঁচু করিয়া থাকো , ... তুমিই ত একমাত্র যার জন্য মাঝে মাঝে একটু হাঁসতে পারি।"
এটাই আমার কারণ এইখানে লিখিবার। আমি কোনো বিখ্যাত লেখক নই। তবে আমি ছোটো মুখে হইলেও বলিব দেশকে লইয়া যাহারা লিখিয়া থাকেন তাঁহা
হইতে সৎ উপদেশ মূলক বাক্য গুলা কি আপনার জীবনে প্রয়োগ করিয়া থাকেন , নাকি রাস্তার কোনো ত্বকে রোগে আক্রান্ত
দেখতে কুৎসিত কোনো একজনকে নিজের পাশে একটু সময় থাকিতে দিয়া আপনার তথা কথিত পারসনালিটিটাকে যেভাবে ধরিয়া রাখেন অইরূপ ভালোবাসেন।
একটু ভাবিয়া দেখুন আমারা এই লোক দেখানো কর্মের জন্যই সমাজ হইতে অন্ধকারটা দূর করিতে পারিতেছিনা।
আমি তাঁহা হইতে ব্যাতিক্রম নই। ছোটো বেলায় ভাবিতাম কোনো দিন দুর্নীতি করিব না । বাবা বলিত ,'' তাহা হইলে ডাক্তার হও"/ বাবা যে কেন এই উপদেশ দিতেন
তাঁহা এখন বুজি । বড় হইতে গিয়া যত জনকে জিজ্ঞাসা করিতাম প্রায় প্রত্যেকই বলিত দেশের সহিত বেঈমানি সে ত মহা পাপ।
আমার প্রশ্ন হইল এরাই ত একদিন দেশের পরিচালনের ভার লইয়া থাকিবে তাহা হইলে দেশের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ বাড়িয়া চলিতেছে কেন?
শান্তনা সেই মহৎ উক্তিতে ," ভোর হইবার পূর্বেই অন্ধকার সবচেয়ে বেশি হইয়া থাকে...।।"